সহিহ মুসলিম > হজ্জ > নাবালকের হাজ্জ করা জায়িয এবং যে ব্যক্তি তাকে হাজ্জ করতে সহায়তা করে, সে সাওয়াবের অধিকারী হবে

৩১৪৪

আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাওহা নামক স্থানে একদল আরোহীর সাক্ষাৎ পেলেন এবং তিনি বললেন, তোমরা কোন্ সম্প্রদায়ের লোক? তারা বলল, আমরা মুসলিম। তারা আরও জিজ্ঞেস করল, আপনি কে? তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল। এরপর এক মহিলা তাঁর সামনে একটি শিশুকে তুলে ধরে জিজ্ঞেস করল, এর জন্য হাজ্জ আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ এবং তোমার জন্য সাওয়াব রয়েছে। [৩৪] (ই.ফা. ৩১১৯, ই.সে. ৩১১৬)

[৩৪] এ হাদীস হতে কয়েকটি মাসআলাহ্ অবগত হওয়া যায়- (১) আমাদের জন্য মুসলিম উপাধি আখ্যা দেয়াই আসল, সহীহ এবং সুন্নাতী তরীকা, এটা ব্যতীত যেসব উপাধি প্রচলিত আছে যেমন হানাফী, শাফি’ঈ, হাম্বালী, মালিকী, চিশতী, নকশাবন্দী, কাদিরী ইত্যাদি নিখাত বিদ’আত এবং নবাবিষ্কৃত বিষয় । অতএব মু’মিন বান্দার নবাবিষ্কৃত উপাধি পরিহার করে সুন্নাতী উপাধি ধারণ করা কর্তব্য । (২) ছোট্ট বালকের হাজ্জ পালন সহীহ ও শারী’আত সম্মত এতে সাওয়াবের অধিকারী হবে । ইমাম শাফি’ঈ, আহমাদ, মালিক (রহঃ) এবং অধিকাংশ উলামার অভিমত এটাই, তবে এ হাজ্জটি নাফ্ল হিসেবে গণ্য হবে । এ হাদীসটিও তাদের দলীল । অন্যদিকে ইমাম হানিফা (রহঃ)-এর মত এর ব্যতিক্রম । তার মতে ছোট বাচ্চার হাজ্জ সহীহ নয়- এ মতটি হাদীসের বিপরীত হওয়ার কারণে বাতিল, প্রত্যাখ্যাত ও পরিত্যাজ্য । শুধু তার কথা কেন যার কথাই বা মত হাদীসের বিপরীত হবে তা বাতিল বলে গণ্য হয় । ক্বাযী আয়ায বলেছেন যে, একদল বিদ’আতী ব্যতীত বালকের হাজ্জ জায়িয হওয়ার বিষয়ে কারও মতবিরোধ নেই, ছোট্ট শিশুর ‘ইবাদাতের সাওয়াব তার পিতা-মাতার উপর বর্তাবে । এজন্য সে যদি হাজ্জ করে, অতঃপর বালেগ হওয়ার হাজ্জ করার সামর্থ্য লাভ করে তবে তার উপর আবার হাজ্জ করা ফারয্ ।

৩১৪৫

আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

তিনি বলেন, এক মহিলা তার শিশু পুত্রকে তুলে ধরে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! এর জন্য হাজ্জ হবে কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ এবং তোমার জন্য রয়েছে সাওয়াব। (ই.ফা. ৩১২০, ই.সে. ৩১১৭)


৩১৪৬

কুরায়ব (রহ.) থেকে বর্নিতঃ

এক মহিলা তার শিশুকে তুলে ধরে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! এর হাজ্জ হবে কি? হ্যাঁ এবং তোমার জন্য সাওয়াব হবে। (ই.ফা. ৩১২১, ই.সে. ৩১১৮)


৩১৪৭

আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ

এ সানাদ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩১২২, ই.সে. ৩১১৯)


লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন