📘 আল্লাহ তাআলার নান্দনিক নাম ও গুণসমগ্র > 📄 সুন্নাতের প্রমাণ

📄 সুন্নাতের প্রমাণ


সুন্নতের প্রমাণ
আল্লাহ তা'আলার সুউচ্চ অবস্থান কথা, কর্ম ও অনুমোদন এ তিন প্রকার সুন্নত দ্বারাই প্রমাণিত এবং তা বহু হাদীসে নানাভাবে এসেছে এবং সবগুলো মিলে মুতাওয়াতিরের পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে। নিম্নে এ জাতীয় কিছু হাদীস উল্লেখ করা হলো:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদারত অবস্থায় বলেছেন:
سبحان ربي الأعلى
(পবিত্র মহান আমার রব, যিনি সর্বোচ্চ)। ২০
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদীসে বলেছেন:
"إن الله لما قضى الخلق كتب عنده فوق عرشه إن رحمتي سبقت غضبي"
আল্লাহ তা'আলা যখন সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি তাঁর কাছে আরশের ওপর লিখলেন, নিশ্চয় আমার রহমত আমার রাগ থেকে অগ্রগামী হয়েছে। ২৪
অন্য এক হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
"ألا تأمنوني وأنا أمين من في السماء"
তোমরা কি বিশ্বাস করবে না; অথচ আমি হলাম যিনি আকাশে আছেন তাঁর বিশ্বাসের পাত্র। ২৫
হাদীস দ্বারা আরো প্রমাণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমার দিন মিম্বারে থাকা অবস্থায় দু'হাত উত্তোলন করেছেন এবং বলেছেন, 'হে আল্লাহ! আপনি আমাদের উদ্ধার করুন! 26'
আর তিনি আরাফার দিন খুতবা প্রদানকালে আকাশের দিকে হাত উত্তোলন করেছেন যখন মানুষেরা বলেছে, 'আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি পৌঁছে দিয়েছেন, দায়িত্ব আদায় করেছেন এবং নসীহত করেছেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, اللهم اشهد (হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন)।27
একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক কৃতদাসীকে লক্ষ্য করে বললেন, 'আল্লাহ কোথায়?' উত্তরে সে বলল যে, 'আসমানে'। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কথা মেনে নিলেন এবং তার মনিবকে বললেন, 'তাকে আযাদ করে দাও, নিশ্চয় সে মুমিনা'। 28

টিকাঃ
২০ - মুসলিম হাদীস নং ৭৭২
২৪ - বুখারী, হাদীস নং ৭৪২২; মুসলিম, হাদীস নং ২৭৫১।
২৫ - বুখারী, হাদীস নং ৪৩৫১
২৬ - বুখারী, হাদীস নং ১০১৪; মুসলিম, হাদীস নং ৮৯৭।
২৭ - মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮।
২৮ - মুসলিম, হাদীস নং ৫৩৭।

📘 আল্লাহ তাআলার নান্দনিক নাম ও গুণসমগ্র > 📄 যুক্তিনির্ভর প্রমাণ

📄 যুক্তিনির্ভর প্রমাণ


যুক্তিনির্ভর প্রমাণ
আল্লাহ তা'আলা সকল পূর্ণাঙ্গ গুণাবলিতে গুণান্বিত এবং সকল অপূর্ণাঙ্গ গুণাবলি হতে পবিত্র, মানুষের আকল বুদ্ধি এ বিষয়টিকে আবশ্যক মনে করে। আর ঊর্ধ্বাবস্থান হলো আল্লাহ তা'আলার পূর্ণাঙ্গ গুণাবলির একটি। আর নিম্নাবস্থান হলো একটি অপূর্ণাঙ্গ গুণ। অতএব ঊর্ধ্বাবস্থানের গুণে গুনান্বিত থাকা এবং এর বিপরীতটা থেকে পবিত্র থাকা আল্লাহ তা'আলার জন্য একটি আবশ্যক বিষয়।

📘 আল্লাহ তাআলার নান্দনিক নাম ও গুণসমগ্র > 📄 ফিতরতের প্রমাণ

📄 ফিতরতের প্রমাণ


ফিতরতের প্রমাণ
ফিতরত বা সুস্থ মানবপ্রকৃতি আল্লাহ তা'আলার ঊর্ধ্বাবস্থানকে অত্যন্ত প্রাকৃতিকভাবেই নির্দেশ করে। এমন কোনো প্রার্থনাকারী বা ভীতু-আতঙ্কগ্রস্ত ব্যক্তি নেই যে শাণিত আগ্রহ নিয়ে আল্লাহর পানে ছুটে যায় অথচ ডানে বামে না তাকিয়ে কেবল ঊর্ধ্বপানে অনুভূতি ব্যক্ত করার আগ্রহ অন্তরে জাগ্রত হয় না।
আপনি মুসল্লীদের জিজ্ঞাসা করে দেখুন তারা যখন سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَىٰ (পবিত্র মহান আমার রব, যিনি সর্বোচ্চ) এ কথা বলে তখন তাদের অন্তর কোন দিকে ধাবিত হয়?

📘 আল্লাহ তাআলার নান্দনিক নাম ও গুণসমগ্র > 📄 ইজমার প্রমাণ

📄 ইজমার প্রমাণ


ইজমার প্রমাণ
সাহাবী, তাবেঈ ও ইমামগণ এ ব্যাপারে ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন যে, আল্লাহ তা'আলা আসমানসমূহের ঊর্ধ্বে আরশের ওপরে আছেন। এ ক্ষেত্রে তাদের কথা খুবই প্রসিদ্ধ। ইমাম আওযা'ঈ র. বলেন:
«كنا، والتابعون متوافرون، نقول: إن الله تعالى ذكره فوق عرشه، ونؤمن بما جاءت به السنة من الصفات»
তাবে'ঈগণ পর্যাপ্ত পরিমাণে বর্তমান থাকা অবস্থায় আমরা বলতাম যে, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আরশের ওপরে, আর আমরা ঈমান আনি সিফাত সম্পর্কে সুন্নতে যা এসেছে তার প্রতি।
আলেমদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি এ ব্যাপারে ইজমা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ইখতিলাফ, মতানৈক্য নেই, থাকা সম্ভব নয়।
এ ক্ষেত্রে বহু বড় বড় প্রমাণ একত্র হয়েছে যেগুলোর বিপরীতে কেবল ওই অহঙ্কারী ব্যক্তিই যেতে পারে যার অন্তরাত্মা মুছে দেওয়া হয়েছে এবং শয়তান তার ফিতরতকে কলুষিত করে দিয়েছে। আল্লাহ তা'আলার কাছে আমরা নিরাপত্তা ও পরিত্রাণ কামনা করি।
সত্তা ও গুণাবলিতে আল্লাহ তা'আলার ঊর্ধ্বাবস্থান সকল বিষয়ের মধ্যে অধিক স্পষ্ট এবং বাস্তবতার নিরিখে অধিক প্রতিষ্ঠিত বিষয়, যার প্রমাণাদি অতি সুস্পষ্ট।

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন