📘 আত্মবিচার বিশুদ্ধ জীবনের ভিত্তি > 📄 নিজের মধ্যে ভালো গুণের অস্তিত্ব না দেখা

📄 নিজের মধ্যে ভালো গুণের অস্তিত্ব না দেখা


৩৪. ইউনুস ইবনে উবায়েদ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি নেককার ও সালফে সালেহিনগণের একশটি ভালো গুণ গণনা করে দেখলাম, আমার মধ্যে এর একটিও উপস্থিত নেই!

এটা আসলে তার চরম বিনয়ের বহিঃপ্রকাশ। বস্তুত বুজুর্গানে কেরাম এতটাই বিনয়ী হন যে, নিজেদেরকে সর্বদা সবচেয়ে অধম ও নিকৃষ্ট বলে বিশ্বাস করেন। তাই তো তিনিও তাদের মতোই একজন বুজুর্গ হওয়া সত্ত্বেও শুধু বিনয় ও নিজের আত্মাকে দমিয়ে রাখতে বলছেন, আমার মধ্যে একশ গুণের একটি ভালো গুণও খুঁজে পেলাম না।

📘 আত্মবিচার বিশুদ্ধ জীবনের ভিত্তি > 📄 লোকের প্রশংসায় কী আসে যায়, যদি জাহান্নামেই যেতে হয়?

📄 লোকের প্রশংসায় কী আসে যায়, যদি জাহান্নামেই যেতে হয়?


৩৫. ইউনুস ইবনে উবায়েদ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, একবার মুহাম্মাদ ইবনে ওয়াসি রাহিমাহুল্লাহ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি তাকে দেখতে গেলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, মানুষ আমাকে যতই বড়ো এবং বুজুর্গ বলে মনে করে, এসবের কোনোটাই কাজে আসবে না, যদি আমার হাত ও পা একত্রে বেঁধে আমাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়।

প্রকৃত জ্ঞানীগণ কখনই নিজের বর্তমান পদ-পদবির অহমিকায় লিপ্ত থাকেন না। বর্তমানে কোন অবস্থানে অধিষ্ঠিত আছেন, সেটার ওপর সন্তুষ্ট থাকেন না। কেননা দুনিয়ার পদ-পদবি সবই ক্ষণস্থায়ী। পৃথিবীর সমস্ত মানুষ একজন ব্যক্তিকে যদি পরম শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত করে, কিন্তু পরকালে সে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভে ব্যর্থ হয়, তবে দুনিয়ার যাবতীয় पद-पदবি ও উপার্জিত সম্মান ব্যর্থ ও নিষ্ফল বলে প্রমাণিত হবে। এ কারণেই সালফে সালেহিনগণ সর্বদা পরকালের মর্যাদা ও সম্মানের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতেন, দুনিয়ার পদ-পদবি ও ইজ্জত-সম্মানকে বড়ো করে দেখতেন না এবং এটাকে সফলতার মাপকাঠি বলেও মনে করতেন না।

📘 আত্মবিচার বিশুদ্ধ জীবনের ভিত্তি > 📄 মৃত্যুর পর আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?

📄 মৃত্যুর পর আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?


৩৬. মুহাম্মাদ ইবনে ওয়াসি রাহিমাহুল্লাহ যখন মৃত্যুশয্যায় শায়িত, তখন তিনি লোকদেরকে সম্বোধন করে বললেন, হে ভাইয়েরা! আমাকে তোমরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছ? ওই সত্তার কসম, যিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, হয়তো জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছ, নতুবা আল্লাহর ক্ষমার দিকে।

📘 আত্মবিচার বিশুদ্ধ জীবনের ভিত্তি > 📄 পাপের যদি দুর্গন্ধ থাকত!

📄 পাপের যদি দুর্গন্ধ থাকত!


৩৭. মুহাম্মাদ ইবনে ওয়াসি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, যদি পাপের দুর্গন্ধ থাকত, তবে কোনো ব্যক্তি আমার কাছেই বসতে ও ঘেঁষতে পারত না।

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন