📘 অলসতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ > 📄 নবী আদেশ কার্যকর হবেই - জান্নাত তরবারির ছায়াতলে

📄 নবী আদেশ কার্যকর হবেই - জান্নাত তরবারির ছায়াতলে


নববী আদেশ কার্যকর হবেই
ভেবে দেখেন তো, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি আমাদের কাউকে সরাসরি সম্বোধন করে বলেন—
এই শোনে, তোমার এই কাজটি এইভাবে করো, ওইটা ওইভাবে করো।
তাহলে আমাদের কেউ সেই কাজ বাস্তবায়নে গড়িমশি করার দুঃসাহস দেখাব? তো এই জায়গা থেকেই প্রশ্ন হলো—
⇒ নবীজি আমাদের সরাসরি বলা আর তার পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধি পাঠানোর মাঝে পার্থক্যটা কী?
⇒ তাঁর নিজ মুখের আদেশ আর লিখিত কিতাব আকারে আসা নির্দেশ—যা শেষে গিয়ে একই বিষয়; দুটোর মাঝে কী ব্যবধান?
⇒ আপনারা কি এমন কোনো ব্যবসায়ী দেখেছেন, যে লাভবান হতে হতে ক্লান্ত হয়ে যায়?
⇒ অথবা মূলপুজির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লাভ হবে—এমন কোনো চুক্তির মাঝপথে গিয়ে ঘুমিয়ে যায়?
=> তাদের কাউকে কি এমন কথা বলতে শুনেছেন যে, আমি এত সম্পদ ও এত এত লাভে বিরক্ত?
=> তবে কী হলো আপনাদের? পরকাল উপার্জনে অলসতা করছেন যে? পরকালের সওয়াব লাভে বিমুখ হয়ে আছেন যে!
এভাবে দুর্বলতা আপনাদের মনে স্থায়ী আসন গেড়ে নেবে, অলসতা হয়ে যাবে আপনার একান্ত অতিথি। যে কদিন পরপরই আসবে আপনার সাক্ষাৎ লাভের জন্য।
জান্নাত তরবারির ছায়াতলে
আমল যত কঠিন হবে, সওয়াব ততই বেশি হবে। আর জিহাদের চেয়ে কঠিন কোনো আমল নেই। জিহাদ হলো, জান-মাল খরচ করা, পরিবার-পরিজন ত্যাগ করা। এজন্যই নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই মহাপুরস্কার রণাঙ্গণে নির্ধারণ করে বলেছেন-
জান্নাত তরবারীর ছায়াতলে। ৫৫
আমাদের কেউ যখন শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করে তখন আমরা যেন জেনে নিই, তার রক্তকে যদি কথা বলার অনুমতি দেওয়া হতো, তবে সে চিৎকার করে বলত-
আমার জন্য ব্যথিত হয়ো না; বরং তোমরা নিজেদের জন্য আফসোস করো যে, তোমরা আমার মতো আশ্রয়স্থলের সন্ধান এখনো পেলে না।
আমার জন্য শোকাহত হয়ে অশ্রু ঝরাতে যেয়ো না; বরং আমার কাছে যা আছে সে জন্য আনন্দের অশ্রু ঝরাও।
একে আপনার যাত্রার শেষ গন্তব্য অথবা উপন্যাসের সমাপ্তি মনে করবেন না। বরং, আল্লাহর শপথ, এ হচ্ছে যাত্রার প্রথম গন্তব্য এবং উপন্যাসের সূচনা পৃষ্ঠা। এক নতুন গল্পের শুরু। যে গল্পের নাম, জান্নাত। যার চেয়ে নেই চমৎকার কোনো কিছু।

টিকাঃ
৫৫ হাদিসের মান: সহিহ, আবু মুসা আশয়ারী রা. এর সূত্রে বুখারি, মুসলিম ও হাকিমড়সহিহুল জামে : ৩১১৭

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন