সুনানে ইবনে মাজাহ > ব্যবসা-বাণিজ্য > মালিকের অনুমতি ব্যতীত কিছু নেয়া নিষেধ।

২৩০২

আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে বলেনঃ তোমাদের কেউ যেন মালিকের অনুমতি ছাড়া তার পশু দোহন না করে। তোমাদের কেউ কি এটা পছন্দ করে যে, তার ধনভাণ্ডারে অন্য লোক প্রবেশ করে তার ধনভাণ্ডারের দরজা ভেঙ্গে তার খাদ্যদ্রব্য নিয়ে যাক? গবাদি পশুর বাঁট তো তাদের মালিকের জন্য খাদ্যদ্রব্য সঞ্চিত করে রাখে। তাই তোমাদের কেউ যেন অপরের পশুর দুধ তার অনুমতি ব্যতীত দোহন না করে। [২৩০২]

[২৩০২] সহীহুল বুখারী ২৪৩৫, মুসলিম ১৭২৬, আবূ দাউদ ২৬২৩, আহমাদ ৪৪৫৭, ৪৪৯১, মুয়াত্তা মালেক ১৮১২, ইরওয়া ২৫২২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

২৩০৩

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে এক সফরে ছিলাম। আমরা কাঁটাযুক্ত গাছের আড়ালে দুগ্ধবতী উষ্ট্রী দেখতে পেয়ে সেদিকে দ্রুত ছুট দিলাম। রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ডাক দিলেন। আমরা তাঁর নিকট ফিরে এলে তিনি বলেনঃ এই উট কোন মুসলিম পরিবারের। এগুলোই তাদের খাদ্যের এবং বেঁচে থাকার সংস্থান। এগুলো আল্লাহর পর তাদের মালিকানাধীন। তোমার কি ভালো লাগবে যে, তোমরা তোমাদের খাদ্যভাণ্ডারে ফিরে গিয়ে তা খাদ্যশূন্য দেখতে পাবে? তোমরা কি এটাকে ইনসাফ মনে করো? তারা বলেন, না। তিনি বলেনঃ এটাও তদ্রূপ। আমরা বললাম, আপনি কি মনে করেন, যদি খাদ্য ও পানীয়ের অভাব দেখা দেয়? তিনি বলেনঃ এমতাবস্থায় তোমরা খেতে পার কিন্তু সাথে নিয়ে যেতে পারবে না এবং পান করো, কিন্তু সাথে নিয়ে যেতে পারবে না। [২৩০৩]

[২৩০৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ফিস সুনান ১০/১৩৪, আল-হাকিম ফিল মুসতাদরাক ৪/৯৩। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইসমাইল বিন বিশর বিন মানসুর সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে কাদিরিয়া মতাবলম্বী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে কাদিরিয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪২৭, ৩/৪৯ নং পৃষ্ঠা) ২. হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়, অন্যত্র তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সা'দ তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা) ৩. সালীত বিন আবদুল্লাহ আত-তুহাবী সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি কে তার সম্পর্কে কিছু জানা যায়না। ইমাম বুখারী বলেন, সানাদটি অপরিচিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৪৮১, ১১/৩৩৭ নং পৃষ্ঠা) ৪. যুহায়ল বিন আওফ বিন শাম্মাখ আত-তুহাবী সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন