সুনানে ইবনে মাজাহ > বিবাহ > সহবাসের সময় পর্দা করা।
১৯২০
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! আমাদের লজ্জাস্থানের কতখানি ঢেকে রাখবো, আর কতখানি খুলে রাখবো? তিনি বলেনঃ তোমার লজ্জাস্থান আপন স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া অন্যদের থেকে হেফাজত করবে। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনার অভিমত কী যে, লোকেরা যদি একত্রে বসবাস করে? তিনি বলেনঃ যদি তুমি কাউকে না দেখিয়ে পারো, তবে অবশ্যই তা দেখাবে না। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আমাদের কেউ যদি নির্জনে থাকে? তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ অধিক অগ্রগণ্য যে, মানুষের চেয়ে তাঁর প্রতি বেশি লজ্জাশীল হতে হবে। [১৯২০]
[১৯২০] তিরমিযী ২৭৬৯, ২৭৯৪, আবূ দাউদ ৪০১৭, মিশকাত ৩১১৭। আদাবুয যিফাফ ৩৬ নং পৃষ্ঠা। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
[১৯২১] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৭/১৬৬। ইরওয়া ২০০৯, আদবুয যিফাফ ৩৩-৩৪। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আহওয়াস বিন হাকিম সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি হিফযে দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন আওফ আল-হিমসী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৮৭, ২/২৮৯ নং পৃষ্ঠা)
১৯২২
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
তিনি বলেন, আমি কখনও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর লজ্জাস্থানের দিকে তাকাইনি বা তা দেখিনি। [১৯২২]
[১৯২২] আহমাদ ২৩৮২৩, বায়হাকী ৪/৬৩, ইরওয়া ১৮১২, মিশকাত ৩১২৩, আদাবুয যিফাফ ৩৪ নং পৃষ্ঠা। রওদুন নাদীর ৮০৯, মুখতাসার শামাইল ৩০৮। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ।