সুনানে ইবনে মাজাহ > পবিত্রতা ও তার সুন্নাতসমূহ > ঋতুবতী নারীর হায়িদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর রক্ত নির্গত হলে

৬২০

ফাতিমা বিনত আবু হুবায়শ (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁর কাছে ঋতুস্রাব সম্পর্কে অভিযোগ করেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তা এক প্রকার শিরাজনিত রোগ। সুতরাং তুমি লক্ষ্য রাখবে যে, তোমার হায়িদ শুরু হলে সলাত পড়বে না। হায়িদকাল উত্তীর্ণ হলে পর তুমি পবিত্রতা অর্জন করবে, অতঃপর দু’হায়িদের মধ্যবর্তীকাল সলাত পড়বে। [৬১৭]

[৬১৭]নাসায়ী ৩৪৯, ৩৫৮, আবূ দাঊদ ২৮০, ২৮৬, ৩০৪, আহমাদ ২৬৮১৪, ২৭০৮৩-৮৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ২৭২, ইরওয়াহ ২১১৯।

৬২১

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতে আবূ হুবায়শ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার অনবরত রক্তস্রাব হতেই থাকে এবং আমি পবিত্র হতে পারি না। আমি কি সলাত ছেড়ে দিবো? তিনি বলেন, না, বরং এটি হচ্ছে একটি শিরাজনিত রোগ এবং এটা হায়িদের রক্ত নয়। অতএব তোমার ঋতুস্রাব দেখা দিলে তুমি সলাত ছেড়ে দিবে। অতঃপর ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে তুমি রক্ত ধুয়ে ফেলে সলাত পড়বে। [৬১৮]

[৬১৮] বুখারী ২২৮, ৩০৬, ৩২০, ৩২৫, ৩৩১; মুসলিম ৩৩৩, তিরমিযী ১২৫, নাসায়ী ২১২, ৩৫৯, ৩৬৩-৬৭; আবূ দাঊদ ২৮২, ২৮৬, ৩০৪; আহমাদ ২৩৬২৫, ২৫০৯৪, ২৫১৫৩, ২৫৭২৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৩৭, দারিমী ৭৭৪, ৭৭৯; ইবনু মাজাহ ৬২৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১৮৯, সহীহ, আবূ দাউদ ২৮০।

৬২৩

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি বলেন, এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সমাধান জানতে চেয়ে বলেন, আমার অনবরত রক্তস্রাব হয়, আমি কখনো পবিত্র হই না। আমি কি সলাত ছেড়ে দিবো? তিনি বলেন, না, বরং তুমি তোমার হায়িদের মেয়াদে সলাত ত্যাগ করো। আবূ বকর (রাঃ)-এর রিওয়ায়াতে আছেঃ প্রতি মাসে হায়িদের সমপরিমাণ মেয়াদ নির্ধারণ করো, অতঃপর গোসল করে কাপড়ের পট্টি বেঁধে সলাত পড়ো। [৬২০]

[৬২০] নাসায়ী ২০৮, ৩৫৪, ৩৫৫; আবূ দাঊদ ২৭৪, আহমাদ ২৬১৭৬, ২৬২০০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৩৮, দারিমী ৭৮০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ২৬৪-২৬৮।

৬২৪

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতে আবূ হুবায়শ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার রক্তস্রাব হতেই থাকে এবং আমি কখনো পবিত্র হতে পারি না। আমি কি সলাত ছেড়ে দিবো? তিনি বলেন, না, এটা এক প্রকার শিরাজনিত রোগ, এটা হায়িযের রক্ত নয়। তুমি তোমার হায়িযের মেয়াদকাল সলাত থেকে বিরত থাকো, অতঃপর গোসল করো এবং প্রতি ওয়াক্ত সলাতের জন্য উযু করে সলাত পড়ো, যদিও সলাতের পাটিতে রক্ত পড়ে। [৬২১] তাহকীক আলবানীঃ পাটিতে রক্ত পড়ার কথা ব্যতীত সহীহ।

[৬২১] বুখারী ২২৮, ৩০৬, ৩২০, ৩২৫, ৩৩১; মুসলিম ৩৩৩, তিরমিযী ১২৫, নাসায়ী ২১২, ৩৫৯, ৩৬৩-৬৭; আবূ দাঊদ ২৮২, ২৮৬, ৩০৪; আহমাদ ২৩৬২৫, ২৫০৯৪, ২৫১৫৩, ২৫৭২৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৩৭, দারিমী ৭৭৪, ৭৭৯; ইবনু মাজাহ ৬২১। তাহক্বীক্ব আলবানী: পাটিতে রক্ত পড়ার কথা ব্যতীত সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ২৮, ৩১২।

৬২৫

আদী ইবন সাবিত (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইস্তিহাদায় (রক্তপ্রদরে) আক্রান্ত নারী তার হায়িযের মেয়াদকাল সলাত ত্যাগ করবে। এরপর সে গোসল করবে এবং প্রতি ওয়াক্ত সলাতের জন্য উযু করবে এবং সলাত-সাওম করবে। [৬২২]

[৬২২]তিরমিযী ১২৬, আবূ দাঊদ ২৯৭, দারিমী ৭৯৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৩১১, ইরওয়াহ ২০৭। উক্ত হাদিসের রাবী আবুল ইয়াকযান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল ও ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইবনু মাহদী তার হাদিস প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ২. সাবিত বিন উবায়দ সম্পর্কে সকল হাদিস বিশারদগণ অজ্ঞাত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

৬২২

থেকে বর্নিতঃ

তিনি বলেন, আমার ইস্তিহাদার রক্ত খুব বেশি দিন ধরে নির্গত হতো। আমি এ ব্যাপারে সমাধান জানতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে বিষয়টি অবহিত করলাম। রাবী বলেন, আমি তাঁকে আমার বোন যয়নবের নিকট পেলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনার সাথে আমার একটি বিশেষ প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন, তা কী, হে শ্যালিকা? আমি বললাম, আমার খুব বেশি পরিমাণে দীর্ঘ সময় ধরে ইস্তিহাদার রক্ত আসে, যা আমাকে সলাত-সাওম থেকে বিরত রাখে। এ ব্যপারে আপনি আমাকে কী হুকুম করেন? তিনি বলেন, আমি তোমাকে তুলার পট্টি ব্যবহারের নির্দেশ দিচ্ছি। কেননা তা রক্ত প্রতিরোধক। আমি বললাম, তা পরিমাণে আরো বেশি। ...... পরবর্তী বর্ণনা শারীকের হাদীসের অনুরূপ। [৬১৯]

[৬১৯] তিরমিযী ১২৮, আবূ দাঊদ ২৮৭, ২৮৮; আহমাদ ২৬৬০৩, ২৬৮৯৯, ২৬৯২৮; দারিমী ৭৮১, ইবনু মাজাহ ৬২৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান।

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন