📘 আত্মবিচার বিশুদ্ধ জীবনের ভিত্তি > 📄 নিজ হাত আগুনে দগ্ধ করার ঘটনা

📄 নিজ হাত আগুনে দগ্ধ করার ঘটনা


৪৮. ইবরাহিম রাহিমাহুল্লাহ একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, একজন বুজুর্গ ছিলেন। ইবাদত-বন্দেগিতেই তার দিনরাত অতিবাহিত হতো। একদিন তিনি স্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন। কথা বলতে বলতে তার উরুর ওপর হাত রাখলেন। এরপর হঠাৎ তার হাতটি তিনি আগুনে রাখলেন। এমনকি আগুনে হাতে ফোসকা পড়ার শব্দ শোনা যেতে লাগল।

৪৮. ইবরাহিম রাহিমাহুল্লাহ একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, একজন বুজুর্গ ছিলেন। ইবাদত-বন্দেগিতেই তার দিনরাত অতিবাহিত হতো। একদিন তিনি স্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন। কথা বলতে বলতে তার উরুর ওপর হাত রাখলেন। এরপর হঠাৎ তার হাতটি তিনি আগুনে রাখলেন। এমনকি আগুনে হাতে ফোসকা পড়ার শব্দ শোনা যেতে লাগল।

📘 আত্মবিচার বিশুদ্ধ জীবনের ভিত্তি > 📄 ইবাদতখানা থেকে পাপের জন্য বের হওয়ার পর যা হলো

📄 ইবাদতখানা থেকে পাপের জন্য বের হওয়ার পর যা হলো


৪৯. বনি ইসরাইলের একজন বুজুর্গ সর্বদা ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকতেন। দিনের চব্বিশটি ঘণ্টা তিনি ইবাদতখানার নির্জন স্থানে ইবাদতে কাটাতেন। যুগের পর যুগ তিনি এভাবে ইবাদতে কাটিয়ে দিলেন। হঠাৎ একদিন তিনি বাইরে তাকালেন আর তখনি একজন সুন্দরী রমণীর প্রতি তার দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো। আর এতেই তিনি ফেতনায় পতিত হলেন, তার অন্তরে উক্ত নারীর প্রতি কুবাসনা জন্ম নিল। উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য তিনি সেই ইবাদতখানা থেকে এক কদম বাইরে রাখলেন। আল্লাহ তাআলা তখন তাকে তার পূর্বের ইবাদত-বন্দেগির কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। ফলে তার দীর্ঘদিনের পরিশ্রম ও ইবাদতের কথা মনে হলো। সংবিৎ ফিরে এলো তার। তিনি ভীষণ লজ্জিত হলেন এবং নিজেকে সম্বোধন করে বললেন, হে নফস! তুমি এটা কী করতে যাচ্ছ?

এভাবে লজ্জিত হয়ে তিনি সেই দরজার বাইরে রাখা কদমটি আবার ইবাদতখানায় প্রবেশ করাতে চাইলেন। তখন আবার তার মধ্যে অনুশোচনা জাগ্রত হলো। তিনি বললেন, হায় হায়! এই ইবাদতখানাগুলোর সঙ্গে আল্লাহ তাআলার রহমত, মানুষের রিজিক, বৃষ্টি, ফসল ও ফল উৎপন্ন হওয়া নির্ভরশীল। আকাশে ঠিকমতো সূর্য ও চন্দ্র উদিত হওয়া, বরফ গলা, বরফ জমা ইত্যাদির সম্পর্কও এই ইবাদতখানার সাথে সম্পর্কিত। সুতরাং যে পা আল্লাহর নাফরমানির উদ্দেশ্যে ইবাদতখানা থেকে একবার বের হয়েছে সেই পা এই ইবাদতখানায় কীভাবে প্রবেশ করতে পারে? না, তা কখনই হতে পারে না।

এ কথা বলে তিনি আর সেই ইবাদতখানায় প্রবেশ করলেন না। অনুশোচনা করতে করতে বের হয়ে গেলেন।

আল্লাহ তাআলা তার এই বিনয়, আত্মশাসন ও আত্মবিচারকে এভাবে কবুল করলেন যে, পরবর্তী কোনো এক আসমানি কিতাবে তার এই ঘটনাটির কথা উল্লেখ করেছিলেন এবং তার প্রশংসা করেছিলেন।

৪৯. বনি ইসরাইলের একজন বুজুর্গ সর্বদা ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকতেন। দিনের চব্বিশটি ঘণ্টা তিনি ইবাদতখানার নির্জন স্থানে ইবাদতে কাটাতেন। যুগের পর যুগ তিনি এভাবে ইবাদতে কাটিয়ে দিলেন। হঠাৎ একদিন তিনি বাইরে তাকালেন আর তখনি একজন সুন্দরী রমণীর প্রতি তার দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো। আর এতেই তিনি ফেতনায় পতিত হলেন, তার অন্তরে উক্ত নারীর প্রতি কুবাসনা জন্ম নিল। উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য তিনি সেই ইবাদতখানা থেকে এক কদম বাইরে রাখলেন। আল্লাহ তাআলা তখন তাকে তার পূর্বের ইবাদত-বন্দেগির কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। ফলে তার দীর্ঘদিনের পরিশ্রম ও ইবাদতের কথা মনে হলো। সংবিৎ ফিরে এলো তার। তিনি ভীষণ লজ্জিত হলেন এবং নিজেকে সম্বোধন করে বললেন, হে নফস! তুমি এটা কী করতে যাচ্ছ?

এভাবে লজ্জিত হয়ে তিনি সেই দরজার বাইরে রাখা কদমটি আবার ইবাদতখানায় প্রবেশ করাতে চাইলেন। তখন আবার তার মধ্যে অনুশোচনা জাগ্রত হলো। তিনি বললেন, হায় হায়! এই ইবাদতখানাগুলোর সঙ্গে আল্লাহ তাআলার রহমত, মানুষের রিজিক, বৃষ্টি, ফসল ও ফল উৎপন্ন হওয়া নির্ভরশীল। আকাশে ঠিকমতো সূর্য ও চন্দ্র উদিত হওয়া, বরফ গলা, বরফ জমা ইত্যাদির সম্পর্কও এই ইবাদতখানার সাথে সম্পর্কিত। সুতরাং যে পা আল্লাহর নাফরমানির উদ্দেশ্যে ইবাদতখানা থেকে একবার বের হয়েছে সেই পা এই ইবাদতখানায় কীভাবে প্রবেশ করতে পারে? না, তা কখনই হতে পারে না।

এ কথা বলে তিনি আর সেই ইবাদতখানায় প্রবেশ করলেন না। অনুশোচনা করতে করতে বের হয়ে গেলেন।

আল্লাহ তাআলা তার এই বিনয়, আত্মশাসন ও আত্মবিচারকে এভাবে কবুল করলেন যে, পরবর্তী কোনো এক আসমানি কিতাবে তার এই ঘটনাটির কথা উল্লেখ করেছিলেন এবং তার প্রশংসা করেছিলেন।

📘 আত্মবিচার বিশুদ্ধ জীবনের ভিত্তি > 📄 নারীর ওপর দৃষ্টি পড়ায় চোখ ফুটো করার ঘটনা

📄 নারীর ওপর দৃষ্টি পড়ায় চোখ ফুটো করার ঘটনা


৫০. হারুন ইবনে রিয়াব রাহিমাহুল্লাহ বলেন, এক যুদ্ধে গাজওয়ান এবং আবু মুসা রাহিমাহুল্লাহ অংশগ্রহণ করেছিলেন। যুদ্ধ চলাকালীন একজন দাসীর উদয় হলো এবং তার ওপর গাজওয়ান রাহিমাহুল্লাহর দৃষ্টি নিপতিত হলো। এতে তিনি নিজের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে হাত উঠালেন এবং নিজেই নিজের চোখেই ঘুসি মারলেন। এই দৃশ্য দেখে সেই দাসী ভয়ে পালিয়ে গেল। আর তিনি নিজের চোখকে সম্বোধন করে বললেন, তুমি এমন বস্তুতে দৃষ্টি বুলাতে অভ্যস্ত কেন, যা তোমার জন্য ক্ষতিকর?

৫০. হারুন ইবনে রিয়াব রাহিমাহুল্লাহ বলেন, এক যুদ্ধে গাজওয়ান এবং আবু মুসা রাহিমাহুল্লাহ অংশগ্রহণ করেছিলেন। যুদ্ধ চলাকালীন একজন দাসীর উদয় হলো এবং তার ওপর গাজওয়ান রাহিমাহুল্লাহর দৃষ্টি নিপতিত হলো। এতে তিনি নিজের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে হাত উঠালেন এবং নিজেই নিজের চোখেই ঘুসি মারলেন। এই দৃশ্য দেখে সেই দাসী ভয়ে পালিয়ে গেল। আর তিনি নিজের চোখকে সম্বোধন করে বললেন, তুমি এমন বস্তুতে দৃষ্টি বুলাতে অভ্যস্ত কেন, যা তোমার জন্য ক্ষতিকর?

📘 আত্মবিচার বিশুদ্ধ জীবনের ভিত্তি > 📄 যৌবনকালের এক ক্রুটির জন্য সারা জীবন অনুশোচনা

📄 যৌবনকালের এক ক্রুটির জন্য সারা জীবন অনুশোচনা


৫১. আবু সিনান রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমর ইবনে মুররা রাহিমাহুল্লাহ বলতেন, আমি নিজেকে চক্ষুষ্মান দেখতে পছন্দ করি না। কেননা চোখ ভালো থাকলে এর ক্ষতি অনেক। চোখে জ্যোতি আছে বলেই তো আমি যৌবনকালে একবার কুদৃষ্টি দিয়েছিলাম!

কী বিস্ময়কর অনুশোচনা! জীবনে একবার মাত্র কুপাত্রে দৃষ্টি দিয়েছিলেন বলে সারা জীবন আফসোস করেছেন এবং চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়ারই কামনা করেছেন। তিনি মনে করেছেন, জীবনে একটিবারও খারাপ জায়গায় দৃষ্টি দেয়ার চেয়ে সারা জীবন অন্ধ থাকা ভালো, চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যাওয়া উত্তম!

৫১. আবু সিনান রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমর ইবনে মুররা রাহিমাহুল্লাহ বলতেন, আমি নিজেকে চক্ষুষ্মান দেখতে পছন্দ করি না। কেননা চোখ ভালো থাকলে এর ক্ষতি অনেক। চোখে জ্যোতি আছে বলেই তো আমি যৌবনকালে একবার কুদৃষ্টি দিয়েছিলাম!

কী বিস্ময়কর অনুশোচনা! জীবনে একবার মাত্র কুপাত্রে দৃষ্টি দিয়েছিলেন বলে সারা জীবন আফসোস করেছেন এবং চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়ারই কামনা করেছেন। তিনি মনে করেছেন, জীবনে একটিবারও খারাপ জায়গায় দৃষ্টি দেয়ার চেয়ে সারা জীবন অন্ধ থাকা ভালো, চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যাওয়া উত্তম!

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন