সহিহ মুসলিম > ত্বলাক্ব > স্বামীর মৃত্যুকালীন ‘ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম

৩৬১৭

হুমায়দ ইবনু নাফি (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি বলেন, যায়নাব বিনতু আৰূ সালামাহ্‌ (রাঃ) তাকে এ তিনটি হাদীস রর্ণনা করেছেন৷ তিনি (হুমায়দ ইবনু নাফি') বলেন, যায়নাব (রাঃ) বলেছেন, যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সহধর্মিণী উম্মু হাৰীবাহ্ (রাঃ)-এর পিতা আবু সুফ্‌ইয়ান ইন্‌তিকাল করেন তখন আমি তাঁর কাছে গেলাম৷ আমি দেখতে পেলাম যে, উম্মু হাৰীবাহ্ (রাঃ) হলদে বর্ণের মিশ্রিত সুগন্ধি আনলেন অথবা অন্য কোন প্রসাধনী চেয়ে পাঠালেন৷ এরপর তা থেকে একটি বালিকাকে নিজ হাতে লাগিয়ে দিলেন৷ এরপর তিনি তার দু' কপালে হাত মুছে নিলেন৷ এরপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমার সুগন্ধি ব্যবহারের কোন প্রয়োজন ছিল না৷ তবে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখে সে মহিলার জন্য তার কোন আত্মীয়ের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হালাল নয়I তবে বিধবা তার স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশদিন শোক পালন করতে পারবে৷ (ই.ফা ৩৫৮৭, ই.সে. ৩৫৮৭)


৩৬১৮

যায়নাব বিনত আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

এরপর আমি (রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহ্ধর্মিণী) যায়নাব বিনতু জাহ্শ (রাযীঃ)-এর কাছে গেলাম। সে সময় তার ভাই ইনতিকাল করেছিলেন। আমি দেখলাম, তিনিও সুগন্ধি চেয়ে পাঠালেন এবং তার থেকে স্পর্শ করলেন। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহ্‌র কসম! আমার সুগন্ধি ব্যবহারের কোন প্রয়োজন ছিল না। তবে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতে ঈমান রাখে তার জন্য মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের অধিক শোক পালন করা হালাল নয়৷ তবে স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশদিন শোক পালন করা যাবে৷ (ই.ফা. ৩৫৮৮, ই.সে. ৩৫৮৭)


৩৬১৯

যায়নাব বিনত আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

অতঃপর যায়নাব (রাঃ) বলেন, আমি আমার মা উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, একবার এক মহিলা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার কন্যাকে রেখে তার স্বামী ইন্তিকাল করেছেন৷ তার (শোক পালন করতে গিয়ে) চোখে অসুখ হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা কি তার চোখে সুরমা ব্যবহার করতে পারি? তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ 'না'৷ এরপর সে দুই কি তিন বার জিজ্ঞেস করল। প্রতিবারই তিনি বললেন, ‘না’। এরপর তিনি বললেন, তার ‘ইদ্দাত তো চারমাস দশদিন। অথচ জাহিলিইয়্যাহ যুগে তোমাদের একজন মহিলা বছরাস্তে উটের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করত। (ই.ফা. ৩৫৮৭, ই.সে. ৩৫৮৭)


৩৬২০

হুমায়দ ইবনু নাফি (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ

আমি যায়নাবকে বললাম, এ যাবৎ উটের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করার তাৎপর্য কী ছিল? তখন যায়নাব (রাঃ) বললেন, সে কালে কোন স্বামী ইন্তিকাল করলে স্ত্রীকে একটি সংকীর্ণ কক্ষে (কুঠরীতে) প্রবেশ করতে হত। ছিঁড়ে-ফাড়া কাপড়-চোপড় পরিধান করতে হত। সে কোন প্রসাধনী দ্রব্য স্পর্শ করতে পারত না কিংবা অন্য কোন সুগন্ধি ইত্যাদি ব্যবহার করত না। এমনিভাবে দীর্ঘ একটি বছর কেটে যেত। এরপর তার সামনে আনা হত গাধা, বকরী কিংবা পাখী জাতীয় কোন প্রাণী এবং সে ঐ প্রাণীকে স্পর্শ করে ‘ইদ্দাত পূর্ণ করত। সে যে প্রাণীকে স্পর্শ করত তা খুব কমই বাঁচত। এরপর সে ঐ সংকীর্ণ কুঠরী থেকে বের হয়ে আসত। তখন তার হাতে উটের বিষ্ঠা দেয়া হত এবং সে তা ছুঁড়ে মারত। এরপর সে তার পছন্দসই প্রসাধনী সুগন্ধি ইত্যাদি ব্যাবহারের প্রতি মনোযোগী হত। (ই.ফা. ৩৫৮৭, ই.সে. ৩৫৮৭)


৩৬২১

হুমায়দ ইবনু নাফি (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি বলেন, আমি যায়নাব বিনত উম্মু সালামাকে বলতে শুনেছি যে, উম্মু হাবীবাহ্‌ (রাঃ)-এর একজন নিকট আত্মীয় ইনতিক়াল করেন৷ এরপর তিনি হলুদ বর্ণের সুগন্ধি চেয়ে পাঠান এবং তার দু' বাহুতে মেখে নিলেন৷ এরপর তিনি বললেন, আমি তা এজন্য করলাম যে, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, যে মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে তার পক্ষে কারো মৃত্যুতে তিনদিনের বেশি শোক পালন করা হালাল নয়৷ তৰে স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন শোক পালন করা যাবে৷ (ই.ফা. ৩৫৮৮, ই.সে. ৩৫৮৮)


৩৬২২

যায়নাব বিনত আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

এ হাদীসখানা তার মা [উম্মু সালামাহ্ (রাযি:)] এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী যায়নাব (রাযি:) থেকে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৩৫৮৮, ই.সে. ৩৫৮৮)


৩৬২৩

হুমায়দ ইবনু নাফি (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি বলেন, আমি যায়নাব বিনতু উম্মু সালামাকে তাঁর মায়ের সূত্রে বলতে শুনেছি যে, এক মহিলার স্বামী মারা গেল৷ লোকেরা তার চোখের ব্যাপারে আশংকাবোধ করল৷ তখন তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলেন৷ তারা তাঁর কাছে মহিলার চোখে সুরমা ব্যবহারের অনুমতি চাইল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জাহিলিয়্যাত যুগে স্বামীর মৃত্যুতে তোমাদের কেউ কেউ সাদা-মাটা কাপড়-চোপড় কিংবা ছিঁড়ে-ফাড়া বস্ত্র পরিধান করে একটি সংকীর্ণ কক্ষে পুরো এক বছর (‘ইদ্দাত পালনের জন্য) অতিবাহিত করত৷ এরপর কোন কুকুর তার নিকট দিয়ে অতিক্রম করলে সে ঊটেব বিষ্ঠা নিক্ষেপ করে বাইরে বের হযে পড়ত৷ এ কুসংস্কারের পরিবর্তে চারমাস দশদিন পর্যন্ত প্রতীক্ষা করতে তোমরা কি সক্ষম হবে না? (ই.ফা. ৩৫৮৯, ই.সে. ৩৫৮৯)


৩৬২৪

হুমায়দ ইবনু নাফি (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি চোখে সুরমা ব্যবহার সংক্রান্ত উম্মু সালামাহ্‌ (রাযি:) বর্ণিত হাদীস এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণীগণের মধ্যে থেকে কোন একজনের বর্ণিত হাদীস উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি তার বর্ণনায় এতটুকু বেশি উল্লেখ করেছেন- “মুহাম্মাদ ইবনু জা‘ফার (রহ:) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। যায়নাব তার নাম উল্লেখ করেননি।” (ই.ফা. ৩৫৯০, ই.সে. ৩৫৯০)


৩৬২৫

হুমায়দ ইবনু নাফি (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি যায়নাব বিনতু আবূ সালামাকে উম্মু সালামাহ্‌ ও উম্মু হাবীবাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছেন। তাঁরা উল্লেখ করেন যে, জনৈকা মহিলা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলো। তিনি তাঁর (রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর) কাছে উত্থাপন করলেন যে, আমার মেয়ের স্বামী মারা গিয়েছে। (তার শোক পালন করতে গিয়ে) তার চোখে অসুখ হয়েছে। সে এখন তার চোখে সুরমা ব্যাবহার করতে চায়। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ (জাহিলিয়্যাত যুগে স্বামীর মৃত্যুতে) তোমাদের কেউ এক বছর পূর্তি পর্যন্ত উটের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করত। আর এখন তো মাত্র চারমাস দশদিন। (ই.ফা ৩৫৯১, ই.সে. ৩৫৯১)


৩৬২৬

যায়নাব বিনত আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি বলেন, যখন নবী (সা)-এর সহধর্মিণী হাবীবাহ্‌ (রাঃ)-এর কাছে তার পিতা আবূ সুফ্‌ইয়ানের ইনতিকালের খবর পৌঁছল তখন তৃতীয় দিনে তিত্নি হলুদ বর্ণের সুগন্ধি চেয়ে পাঠালেন এবং তার দু’হাতে গায়ে ভাল করে তা মেখে নিলেন। আর বললেন, আমার এর কোন প্রয়োজন ছিল না। তবে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে তার পক্ষে কারো মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হালাল নয়। তবে স্বামীর মৃত্যুর ব্যাপারটি স্বতন্ত্র। কেননা সে তার স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন শোক পালন করবে। (ই.ফা. ৩৫৯২, ই.সে. ৩৫৯২)


৩৬২৭

হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে মহিলা আল্লাহ ও শেষ বিচার দিবসের প্রতি ঈমান রাখে কিংবা যে মহিলা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান রাখে তার পক্ষে কোন মৃতের জন্য তিন দিনের অধিক শোক পালন করা হালাল নয়। তবে তার স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করবে। (ই.ফা. ৩৫৯৩, ই.সে. ৩৫৯৩)


৩৬২৮

নাফি‘ (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ

লায়স বর্ণিত হাদীসে অনুরূপ বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৩৫৯৪, ই.সে. ৩৫৯৪)


৩৬২৯

সাফিয়্যা বিনত আবূ উবায়দ (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধার্মিণী ‘উমারের কন্যা হাফ্‌সাহ্‌ (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। রাবী কর্তৃক বর্ণিত এ বর্ণনাটি লায়স ও ইবনু দীনার বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। তবে তার বর্ণনায় এতটুকু বেশি উল্লেখ আছে “কারণ সে তার (স্বামীর) জন্য চার মাস দশদিন শোক পালন করবে।” (ই.ফা ৩৫৯৫, ই.সে. ৩৫৯৫)


৩৬৩০

সাফিয়্যা বিনত আবূ উবায়দ (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ

তাদের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩৫৯৬, ই.সে. ৩৫৯৬)


৩৬৩১

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি বলেছেন, যে মহিলা আল্লাহ্‌ ও শেষ বিচার দিবসের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন তার কোন মৃতের জন্য তিন দিনের অধিক শোক পালন না করে। তবে স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করবে। (ই.ফা. ৩৫৯৭, ই.সে. ৩৫৯৭)


৩৬৩২

উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মহিলা তার কোন মৃতের জন্য তিন দিনের বেশি শোক পালন করবে না। তবে তার স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন পর্যন্ত শোক পালন করবে। এ সময় সীমায় (‘ইদ্দাতের মেয়াদকালে) সে রঙিন কাপড় চোপড় পরিধান করবে না। তবে কালো রঙে রঞ্জিত চাদর পরিধান করতে পারবে। সে চোখে সুরমা লাগাবে না এবং কোন সুগন্ধি ব্যাবহার করবে না এবং সে হায়য থেকে পবিত্র হলে (পবিত্রতার নিদর্শন স্বরূপ) কুস্‌ত ও আয্‌ফার নামক সুগন্ধি ব্যাবহার করতে পারবে। (ই.ফা. ৩৫৯৮, ই.সে. ৩৫৯৮)


৩৬৩৩

হিশাম ইবন উরওয়াহ (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ

উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। তবে এ হাদীসে ‘আম্‌র আন্ নাক্বিদ ও ইয়াযীদ ইবনু হারূন (রহঃ) উভয়ে বর্ণনা করেছেন যে, সে তার হায়য থেকে পবিত্র হওয়ার পর কুস্ত্ব ও আয্ফার নামক সুগন্ধি ব্যাবহার করতে পারবে। (ই.ফা. ৩৫৯৯, ই.সে. ৩৫৯৯)


৩৬৩৪

উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের কোন মৃতের জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তবে স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন পর্যন্ত শোক পালনের নিয়ম ছিল। আমরা চোখে (‘ইদ্দাতকালীন) সময়ে সুরমা লাগাতাম না, কোন প্রকার সুগন্ধি দ্রব্য ব্যাবহার করতাম না এবং রঙিন কাপড়-চোপড় পরতাম না। তবে আমাদের মধ্য থেকে কোন মহিলা যখন হায়য থেকে পবিত্র হয়ে গোসল করত তখন দুর্গন্ধ দূর করার জন্য তাকে কুস্‌ত ও আয্‌ফার নামক সুগন্ধি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হত। (ই.ফা. ৩৬০০, ই.সে. ৩৬০০)


লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন