📘 আত্মবিচার বিশুদ্ধ জীবনের ভিত্তি > 📄 অন্তর ভালো কাজে সায় না দিলে কী করবেন?

📄 অন্তর ভালো কাজে সায় না দিলে কী করবেন?


১৪১. বিখ্যাত হাদিসবিশারদ, মুজাহিদ ও বুজুর্গ আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমাদের পূর্বে যেসব নেককার ব্যক্তিগণ গত হয়েছেন, তারা তাদের অন্তরকে এভাবে প্রশিক্ষিত করে তুলেছিলেন যে, তাদের অন্তর ভালো কাজে এমনিতেই সায় দিত এবং সমর্থন করত। পক্ষান্তরে আমাদের অন্তর কোনো ভালো কাজে জোর-জবরদস্তি ছাড়া সম্মতি দেয় না। ব্যস, যেহেতু জোর করা ছাড়া সম্মতি দেয় না, তাই জোর করেই তাদেরকে ইবাদতে নিয়োগ করতে হবে।

📘 আত্মবিচার বিশুদ্ধ জীবনের ভিত্তি > 📄 ব্যভিদের বিরুদ্ধে নফসের অভিযোগ

📄 ব্যভিদের বিরুদ্ধে নফসের অভিযোগ


১৪২. মালেক ইবনে দিনার রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমাকে জনৈক শায়খ বলেছেন, তিনি নবীজির জমানা পেয়েছিলেন। তিনি একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় সাহাবাগণের সামনে নসিহত পেশ করলেন। নসিহতে তিনি বললেন, হে লোকসকল! তোমরা কি নিজেদের নফসের প্রতি খেয়াল করে দেখেছ, এদেরকে যদি আজ তুমি সুখ দাও, তাদের কামনা অনুসারে পরিচালিত হও এবং এর চাহিদা পূরণ করে চলো, তবে কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তাআলার সামনে এরা তোমাকে ভর্ৎসনা করবে, লাঞ্ছিত করবে এবং তোমার বিরুদ্ধে নালিশ দেবে। আর যদি এর বিরোধিতা করো, তার প্রতি কঠোরতা করো এবং সরল পথে পরিচালিত করো, তবে কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তাআলার সামনে এরা তোমার প্রশংসা করবে। সুতরাং চিন্তা করো দেখো, এটাই তোমাদের প্রাণ, তোমাদের নফস। অতএব, তোমাদের নফসকে কীভাবে পরিচালিত করবে সেটা ভেবে দেখো।

📘 আত্মবিচার বিশুদ্ধ জীবনের ভিত্তি > 📄 দেহকে জান্নাতে যাওয়ার বাহনে পরিণত করা

📄 দেহকে জান্নাতে যাওয়ার বাহনে পরিণত করা


১৪৩. সুমাইত ইবনে আজলান রাহিমাহুল্লাহ বলতেন, হে লোকসকল! আমি তো তোমাদের দেহগুলোকে একমাত্র জান্নাত বা জাহান্নামের বাহন বলেই মনে করি। সুতরাং তোমরা নিজেদেরকে আল্লাহর ইবাদতের মধ্যে নিয়োগ করো এবং দেহগুলোকে জান্নাতে যাওয়ার বাহনে পরিণত করো। জাহান্নামে যাওয়ার বাহনে পরিণত করো না।

📘 আত্মবিচার বিশুদ্ধ জীবনের ভিত্তি > 📄 নিজেকে জান্নাতের অযোগ্য মনে করা

📄 নিজেকে জান্নাতের অযোগ্য মনে করা


১৪৪. কায়স ইবনে আম্বারি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি সাখর ইবনে আবু সাখর রাহিমাহুল্লাহকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমের ইবনে আব্দুল্লাহ নিজের নফসের সমালোচনা করে বলতেন, 'আমি কি জান্নাতি হব? আমি কি জান্নাতবাসীদের একজন হতে পারি? আমার মতো ব্যক্তি কি জান্নাতে প্রবেশ করার যোগ্যতা রাখে?' এ কথা বলে বলে তিনি নিজেকে তিরস্কার করতেন।

বস্তুত নিজের আত্মার সমালোচনা করা যেমন প্রশংসনীয় গুণ, তেমনইভাবে বিনয় ও নম্রতাও অত্যন্ত প্রশংসনীয় গুণ। যে যত বিনয়ী হবে, সে তত আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করতে পারবে। এক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার জন্য বিনয়ী হবে, আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন, আর যে অহংকারী হবে আল্লাহ তাআলা তাকে অপদস্থ করবেন।

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন