📘 আল আযকার > 📄 কুদৃষ্টির ক্ষতির আশঙ্কা হলে করণীয়

📄 কুদৃষ্টির ক্ষতির আশঙ্কা হলে করণীয়


কুদৃষ্টি ক্ষতির আশঙ্কা হলে করণীয়
নিজের, সন্তানাদি, সম্পদ অথবা অন্য কোথাও আশ্চর্যজনক কিছু দেখলে এবং এতে কুদৃষ্টি অথবা ক্ষতির আশঙ্কা হলে করণীয়।
(৮২৮) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
الْعَيْنُ حَقٌّ.
অর্থ: চোখের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য。
(৮২৯) হজরত উম্মে সালামা রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে একটি মেয়েকে মলিন চেহারায় দেখে বললেন-
اسْتَرْقُوْا لَهَا فَإِنَّ بِهَا النَّظْرَةَ.
অর্থ: তাকে ঝাড়ফুক করাও, কেননা তার ওপর নজর লেগেছে。
(৮৩০) হজরত ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
الْعَيْنُ حَقٌّ، وَلَوْ كَانَ شَيْءٍ سَابَقَ الْقَدَرَ سَبَقَتْهُ الْعَيْنُ، وَإِذَا اسْتُغْسِلْتُمْ فَاغْسِلُوا.
অর্থ: কুদৃষ্টির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া বাস্তব। কোনো বিষয় যদি ভাগ্যলিপিকে অতিক্রম করত, তাহলে কুদৃষ্টিই ভাগ্যলিপিকে অতিক্রম করত। তোমাদেরকে [কুদৃষ্টিকারী] ধৌত করতে বলা হলে ধৌত করে দিবে। ইমাম নববি রহ. বলেন, উলামায়ে কেরাম বলেন, কুদৃষ্টিকারীকে বলা হবে- লুঙ্গির ভিতরাংশ পানি দিয়ে ধুয়ে দাও। অতঃপর তা কৃদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তির উপর ছিটিয়ে দিবে। হজরত আয়েশা রাদি. থেকে প্রমাণিত যে, সে যুগে বদনজকারীকে অজু করতে নির্দেশ দেয়া হত, অতঃপর তা দিয়ে নজর লাগা ব্যক্তি গোসল করত। ইমাম আবুদ রহ. একে সহিহ সনদে নকল করেছেন。
(৮৩১) হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদি. থেকে বর্ণিত-
كَانَ رَسُوْلُ اللهِ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَعَوَّذُ مِنَ الْجَانِّ، وَعَيْنِ الْإِنْسَانِ حَتَّى نَזَلَتِ الْمُعَوَّذَتَانِ، فَلَمَّا نَزَلَتَا أَخَذَ بِهِمَا، وَتَرَكَ مَا سِوَاهُمَا.
অর্থ: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিন ও মানুষের কুদৃষ্টি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। পরে যখন সুরা ফালাক ও নাস নাজিল হয়, তিনি ঐ সুরাদ্বয় পড়া আরম্ভ করলেন এবং বাকিগুলো পরিত্যাগ করলেন。
(৮৩৩) হজরত ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইন রাদি. এর জন্য এভাবে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন-
أُعِيدُ كُمَا بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَأَمَّةٍ.
উচ্চারণ: উয়িজুকুমা বি-কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাতিন, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।
অর্থ: আমি তোমাদের দুজনের জন্য আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমাসমূহের মাধ্যমে প্রত্যেক শয়তান ও বিষাক্ত প্রাণী হতে এবং সকল প্রকার বদনজর হতে মুক্তি চাচ্ছি। -অতঃপর বলতেন, তোমাদের পিতা ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তার পুত্রদ্বয় ইসমাঈল ও ইসহাককে এ বাক্য দ্বারাই আশ্রয় চাইতেন।
(৮৩৩) হজরত সাঈদ বিন হাকিম রাদি. থেকে বর্ণিত, কোনো বস্তুতে বদনজরের আশঙ্কা করলে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন-
اللَّهُمَّ بَارِكْ فِيْهِ وَلَا تَضُرَّهُ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক ফিহি ওয়া লা তাদুররাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ, তুমি এতে বরকত দাও এবং ক্ষতিগ্রস্ত কর না。
(৮৩৪) হজরত আনাস রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যদি কোনো বস্তু কাউকে বিমোহিত করে এবং সে এই দুআ পাঠ করে, তাহলে ঐ বস্তুর কোনো ক্ষতি হবে না। দুআটি হল-
مَا شَاءَ اللهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ .
উচ্চারণ: মাশা আল্লাহু লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ যা চান তাই হয়, আল্লাহ ছাড়া আর কারো কোনো ক্ষমতো নেই。
(৮৩৫) হজরত সাহাল বিন হুনাইফ রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يُعْجِبُهُ فِي نَفْسِهِ، أَوْ مَالِهِ فَلْيُبَرِّكْ عَلَيْهِ، فَإِنَّ الْعَيْنَ حَقٌّ.
অর্থ: যখন তোমাদের কেউ নিজ সত্ত্বা বা সম্পদে মুগ্ধকর কিছু দেখে, সে যেন তখন বরকতের দুআ পড়ে। কেননা নজর লাগার বিষয়টা সত্য。
(৮৩৬) হজরত আমের বিন রবিআ রাদি. থেকে রেওয়ায়েত আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مِنْ نَفْسِهِ وَمَالِهِ وَأَعْجَبَهُ مَا يُعْجِبُهُ فَلْيَدْعُ بِالْبَرَكَةِ.
অর্থ: তোমাদের কেউ যখন নিজ সত্ত্বা বা সম্পদের দিকে খেয়াল করে এবং কোনো বিষয় তাকে মুগ্ধ করে, সে যেন বরকতের দুআ পড়ে。
ইমাম আবু মুহাম্মাদ কাজি হুসাইন শাফেয়ি তার 'তালিক ফিল মাজহাব' নামক কিতাবে উল্লেখ করেন- জনৈক নবি একদিন নিজ সম্প্রদায়ের দিকে খেয়াল করে তাকালেন, তার কাছে তাদের সংখ্যা বেশি মনে হল এবং সেটা তাকে আশ্চর্যান্বিত করল। অতঃপর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের ৭০ হাজার লোক মারা গেল। আল্লাহ তাআলা সেই নবির কাছে ওহি পাঠিয়ে বললেন, আপনি তো তাদের ওপর নজর দিয়ে দিলেন! নজর পড়ার সাথে সাথে যদি তাদের হেফাজতের দুআ করতেন, তাহলে তারা মৃত্যুবরণ করত না। নবি জিজ্ঞাসা করলেন, কী দিয়ে তাদেরকে (নজর থেকে) হেফাজত করব? আল্লাহ পাক ওহি প্রেরণ করলেন যে, আপনি বলবেন-
حَصَّنْتُكُمْ بِالْحَيِّ الْقَيُّوْمِ الَّذِي لَا يَمُوْتُ أَبَدًا، وَدَفَعْتُ عَنْكُمُ السُّوءَ بِلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ.
উচ্চারণ: হাসানতুকুম বিল হাইয়িল কাইয়ুমিল্লাজি লা ইয়ামুতু আবাদা, ওয়া দাফাতু আনকুমুস সুআ বিলা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।
অর্থ: তোমাদেরকে (নজর থেকে) এমন এক সত্ত্বার হেফাজতে দিলাম যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী, যার কখনো মৃত্যু হবে না। তোমাদের থেকে অকল্যাণ দূর করছি লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম-এর ওসিলায়。
কাজি হুসাইন থেকে টীকাকারী বলেন, কাজি রহ. এর অভ্যাস ছিল, তিনি কোনো শাগরিদের আখলাক ও সুন্দর অবস্থা দেখে মুগ্ধ হলে উল্লিখিত বাক্য দ্বারা (নজর থেকে) হেফাজতের দুআ করতেন। আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞানী।

টিকাঃ
১১৮১. বুখারি শরিফ: ৫৭৪০, মুসলিম শরিফ: ২১৮৭, সুনানে আবু দাউদ: ৩৮৭৯, মুসনাদে আহমাদ ২/২২২।
১১৮২. বুখারি শরিফ: ৫৭৩৯, মুসলিম শরিফ: ২১৯৭।
১১৮৩. মুসলিম শরিফ: ২১৮৮, তিরমিজি শরিফ: ২০৬২।
১১৮৪. সুনানে আবু দাউদ: ৩৮৮০।
১১৮৫. সুনানে তিরমিজি: ২০৫৮, সুনানে নাসাঈ: ৫৪৯৪, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৫১১।
১১৮৬. বুখারি শরিফ: ৩৩৭১।
১১৮৭. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৮।
১১৮৮. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৭।
১১৮৯. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৫।
১১৯০. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৬।
১১৯১. মুসনাদে আহমাদ ৪/৩৩২।

কুদৃষ্টি ক্ষতির আশঙ্কা হলে করণীয়
নিজের, সন্তানাদি, সম্পদ অথবা অন্য কোথাও আশ্চর্যজনক কিছু দেখলে এবং এতে কুদৃষ্টি অথবা ক্ষতির আশঙ্কা হলে করণীয়।
(৮২৮) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
الْعَيْنُ حَقٌّ.
অর্থ: চোখের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য。
(৮২৯) হজরত উম্মে সালামা রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে একটি মেয়েকে মলিন চেহারায় দেখে বললেন-
اسْتَرْقُوْا لَهَا فَإِنَّ بِهَا النَّظْرَةَ.
অর্থ: তাকে ঝাড়ফুক করাও, কেননা তার ওপর নজর লেগেছে。
(৮৩০) হজরত ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
الْعَيْنُ حَقٌّ، وَلَوْ كَانَ شَيْءٍ سَابَقَ الْقَدَرَ سَبَقَتْهُ الْعَيْنُ، وَإِذَا اسْتُغْسِلْتُمْ فَاغْسِلُوا.
অর্থ: কুদৃষ্টির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া বাস্তব। কোনো বিষয় যদি ভাগ্যলিপিকে অতিক্রম করত, তাহলে কুদৃষ্টিই ভাগ্যলিপিকে অতিক্রম করত। তোমাদেরকে [কুদৃষ্টিকারী] ধৌত করতে বলা হলে ধৌত করে দিবে। ইমাম নববি রহ. বলেন, উলামায়ে কেরাম বলেন, কুদৃষ্টিকারীকে বলা হবে- লুঙ্গির ভিতরাংশ পানি দিয়ে ধুয়ে দাও। অতঃপর তা কৃদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তির উপর ছিটিয়ে দিবে। হজরত আয়েশা রাদি. থেকে প্রমাণিত যে, সে যুগে বদনজকারীকে অজু করতে নির্দেশ দেয়া হত, অতঃপর তা দিয়ে নজর লাগা ব্যক্তি গোসল করত। ইমাম আবুদ রহ. একে সহিহ সনদে নকল করেছেন。
(৮৩১) হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদি. থেকে বর্ণিত-
كَانَ رَسُوْلُ اللهِ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَعَوَّذُ مِنَ الْجَانِّ، وَعَيْنِ الْإِنْسَانِ حَتَّى نَזَلَتِ الْمُعَوَّذَتَانِ، فَلَمَّا نَزَلَتَا أَخَذَ بِهِمَا، وَتَرَكَ مَا سِوَاهُمَا.
অর্থ: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিন ও মানুষের কুদৃষ্টি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। পরে যখন সুরা ফালাক ও নাস নাজিল হয়, তিনি ঐ সুরাদ্বয় পড়া আরম্ভ করলেন এবং বাকিগুলো পরিত্যাগ করলেন。
(৮৩৩) হজরত ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইন রাদি. এর জন্য এভাবে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন-
أُعِيدُ كُمَا بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَأَمَّةٍ.
উচ্চারণ: উয়িজুকুমা বি-কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাতিন, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।
অর্থ: আমি তোমাদের দুজনের জন্য আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমাসমূহের মাধ্যমে প্রত্যেক শয়তান ও বিষাক্ত প্রাণী হতে এবং সকল প্রকার বদনজর হতে মুক্তি চাচ্ছি। -অতঃপর বলতেন, তোমাদের পিতা ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তার পুত্রদ্বয় ইসমাঈল ও ইসহাককে এ বাক্য দ্বারাই আশ্রয় চাইতেন।
(৮৩৩) হজরত সাঈদ বিন হাকিম রাদি. থেকে বর্ণিত, কোনো বস্তুতে বদনজরের আশঙ্কা করলে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন-
اللَّهُمَّ بَارِكْ فِيْهِ وَلَا تَضُرَّهُ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক ফিহি ওয়া লা তাদুররাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ, তুমি এতে বরকত দাও এবং ক্ষতিগ্রস্ত কর না。
(৮৩৪) হজরত আনাস রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যদি কোনো বস্তু কাউকে বিমোহিত করে এবং সে এই দুআ পাঠ করে, তাহলে ঐ বস্তুর কোনো ক্ষতি হবে না। দুআটি হল-
مَا شَاءَ اللهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ .
উচ্চারণ: মাশা আল্লাহু লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ যা চান তাই হয়, আল্লাহ ছাড়া আর কারো কোনো ক্ষমতো নেই。
(৮৩৫) হজরত সাহাল বিন হুনাইফ রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يُعْجِبُهُ فِي نَفْسِهِ، أَوْ مَالِهِ فَلْيُبَرِّكْ عَلَيْهِ، فَإِنَّ الْعَيْنَ حَقٌّ.
অর্থ: যখন তোমাদের কেউ নিজ সত্ত্বা বা সম্পদে মুগ্ধকর কিছু দেখে, সে যেন তখন বরকতের দুআ পড়ে। কেননা নজর লাগার বিষয়টা সত্য。
(৮৩৬) হজরত আমের বিন রবিআ রাদি. থেকে রেওয়ায়েত আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مِنْ نَفْسِهِ وَمَالِهِ وَأَعْجَبَهُ مَا يُعْجِبُهُ فَلْيَدْعُ بِالْبَرَكَةِ.
অর্থ: তোমাদের কেউ যখন নিজ সত্ত্বা বা সম্পদের দিকে খেয়াল করে এবং কোনো বিষয় তাকে মুগ্ধ করে, সে যেন বরকতের দুআ পড়ে。
ইমাম আবু মুহাম্মাদ কাজি হুসাইন শাফেয়ি তার 'তালিক ফিল মাজহাব' নামক কিতাবে উল্লেখ করেন- জনৈক নবি একদিন নিজ সম্প্রদায়ের দিকে খেয়াল করে তাকালেন, তার কাছে তাদের সংখ্যা বেশি মনে হল এবং সেটা তাকে আশ্চর্যান্বিত করল। অতঃপর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের ৭০ হাজার লোক মারা গেল। আল্লাহ তাআলা সেই নবির কাছে ওহি পাঠিয়ে বললেন, আপনি তো তাদের ওপর নজর দিয়ে দিলেন! নজর পড়ার সাথে সাথে যদি তাদের হেফাজতের দুআ করতেন, তাহলে তারা মৃত্যুবরণ করত না। নবি জিজ্ঞাসা করলেন, কী দিয়ে তাদেরকে (নজর থেকে) হেফাজত করব? আল্লাহ পাক ওহি প্রেরণ করলেন যে, আপনি বলবেন-
حَصَّنْتُكُمْ بِالْحَيِّ الْقَيُّوْمِ الَّذِي لَا يَمُوْتُ أَبَدًا، وَدَفَعْتُ عَنْكُمُ السُّوءَ بِلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ.
উচ্চারণ: হাসানতুকুম বিল হাইয়িল কাইয়ুমিল্লাজি লা ইয়ামুতু আবাদা, ওয়া দাফাতু আনকুমুস সুআ বিলা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।
অর্থ: তোমাদেরকে (নজর থেকে) এমন এক সত্ত্বার হেফাজতে দিলাম যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী, যার কখনো মৃত্যু হবে না। তোমাদের থেকে অকল্যাণ দূর করছি লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম-এর ওসিলায়。
কাজি হুসাইন থেকে টীকাকারী বলেন, কাজি রহ. এর অভ্যাস ছিল, তিনি কোনো শাগরিদের আখলাক ও সুন্দর অবস্থা দেখে মুগ্ধ হলে উল্লিখিত বাক্য দ্বারা (নজর থেকে) হেফাজতের দুআ করতেন। আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞানী।

টিকাঃ
১১৮১. বুখারি শরিফ: ৫৭৪০, মুসলিম শরিফ: ২১৮৭, সুনানে আবু দাউদ: ৩৮৭৯, মুসনাদে আহমাদ ২/২২২।
১১৮২. বুখারি শরিফ: ৫৭৩৯, মুসলিম শরিফ: ২১৯৭।
১১৮৩. মুসলিম শরিফ: ২১৮৮, তিরমিজি শরিফ: ২০৬২।
১১৮৪. সুনানে আবু দাউদ: ৩৮৮০।
১১৮৫. সুনানে তিরমিজি: ২০৫৮, সুনানে নাসাঈ: ৫৪৯৪, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৫১১।
১১৮৬. বুখারি শরিফ: ৩৩৭১।
১১৮৭. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৮।
১১৮৮. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৭।
১১৮৯. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৫।
১১৯০. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৬।
১১৯১. মুসনাদে আহমাদ ৪/৩৩২।

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন