📄 হাসান ইবনে আলী রাযি.-এর নিজ নফসের মূল্যায়ন
১২৩. রাকাবা ইবনে মাসকালা রাহিমাহুল্লাহ বলেন, হাসান ইবনে আলী রাযি.-এর সামনে মৃত্যু হাজির হলে তিনি বললেন, আমার বিছানাপত্র বাইরের আঙিনায় বের করে দাও।
আদেশ মোতাবেক বিছানাপত্র ঘরের বাইরে আঙিনায় বের করে দেয়া হলো। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার কাছে সোপর্দ করছি। আর আমার নফসের চেয়ে অন্য কারও দ্বারা বেশি বিপদে পতিত হইনি। হে আল্লাহ! আমার কবরে রহমত বর্ষণ করুন, কবরের একাকিত্বকে আপনার রহমত দ্বারা দূর করে দিন, আমার পদস্খলনগুলোকে ক্ষমা করে দিন, হে আরহামার রাহিমিন!
এমন মনীষীগণ যদি নিজেদের ব্যাপারে এতটা কঠোর হন এবং সর্বোচ্চ বিনয়ী হয়ে আল্লাহ তাআলার ক্ষমাভিক্ষা করেন, তবে আমাদের মতো অতি সাধারণ ও গোনাহগারদের কী পরিমাণ অনুশোচনা, বিনয় ও একাগ্রতা পোষণ করা উচিত? এই প্রশ্ন আমাদের নিজেদের কাছেই পেশ করা উচিত এবং নিজেদের জীবনের মূল্যায়ন নিজেদেরই করা উচিত।
📄 অন্য কেউ নয়, কুপ্রবৃত্তিই মানুষের সবচেয়ে বড়ো শত্রু
১৩৪. ইউনুস ইবনে উবায়েদ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, হাসান বসরি রাহিমাহুল্লাহ মৃত্যুর সম্মুখীন হলে তিনি বার বার ইন্নালিল্লাহ পাঠ করতে শুরু করলেন। তখন তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়ে পুত্র বললেন, হে আমাদের সম্মানিত পিতা! আপনি আমাদের মাঝে এমন কোনো জিনিস দেখেছেন, যা আপনাকে পেরেশান করছে?
তিনি বললেন, হে পুত্র! আল্লাহর কসম, আমার নফসের চেয়ে আর কোনো বস্তুকে পেরেশানকারী হিসেবে দেখি না।
📄 সুস্থতার চল্লিশ বছরের কৃতজ্ঞতা
১৩৬. খালেদ ইবনে দুরাইক রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আইয়ুব আলাইহিস সালাম রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বললেন, হে আত্মা! তুমি সত্তর বছর ধরে আল্লাহ তাআলার দান সুস্থতার নেয়ামত ভোগ করেছ। এবার তার কৃতজ্ঞতা হিসেবে বাকি সত্তর বছর অসুস্থতার কষ্ট ভোগ করো।
📄 হিসেবে বাকি সত্তর বছর অসুস্থতার পরীক্ষা
১৩৬. খালেদ ইবনে দুরাইক রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আইয়ুব আলাইহিস সালাম রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বললেন, হে আত্মা! তুমি সত্তর বছর ধরে আল্লাহ তাআলার দান সুস্থতার নেয়ামত ভোগ করেছ। এবার তার কৃতজ্ঞতা হিসেবে বাকি সত্তর বছর অসুস্থতার কষ্ট ভোগ করো।