সুনান নাসাঈ > শিকার ও যবেহকৃত জন্তু > খরগোশ প্রসঙ্গ
৪৩১২
আবুল হাওতাকিয়া (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ
মাররুয-যাহরান নামক স্থানে আমি একটি খরগোশকে ধাওয়া করলাম এবং ধরে ফেললাম। আবূ তাল্হা (রাঃ)-এর নিকট আমি তা নিয়ে গেলে তিনি তা যবেহ করলেন এবং তার উভয় রান ও নিতম্ব নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পাঠালেন, তিনি তা গ্রহন করলেন।
৪৩১৩
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
তিনি বলেন, আমি দু‘টি খরগোশ ধরলাম। কিন্তু তা যবেহ করার মত কিছুই পেলাম না। পরে আমি পাথর দিয়ে তাদের যবেহ করি। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমাকে তা খাওয়ার আদেশ দেন।
৪৩১১
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
তিনি বলেনঃ উমর (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেনঃ কাহা১ দিবসে আমাদের সাথে কে ছিল? আবূ যর (রাঃ) বললেনঃ আমি ছিলাম। সেখানে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একটি খরগোশ আনা হল। যে ব্যক্তি সেটি এনেছিল, সে বললোঃ আমি এর স্রাব হতে দেখেছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা খেলেন না। তিনি অন্যান্য লোকদের খেতে বললেন। এ সময় এক ব্যক্তি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি রোযা রেখেছি। তিনি বললেনঃ তুমি কি রোযা রেখেছ? সে বললোঃ প্রতি মাসে তিনটি রোযা। তিনি বললেনঃ তবে তুমি কেন আইয়ামে বীযের অর্থাৎ ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখে রোযা রাখ না?
৪৩১০
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
তিনি বলেন, গ্রাম্য এক বেদুঈন একটি খরগোশ ভূনা করে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট নিয়ে আসে এবং তা তাঁর সামনে রাখে। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাত গুটিয়ে নিলেন, তা খেলেন না। কিন্তু অন্য লোকদের খেতে বললেন। ঐ বেদুঈনও তা খাওয়া হতে বিরত থাকল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি খেলে না কেন? সে বললোঃ আমি প্রতি মাসে তিনটি রোযা রাখি। তিনি বললেনঃ যদি তুমি প্রত্যেক মাসে রোযা রাখ, তবে মাঝের তিন দিন (১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রাখবে।