মুয়াত্তা ইমাম মালিক > বিবাহ > কুমারী ও তালাকপ্রাপ্ত এবং বিধবা হতে বিবাহের সম্মতি নেয়ার বিধান

১০৮৮

আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

কাসেম ইবনু মুহাম্মাদ (র) ও সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (র) তাঁরা উভয়ে নিজেদের কুমারী কন্যাদেরকে তাদের অনুমতি না নিয়ে বিবাহ দিতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন) মালিক (র) বলেন : কুমারীদের বিবাহের ব্যাপারে আমাদের নিকটও ইহা পছন্দনীয়। মালিক (র) বলেন : স্বামীর গৃহে না আসা (স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন না করা) এবং তার যোগ্যতার যাচাই না হওয়া পর্যন্ত কুমারী মেয়ে তার সম্পদের উপর ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকারী হয় না।


১০৮৬

মু‘আবিয়াহ্ ইবনু হাকাম (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আইয়্যেম [১] তার ব্যাপারে অভিভাবকের তুলনায় অধিক হকদার এবং কুমারীর বিবাহের ব্যাপারে তার অনুমতি নিতে হবে। চুপ থাকাই হচ্ছে তার অনুমতি। (সহীহ, মুসলিম ১৪২১)

[১] আভিধানিক অর্থে আইয়্যেম বলা হয় স্বামীবিহীন মহিলা এবং স্ত্রীবিহীন পুরুষকে। হাদীসে উল্লিখিত আইয়্যেমের ব্যাখ্যায় হিজাজের ফকীহ্ ও আলিমগণ বলেছেন- এর অর্থ তালাকপ্রাপ্তা অথবা বিধবা মহিলা।

১০৮৭

ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীর (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ

অভিভাবক বা উক্ত পরিবারের বুদ্ধিমান ব্যক্তি অথবা রাষ্ট্রপ্রধানের অনুমতি ব্যতীত কোন মহিলাকে যেন বিবাহ দেওয়া না হয়। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)


১০৮৯

আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ

কাসেম ইবনু মুহাম্মাদ (র) সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (র)-ও সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (র) তাঁরা সকলেই কুমারীর ব্যাপারে বলতেন, তার পিতা তার অনুমতি না চেয়ে তাকে বিবাহ দিলে সে বিবাহ প্রযোজ্য হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)


লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন