জামে' আত-তিরমিজি > ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবসা-বাণিজ্য > ক্রেতাকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে (নকল ক্রেতা সেজে) দর-দাম করা
১৩০৪
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা পরস্পর ‘নাজাশ’ (ক্রেতাকে ঠকানোর জন্য দ্রব্যের দরদাম) কর না। সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (২১৭৪), নাসা-ঈ
ইবনু উমার ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আমল করেছেন। তারা বেচা-কেনার ক্ষেত্রে ‘নাজাশ’ করাকে মাকরূহ বলেছেন। আবূ ঈসা বলেন, নাজাশ বা তানাজুশ-এর অর্থ হলঃ এক লোক বিক্রেতার মালের দেখাশোনা করে এবং সে তার মালের দর-দাম প্রসঙ্গে ওয়াকিফহাল। যখন কোন ক্রেতা বিক্রেতার নিকট এসে মালের দামাদামি করে, তখন সে এসে উপস্থিত হয়। সে নকল ক্রেতার রূপ নিয়ে এসে ক্রেতার চেয়েও বেশি দাম হাঁকে। এখানে ক্রেতাকে ধোঁকায় ফেলে বিক্রেতার মাল বেশি মূল্যে বিক্রয় করাই তার উদ্দেশ্য। ইহা এক প্রকার প্রতারণা। ইমাম শাফিঈ বলেছেন, যে লোক ‘নাজাশ’ করে সে গুনাহ্গার হবে কিন্তু আইনগতভাবে বিক্রয়টি হালাল হবে। কেননা, মূল বিক্রেতা প্রতারণা করেনি।