📘 আকাবিরদের জ্ঞান সাধনার গল্প > 📄 লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতার শিক্ষা

📄 লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতার শিক্ষা


এক ব্যক্তি হজরত রহ.-এর বরাবরে চিঠি লিখল যে, আমি যুবক বুজুর্গের হাতে বাইআত হয়েছি। এমতাবস্থায় একবার আমি খাবে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জিয়ারত লাভ করেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, তুমি যে বুজুর্গের হাতে বাইআত হয়েছ, তার সাথে তোমার লৌকিকতামুক্ত অবস্থা খুব বেশি, তাই তার দ্বারা তোমার উপকার হবে না, বিধায় তুমি মাওলানা আশরাফ আলি সাহেবের কাছে গিয়ে তার থেকে শিক্ষা-দীক্ষা গ্রহণ করো।

হজরত হাকিমুল উম্মত রহ. এ পত্রের জবাবে লিখলেন, তুমি তোমার বর্তমান শাইখ থেকে তোমার ব্যাপারে আমার কাছে এ কথা লিখিয়ে পাঠাও যে, 'এ লোকটি নির্ভরযোগ্য, তার কথা নির্ভর করার মতো।' (অর্থাৎ, হজরত বলতে চাচ্ছেন যে, তুমি যে খাবের কথা আমার কাছে লিখেছ, তা যে তুমি ঠিকই লিখছ তা আমি বুঝব কীভাবে, এ ব্যাপারে বর্তমান শাইখ যদি আমাকে এ কথা বলে দেন যে, তুমি যা বলবে তা নির্ভর করার মতো; তবেই আমি তোমার কথা বিশ্বাস করে তোমাকে আমার কাছে বাইআত হওয়ার অনুমতি দিতে পারি।)

অনেক ক্ষেত্রেই এরূপ দেখা গেছে যে, অনেকে বুজুর্গানে দীনের নৈকট্যলাভের জন্য বিভিন্ন অবাস্তব ঘটনা ও স্বপ্নের কথা বর্ণনা করে থাকে, যা তাদের নিজেদের জন্য ফিতনার কারণ আর অন্যদের জন্য পেরিশানি ও অস্থিরতার কারণ হয়। হজরত রহ. নিজে এ পদ্ধতির মাধ্যমে সর্বরকম অনিষ্টতার বিষয়গুলো সমূলে বিদূরিত করে রেখেছেন এবং পূর্বের শাইখের অন্তরকে ব্যথিত করা থেকেও রক্ষা করেছেন।

📘 আকাবিরদের জ্ঞান সাধনার গল্প > 📄 প্রত্যেক কাজ সীমার মধ্যে থেকে করার প্রয়োজনীয়তা

📄 প্রত্যেক কাজ সীমার মধ্যে থেকে করার প্রয়োজনীয়তা


হজরত রহ. বলেন, আল্লাহ পাকের খাশিয়্যত ও ভয়ই হলো সকল সৌন্দর্য ও মঙ্গলের উৎসমূল এবং এর ফজিলতও বিরাট। এর পরেও যদি সীমা অতিক্রম করে তবে তা মানুষকে অকর্মণ্য ও বেকার করে দেয়। এ জন্য হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে খাশিয়্যতুল্লাহ বা আল্লাহর ভয় জাগ্রত করার জন্য যে দুআর কথা বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাও বলেছেন—

اللهم اقسم لي من خشيتك ما تحول به بینی و بین معاصيك
আয় আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার খাশিয়্যত ও ভয় এ পরিমাণ দান করুন; যা আমার গুনাহ করার পথে অন্তরায় এ প্রতিবন্ধক হতে পারে।

ওপরের আলোচনায় 'আপনার ভয় এই পরিমাণ দান করুন যা আমার গুনাহ করার ক্ষেত্রে অন্তরায় হতে পারে' বলে যে কথাটি বলা হয়েছে, তা থেকে বোঝা যায় যে, যদি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায় তবে তা মানুষের সহ্যসীমার ভেতরে থাকে না, ফলে তা মানুষকে বেকার ও অথর্ব বানিয়ে দেয়।

এর মোকাবিলায় আল্লাহ পাকের সাক্ষাৎ লাভ দর্শনাকাঙ্ক্ষাও অনেক বড়ো নিয়ামত। তবে সে ক্ষেত্রে দুআ করার জন্যও হাদিস শরিফের বাক্য নিম্নরূপ :
وضوقا الى لقائك في غير ضراء مضرة ولا فتنة مضلة

অর্থাৎ, আয় আল্লাহ! আমাকে আপনার সাক্ষাৎ লাভ ও দর্শনাকাঙ্ক্ষা দান করুন এবং তা যেন এমন কঠিন রোগ কিংবা কঠিন বিপদ ও ফিতনার কারণ না হয়, যে রোগ বা বিপদের কারণে আমি মওতের আকাঙ্ক্ষা করতে বাধ্য হই।

মহান আল্লাহর সাক্ষাৎ ও দর্শন লাভের পথ তো পরিষ্কার; আর তা হলো ইন্তেকাল। ইন্তেকাল করা ছাড়া এমনটি সম্ভব নয়। এ কারণে মওতকে আল্লাহ পাকের সাক্ষাৎ ও দর্শন লাভের জন্য প্রিয় মনে করাটাও একটা বড়ো নিয়ামত। কিন্তু কোনো কোনো সময় মানুষ কোনো অসহ্য কষ্ট কিংবা বিপদের কারণে মওতের আকাঙ্ক্ষা করতে বাধ্য হয়। সে ধরনের মুসিবত তো প্রশংসনীয় নয়। এ কারণে আল্লাহ পাকের সাক্ষাৎ লাভের আগ্রহের বিষয়টিকেও এ কথাটির সাথে সংশ্লিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

📘 আকাবিরদের জ্ঞান সাধনার গল্প > 📄 দেওবন্দের বিশিষ্ট মুরব্বিশেষর মাঝে আল্লাহ পাকের ভয় ও বিরোধীদের সাথে আচরণ

📄 দেওবন্দের বিশিষ্ট মুরব্বিশেষর মাঝে আল্লাহ পাকের ভয় ও বিরোধীদের সাথে আচরণ


সাইয়্যেদুত তায়েফাহ বা আধ্যাত্মিক কাফেলার সরদার হজরত মাওলানা রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি রহ. যখন বিদআতি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে খণ্ডনমূলক কিছু পুস্তক লিখলেন, তখন বিদআতি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে গালিগালাজের ঝড় বইতে লাগল। দু-একজন কট্টর ও প্রসিদ্ধ বিদআতি হজরত গাঙ্গুহি রহ.-এর বিরুদ্ধে বেশ কিছু বইপত্রও লিখল। যার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হজরত গাঙ্গুহি রহ.-এর প্রতি বিভিন্ন কটূক্তি ও গালমন্দে পূর্ণ ছিল। সেসব বইপত্র তারা একের পর এক ধারাবাহিকভাবে প্রচার করে যাচ্ছিল। হজরত গাঙ্গুহি রহ. তখন দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। তখন (হজরত শাইখুল হাদিস মাওলানা মুহাম্মদ জাকারিয়া রহ.-এর পিতা মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া সাহেব কান্ধলভি রহ. হজরত রহ.-এর বিশেষ খাদেম ও হজরতের বিশ্বস্ত ব্যক্তি ছিলেন। যেসব চিঠি হজরত গাঙ্গুহি রহ.-এর বরাবরে আসত সেগুলো তিনি হজরত রহ.-কে পাঠ করে শুনাতেন এবং জবাব লেখার দায়িত্বও তার ওপরই ন্যস্ত ছিল। ওই সব চিঠির সাথে ওই বিদআতিদের লেখা বইপত্রও থাকত। (হজরত রহ.-কে সেগুলো পড়েও শুনানো হতো)। হঠাৎ বেশ কিছুদিন যাবৎ হজরত মাওলানা ইয়াহইয়া সাহেব ওই ধরনের কোনো বইপত্র হজরত রহ.-কে পড়ে শুনাচ্ছেন না দেখে হজরত গাঙ্গুহি রহ. জিজ্ঞাসা করলেন, 'মৌলভী ইয়াহইয়া! আমার বন্ধুরা কি এখন আমাকে স্মরণ করা ছেড়ে দিয়েছে? অনেক দিন হলো তাদের কোনো চিঠিপত্র আসছে না যে? তখন মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া সাহেব আরজ করলেন যে, ওদের বই তো বেশ কয়েকটাই এসেছে, কিন্তু সেগুলো আমার পড়তে ইচ্ছে করে না। হজরত রহ. জানতে চাইলেন, কেন? তখন মাওলানা ইয়াহইয়া সাহেব বললেন, এগুলো তো গালিগালাজে পূর্ণ। এ কথা শুনে প্রথমে হজরত রহ. বললেন, আরে মিয়া, দূর থেকে গালি দিলে তাও কি মানুষের গায়ে লাগে নাকি? এরপর তিনি বললেন, সে বই ও চিঠিগুলো আমাকে অবশ্যই পাঠ করে শোনাও। আমরা তো এ নিয়তে শুনব যে, তার মধ্যে কোনো কথা যদি গ্রহণযোগ্য হয় তবে তা গ্রহণ করব; আর সঠিক অর্থেই যদি তারা আমারেদ কোনো ভুলের ব্যাপারে সতর্ক করে থাকে তবে সেমতে আমরা নিজেদের সংশোধন করে নেব।

এরাই হলেন সত্যসন্ধানী, আল্লাহভীরু আলেম। যাদের কারও সাথে কোনো মতপার্থক্যের সৃষ্টি হলে তাও হতো একমাত্র আল্লাহপাকের সন্তুষ্টির জন্য এবং যারা বিরুদ্ধবাদীদের গালমন্দের সময়ও প্রতিশোধস্পৃহা এবং নিজের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ ও বিভিন্ন তাবিল বা ব্যাখ্যা খোঁজ করার পরিবর্তে নিজের শুদ্ধি ও সত্যানুসন্ধানের পথ খুঁজে নেন।

ওইসব লোক কত বড়ো জালিম, যারা এ সকল বুজুর্গানে দীনের ওপর বিভিন্ন অপবাদ লাগিয়ে তাদের দুর্নাম ছড়িয়েছে এবং সাধারণ লোকদেরকে তাদের লেখা বইপত্র পড়তে এবং তাদের সান্নিধ্যে গমন করতে বারণ করছে। একটা বাস্তব কথা হচ্ছে, যারা শুধু দূরে বসে বুজুর্গানে দীনের প্রতি বদনাম-দুর্নাম ও কুধারণা করে বসে থাকেনি, বরং তাদের কাছে এসে তাদের সংস্পর্শ লাভ করেছে, তাদের লেখা বইপত্র ইনসাফের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পাঠ করেছে, তারা এমনিতেই তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছে। তাদের ভুল ধারণাও ভেঙে গেছে। বিভিন্ন মতপার্থক্যের ক্ষেত্রে যদি এ পন্থা অবলম্বন করা হয়, তবে মুসলমানদের মধ্যকার পারস্পারিক লড়াই-ঝগড়ার ফিতনা-ফ্যাসাদ আর বাকি থাকতে পারে না। মতপার্থক্যও তার নির্ধারিত সীমার মধ্যে সীমিত থাকতে পারে। কিন্তু এ জন্য প্রয়োজন আল্লাহ পাকের ভয় ও অহংকারমুক্ত হৃদয়। বর্তমানে যার ব্যাপক অভাব ও দুর্ভিক্ষ লক্ষ করা যাচ্ছে।

📘 আকাবিরদের জ্ঞান সাধনার গল্প > 📄 হুজ্জাতুল ইসলাম হজরত মাওলানা মুহাম্মদ কাসেম রহ. স্বপ্রশ্নতার অস্থিরতা ও হজরত গাঙ্গুহি রহ.-এর পরামর্শ

📄 হুজ্জাতুল ইসলাম হজরত মাওলানা মুহাম্মদ কাসেম রহ. স্বপ্রশ্নতার অস্থিরতা ও হজরত গাঙ্গুহি রহ.-এর পরামর্শ


হজরত মাওলানা মুহাম্মদ কাসেম রহ.-এর ইলমি ও আমলি যোগ্যতা ও পূর্ণতা সম্পর্কে অবগত নন এমন কোনো সচেতন মুসলমান সম্ভবত খুঁজে পাওয়া যাবে না। তার বিনয় ও নম্রতার অবস্থা এই ছিল যে, যখন তিনি জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে আর্থিক প্রয়োজনীয়তার দিক অনুভব করলেন, তখন তা পূর্ণ করার জন্য দিল্লির একটি প্রকাশনীতে (মুজতাবায়ি প্রকাশনী) কিতাবপত্র শুদ্ধ করার দায়িত্ব নিয়ে কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত হলেন। সেখানে হজরত নানুতবি রহ.-এর সর্বমোট ওজিফা ছিল দশ টাকা। হঠাৎ একবার এ দশ টাকা গ্রহণ করার ব্যাপারেও তার মনের মাঝে যখন দ্বিধা-সংকোচ অনুভব করলেন। তখন তিনি আপন শাইখ হজরত হাজি এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি রহ.-এর সাথে এই বলে পরামর্শ করলেন যে, এই ওজিফা গ্রহণটাও ছেড়ে দিতে চাই এবং যা-ই খেদমত করব তা আল্লাহর ওয়াস্তে বিনা বেতনেই করতে চাই।

হজরত হাজি সাহেব রহ. তৎকালীন যুগের ইমাম ছিলেন। তিনি তখন বললেন, আপনি মাসিক ওজিফা ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে আমার কাছে পরামর্শ চেয়েছেন। কোনো ব্যাপারে পরামর্শ চাওয়া সে ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকার প্রমাণ বহন করে, আর দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবস্থায় কামাই-রুজির উপকরণ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা একটি বাড়তি অস্থিরতার কারণ হয়। উপায়-উপকরণ পরিত্যাগ করা তো শুধু ওই সময় জায়েজ হয়, যখন মানুষ তার অবস্থা ও হালতের কাছে মাগলুব বা পরাজিত হয়ে যায়। হজরত রহ. বলেন, হজরত হাজি সাহেব রহ.-এর তাওয়াক্কুল বা ভরসা ছিল অত্যন্ত উঁচু স্তরের। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের কঠিনতম অবস্থা তিনি অতিক্রম করেছেন, তা সত্ত্বেও তিনি মুরিদদের ব্যাপারে সর্বদাই এ সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন, যাতে তাদেরকে কোনোরূপ অস্থিরতায় নিপতিত হতে না হয়।

ঋণগ্রস্ততার অস্থিরতা ও হজরত গাঙ্গুহি রহ.-এর পরামর্শ
কানপুর মাদরাসার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর হজরত থানবি রহ. সম্পূর্ণ সামানহীনভাবে আল্লাহ পাকের ওপর ভরসা করে থানাভবনের খানকায় অবস্থান করতে থাকলেন। সে সময় ঘরের টুকিটাকি প্রয়োজন পূরণ করতে গিয়ে প্রায় দেড়শ টাকা করজ হলে গেল। তখন হজরত হাজি সাহেব রহ. আর দুনিয়াতে নেই। হজরত হাজি সাহেব রহ.-এর পর হজরত হাকিমুল উম্মত রহ. হজরত গাঙ্গুহি রহ.-কে নিজের শাইখের স্থলাভিষিক্ত মনে করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য তার শরণাপন্ন হতেন। সেমতে তখনকার অবস্থা ও করজ আদায়ের জন্য দুআর দরখাস্তসহ হজরত গাঙ্গুহি রহ.-এর বরাবর চিঠি লিখলেন।

জবাব এলো-দেওবন্দ মাদরাসায় খেদমতের একটি পদ খালি আছে, যদি আপনি সম্মত থাকেন তবে আমি তাদেরকে এ ব্যাপারে লিখে দিতে পারি। হজরত থানবি রহ. বলেন, এ চিঠি পেয়ে আমি একটু দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে গেলাম। কারণ, এখন যদি আমি দেওবন্দে খেদমতের দায়িত্ব গ্রহণ করি তবে হজরত হাজি সাহেব রহ.-এর কথা রক্ষা করা হয় না। আর যদি এ দায়িত্ব গ্রহণ না করি, তবে হজরত গাঙ্গুহি রহ.-এর সাথে বেয়াদবি হয়। কারণ, তিনি নিজে আগ্রহ করে বিষয়টি আমাকে বলার পরেও তা গ্রহণ না করাটা তো বেয়াদবিই হয়। কিন্তু আল্লাহ পাক দয়া করে অন্তরে একটা সুন্দর জবাব উদয় করে দিলেন। আমি হজরত গাঙ্গুহি রহ.-এর পত্রের জবাবে লিখলাম, 'হজরত! আমার পূর্বের পত্রের উদ্দেশ্য ছিল শুধু দুআর আবেদন করা, কোনো চাকুরি বা জীবন ধারণের উপকরণ অন্বেষণ আমার উদ্দেশ্য ছিল না। কারণ, হজরত হাজি সাহেব রহ. আমাকে এ উপদেশ দিয়েছিলেন যে, কানপুরের দায়িত্ব ছেড়ে দিলে আর কখনো কোথাও দায়িত্ব নিয়ো না।

বর্তমানে আমি আপনাকেই হজরত হাজি সাহেব রহ.-এর স্থলাভিষিক্ত বলে মনে করি। সুতরাং এখন এমতাবস্থায় হজরতের হুকুমমতে যদি আমি পুনরায় কোনো দায়িত্ব গ্রহণ করি তবে সেটাকেও আমি হজরত হাজি সাহেব রহ.-এর হুকুম বলেই ধরে নেব। এবং পূর্বের হুকুমকে রহিত বলে ধরে নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করে নেব। এ কথার ওপর হজরত গাঙ্গুহি রহ. জবাব পাঠালেন, 'আপনি এখন আর কোনো চাকুরি বা দায়িত্ব নেবেন না। ইনশাআল্লাহ আপনার কোনো অস্থিরতাও আর থাকবে না।

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন