সহিহ মুসলিম > যাকাত > খারিজী সম্প্রদায় ও তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা
২৩৩৯
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
তিনি বলেন, হুনায়নের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জি’রানাহ্ নামক স্থানে অবস্থান করেছিলেন। বিলাল (রাঃ)-এর কাপড়ে কিছু রৌপ্য ছিল এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুঠি ভরে তা লোকদেরকে দিচ্ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বলল- “হে মুহাম্মাদ! ইনসাফ কর।” তিনি বললেন, হতভাগা, আমিই যদি ইনসাফ না করি তাহলে কে ইনসাফ করবে? আর আমি যদি সুবিচার না করি তাহলে তুমি তো হতভাগ্য ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে। এ কথা শুনে ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে অনুমুতি দিন আমি এ মুনাফিক্বটাকে হত্যা করি। তিনি বললেন, আমি আল্লাহর আশ্রয় কামনা করি। তাহলে লোক বলবে, আমি আমার সঙ্গী-সাথীদের হত্যা করি। আর এ ব্যক্তি ও তার সাথীরা কুরআন পাঠ করবে- কিন্তু তাদের এ পাঠ তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না (অর্থাৎ অন্তরে কোন প্রকার আবেদন সৃষ্টি করবে না)। তারা কুরআন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়। (ই.ফা. ২৩১৭, ই.সে. ২৩১৮)
২৩৪০
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গনীমাতের মাল বন্টন করছিলেন ..... পূর্বের হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ২৩১৮, ই.সে. ২৩১৯)
২৩৪১
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
তিনি বলেন, একবার ‘আলী (রাঃ) ইয়ামান থেকে কিছু অপরিশোধিত স্বর্ণ অরসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে পাঠালেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা চার ব্যক্তি যথা- (১) আক্বরা’ ইবনু হাসিব আল হানযালী, (২) ‘উয়াইনাহ্ ইবনু বাদ্র আল ফাযারী, (৩) ‘আলক্বামাহ্ ইবনু ‘উলাসাহ্ আল ‘আমিরী ও (৪) বানী কিলার গোত্রীয় এক ব্যক্তির মধ্যে বন্টন করলেন এবং এরপর তায়ী গোত্রীয় যায়দ আল খায়র ও বানী নাব্হান গোত্রের এক ব্যক্তিতে এ থেকে দান করলেন। এতে কুরায়শ গোত্রের লোকেরা ক্ষেপে গিয়ে বললেন, “আপনি কেবল নাজ্দের নেতৃস্থানীয় লোকদের দান করেছেন আর আমাদের বাদ দিচ্ছেন, এটা কেমন ব্যাপার?” এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তাদের শুধু চিত্তাকর্ষণ অর্থাৎ তাদের অন্তরে ইসলামের প্রতি ভালবাসা ও অনুরাগ সৃষ্টির জন্য দিচ্ছি। এমন সময় ঘন দাড়ি, স্ফীত গাল, গর্তে ঢোকা চোখ, উঁচু ললাট ও নেড়া মাথা বিশিষ্ট এক ব্যক্তি এসে বললঃ হে মুহাম্মাদ! আল্লাহকে ভয় কর। তখন রসূউল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমিই যদি আল্লাহর অবাধ্য হই, তাহলে কে তাঁর অনুগত হবে? আল্লাহ আমাকে দুনিয়াবাসীদের জন্য আমানাতদার হিসেবে পাঠিয়েছেন আর তুমি আমাকে আমানাতদার মনে করছো না। এরপর লোকটি ফিরে চলে গেল। উপস্থিত লোকদের মধ্যে এক ব্যক্তি তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইল। লোকদের ধারণা, হত্যার অনুমতি প্রার্থী ছিলেন খালিদ ইবনু ওয়ালীদ। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এর মূলে এমন একটি সম্প্রদায় রয়েছে যারা কুরআন পাঠ করে অথচ তাদের এ পাঠ কন্ঠনালী অতিক্রম করে না (অর্থাৎ হৃদয়ে আবেদন সৃষ্টি করে না)। এরা ইসলামের অনুসারীদের হত্যা করে এবং মূর্তিপূজারীদের ছেড়ে দেয়। তীর যেভাবে শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায় তারাও অনুরূপভাবে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায়। যদি আমি তাদেরকে পেতাম তাহলে তাদেরকে এমনভাবে হত্যা করতাম যেভাবে ‘আদ সম্প্রদায়ের লোকদেরকে হত্যা করা হয়েছে (অর্থাৎ সমূলে নিপাত করতাম)। (ই.ফা. ২৩১৯, ই.সে. ২৩২০)
২৩৪২
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
তিনি বলেন, একবার ‘আলী (রাঃ) ইয়ামান থেকে বাবুল গাছের ডাল দিয়ে রঙ্গিন করা একটি চামড়ার থলিতে করে কিছু অপরিশোধিত স্বর্ণ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে পাঠালেন। তিনি তা চার ব্যক্তির মধ্যে বন্টন করলেন। তারা হলোঃ ‘উয়াইনাহ্ ইবনু বাদ্র, আক্বরা’ ইবনু হাবিস, যায়দ আল খায়ল এবং চতুর্থ ব্যক্তি হয় ‘আলক্বামাহ্ ইবনু ‘উলাসাহ্ অথবা ‘আমির ইবনু তুফায়ল। তাঁর সহাবীগনের মধ্যে এক ব্যক্তি বলল, তাদের তুলনায় আমরা এর হাক্বদার ছিলাম। বর্ণনাকারী বলেন, এ খবর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে পৌঁছলে তিনি বললেনঃ “আসমানের অধিবাসীদের কাছে আমি আমানাতদার বলে গণ্য অথচ তোমরা কি আমাকে আমানাতদার মনে করছ না? আমার কাছে সকাল-সন্ধ্যায় আসমানের খবর আসছে। অতঃপর গর্তে ঢোকা চোখ, ফোলা গাল বা স্ফীত গাল, উঁচু কপাল ঘন দাড়ি নেড়া মাথা বিশিষ্ট এক ব্যক্তি নিজের পরনের কাপড় সাপটে ধরে অপবাদের সুরে দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি তার ঘাড়ে আঘাত হানব না, হত্যা করব না? তিনি বললেনঃ না, কারণ হয়তো সে সলাত আদায়কারী হতে পারে। খালিদ (রাঃ) বললেন, অনেক নামাযী আছে যে মুখে এমন কথা বলে যা তার অন্তরের বিপরীত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ মানুষের অন্তর বা পেট চিরে দেখার জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়নি। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি বললেন, এর মূল থেকে এমন সব লোকের আবির্ভাব হবে যারা সহজেই আল্লাহর কিতাব (কুরআন) পড়তে পারবে, কিন্তু এ পাঠ তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রাবী বলেন, আমার মনে হয়, তিনি বলেছেনঃ যদি আমি তাদেরকে পাই, তাহলে সামূদ জাতির ন্যায় তাদেরকে হত্যা করব। (ই.ফা. ২৩২০, ই.সে. ২৩২১)
২৩৪৩
উমারা ইবনু কা'কা (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ
এ সূত্রেও উপরের হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এ সূত্রে ‘আলক্বামাহ ইবনু উলাসার নাম উল্লেখ আছে, ‘আমির ইবনু তুফায়লের নাম উল্লেখ নেই। এ বর্ণনায় ‘স্ফীত কপাল’ উল্লেখ আছে এবং ‘নাশিযু’ শব্দের উল্লেখ নেই। এতে আরো আছে, ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি তার ঘাড়ে আঘাত হানব না? তিনি বললেন, না। তিনি আরো বললেন, অচিরেই এদের বংশ থেকে এমন একটি দলের আবির্ভাব হবে যারা সুমিষ্ট সুরে সহজে কুরআন পাঠ করবে। ‘উমার (রাঃ) বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছেন, আমি যদি তাদের সাক্ষাৎ পেতাম তাহলে সামূদ জাতির মতো হত্যা করতাম। (ই.ফা. ২৩২১, ই.সে. ২৩২২)
২৩৪৪
উমারা ইবনু কা'কা (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ
কিছুটা শাব্দিক পার্থক্য সহকারে এ সূত্রে উপরের হাদীস অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২৩২৩, ই.সে. ২৩২৩)
২৩৪৫
আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) থেকে বর্নিতঃ
তারা উভয়ে আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাযীঃ)-এর কাছে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে হারূরিয়াহ্ (খারিজী জাতি) সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে শুনেছেন? তিনি বলেন, ‘হারূরিয়াহ্’ কে তা আমি জানি না, তবে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ “এ উম্মাতের মধ্যে এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হবে (কিন্তু তিনি তখনকার উম্মাতকে নির্দিষ্ট করে বলেননি) যাদের সলাতের তুলনায় তোমরা নিজেদের সলাতকে নিম্নমানের মনে করবে। তারা কুরআন পাঠ করবে, অথচ এ পাঠ তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে- তীর ছুঁড়লে যেভাবে বেরিয়ে যায়। অতঃপর শিকারী তার ধনুক, তীরের ফলা এবং এর পালকের দিকে লক্ষ্য করে। সে এর লক্ষ্য বস্তুর দিকে দৃষ্টি প্রসারিত করে চিন্তা করে তীরের কোন অংশ রক্তে রঞ্জিত হয়েছে কিনা (অর্থাৎ তাদের মধ্যে ইসলামের নামগন্ধ এবং সামান্যতম চিহ্নও থাকবে না)। (ই.ফা. ২৩২৩, ই.সে. ২৩২৪)
২৩৪৬
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম এবং তিনি কিছু জিনিস বন্টন করেছিলেন। এমন সময় বানী তামীম গোত্রের যুল-খুওয়াই সিরাও নামক এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! ইনসাফ করুন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হতভাগ্য, তোমার জন্য আফসোস! আমি যদি ইনসাফ না করি, তাহলে কে ইনসাফ করবে? আমি যদি ইনসাফ না করি তাহলে তুমি তো ক্ষতিগ্রস্ত ও বিফল হয়ে যাবে। অতঃপর ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে তার শিরচ্ছেদ করার অনুমতি দিন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে ছেড়ে দাও, কেননা তার কিছু সঙ্গী সাথী রয়েছে যাদের সলাত সিয়ামের তুলনায় তোমাদের সলাত সিয়াম নিম্নমানের বলে মনে হয়। তারা কুরআন পাঠ করবে অথচ তা তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তীর যেভাবে শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়। তারাও সেভাবে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে। অতঃপর সে (ধনুকধারী) তীরের ফলার মূলভাগ পরীক্ষা করে দেখে। এতেও সে কিছুই দেখতে পায় না, তারপর সে তীর পরীক্ষা করে দেখে এতেও সে দেখে না। অবশেষে সে তীরের পালক পরীক্ষা করে দেখে এতেও সে কিছু পায় না, তীর এত দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যায় যে, রক্ত বা মলের দাগ এতে লাগতে পারে না। এ সম্প্রদায়কে চেনার উপায় হলো, এদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তির আবির্ভাব হবে যার এক বাহুতে মহিলাদের স্তনের ন্যায় একটি অতিরিক্ত মাংসপেশী থাকবে এবং তা থলথল করতে থাকবে। এদের আবির্ভাব এমন সময় হবে যখন মানুষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেবে। আবূ সা’ঈদ (রাঃ) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এ কথা আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে শুনেছি এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, ‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) তাদের সাথে যখন যুদ্ধ করেছিলেন, আমি স্বয়ং তার সাথে ছিলাম। অতঃপর তিনি উল্লেখিত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে আনার জন্য নির্দেশ দিলেন। তাকে খুঁজে পাওয়া গেল এবং ‘আলীর সামনে উপস্থিত করা হলো। আমি তাকে প্রত্যক্ষ করে দেখলাম তার মধ্যে সব চিহ্ন ও বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে যা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সম্বন্ধে বলেছেন। (ই.ফা. ২৩২৪, ই.সে. ২৩২৫)
২৩৪৭
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন এক সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করলেন যারা তার ক্বওমের মধ্যে আবির্ভাব হবে। সমাজে তখন বিভেদ বিশৃংখলা ছড়িয়ে পড়বে এ সময় আত্মপ্রকাশ করবে। আর তাদেরকে চিনাত উপায় হলো - তারা নেড়া মাথা বিশিষ্ট হবে। তিনি আরো বলেছেন, এরা হবে নিকৃষ্টতম সৃষ্টির নিকৃষ্ট লোক তাদের দু’দলের মধ্যে এমন দলটি হত্যা করবে যারা হবে হাক্বের নিকটতর। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের মধ্যে একটি উদাহরণ অথবা একটি কথা বলেন। তা হলো - কোন ব্যাক্তি শিকারের দিকে অথবা লক্ষ্যবস্তুর দিকে তীর নিক্ষেপ করল অতঃপর সে তীরের ফলার দিকে লক্ষ্য করল। কিন্তু কোন চিহ্ন দেখতে পায় না, সে তীরের দিকে তাকিয়ে দেখে - তাতেও কোন চিহ্ন দেখতে পায় না। আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, সে ইরাকের অধিবাসীগণ! তোমরাই তাদেরকে [আলী (রাঃ) -এর সাথে মিলে] হত্যা করেছো। (ই.ফা. ২৩২৫ ই.সে. ২৩২৬)
২৩৪৮
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন মুসলিমের মধ্যে কলহ ও মতভেদ সৃষ্টি হবে তখন একদল লোক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং এ দু’দলের মধ্যে যেটি হাক্বের অধিকতর নিকটবর্তী হবে সেটিই ঐ সম্প্রদায়কে হত্যা করবে। (ই. ফা. ২৩২৬ ই. সে. ২৩২৭)
২৩৪৯
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাত দু’দলে বিভক্ত হয়ে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এর মধ্যে যে দলটি হাক্বের অধিকতর নিকটবর্তী হবে সেটিই ঐ সম্প্রদায়কে হত্যা করবে। (ই.ফা. ২৩২৭ ই.সে. ২৩২৮)
২৩৫০
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “লোকদের মাঝে যখন কলহ ও বিবাদের সৃষ্টি হবে তখন একদল লোক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এর মধ্যে যে দলটি হাক্বের অধিকতর নিকটবর্তী হবে সেটিই অপরটিকে হত্যা করবে।” (ই.ফা. ২৩২৮ ই.সে. ২৩২৯)
২৩৫১
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
যখন বিভিন্ন প্রকার কলহের আবির্ভাব হবে তখন একটি দল বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং দু’দলের মধ্যে যেটি সত্যের অধিক নিকটতর সেটি তাদের হত্যা করবে। (ই.ফা. ২৩২৯ ই.সে. ২৩৩০)