জামে' আত-তিরমিজি > পানপাত্র ও পানীয় > মদ পানকারী প্রসঙ্গে

১৮৬১

আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সকল প্রকারের নেশা সৃষ্টিকারী দ্রব্য মদের অন্তর্ভূক্ত এবং সকল নেশা সৃষ্টিকারী দ্রব্যই হারাম। পৃথিবীতে যে লোক মদ পান করে এবং মদ পানে আসক্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সে পরকালে তা পান করতে পারবে না। সহীহ্‌, ইরওয়া (৮/৪১)

আবূ হুরাইরা, আবূ সাইদ, আবদুল্লাহ ইবনু আমর, ইবনু আব্বাস, উবাদা ও আবূ মালিক আল-আশআরী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। নাফি হতে ইবনু উমারের বরাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বিভিন্ন সূত্রে উল্লেখিত হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসটি মালিক ইবনু আনাস (রাহঃ) নাফি হতে ইবনু উমারের সূত্রে মাওকূফভাবে বর্ণনা করেছেন, মারফূভাবে নয়।

১৮৬২

আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মদ পানকারী ব্যক্তির চল্লিশ দিনের নামায ক্ববূল করা হয় না। সে তাওবা করলে তবে আল্লাহ তা’আলা তার তাওবা ক্ববূল করেন। যদি আবার সে মদ পান করে তাহলে আল্লাহ তা’আলা তার চল্লিশ দিনের নামায ক্ববূল করেন না। যদি সে তাওবা করে তাহলে আল্লাহ তা’আলা তার তাওবা গ্রহণ করেন। সে যদি আবার মদ পানে লিপ্ত হয় তাহলে তার চল্লিশ দিনের নামায আল্লাহ তা’আলা গ্রহণ করেন না। যদি সে তাওবা করে আল্লাহ তা’আলা তার তাওবা কবূল করেন। সে চতুর্থ বারে মদ পানে জড়িয়ে পড়লে আল্লাহ তা’আলা তাঁর চল্লিশ দিনের নামায গ্রহণ করেন না। যদি সে তাওবা করে আল্লাহ তা’আলা তার তাওবা ক্ববূল করবেন না এবং তাকে ‘নাহ্‌রুল খাবাল’ হতে পান করাবেন। প্রশ্ন করা হল, হে আবূ আবদুর রাহমান (ইবনু উমার)! খাবাল নামক ঝর্নাটি কি? তিনি বললেন, জাহান্নামীদের পূঁজের ঝর্ণা। সহীহ্‌, ইবনু মাজাহ্‌ (৩৩৭৭)।

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান বলেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু আমর এবং আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)-ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একইরকম বর্ণনা করেছেন।

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন