📘 আল আযকার > 📄 বাজারে প্রবেশের দুআ

📄 বাজারে প্রবেশের দুআ


নিজের অথবা প্রিয়জনের ব্যাপারে হালপুরসি করা হলে আল্লাহর প্রশংসা করা মুস্তাহাব; অবস্থা ভালো হলে উত্তর দেওয়াও মুস্তাহাব。
(৭৮০) হজরত ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত-
أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ خَرَجَ مِنْ عِنْدِ رَسُوْلِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَجَعِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيْهِ، فَقَالَ النَّاسُ: يَا أَبَا حَسَنٍ، كَيْفَ أَصْبَحَ رَسُوْلُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ فَقَالَ: أَصْبَحَ بِحَمْدِ اللَّهِ، بَارِيًّا.
অর্থ: হজরত আলি রাদি. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে বেরিয়ে এলেন, যখন তিনি মৃত্যুরোগে আক্রান্ত ছিলেন। লোকেরা তাকে জিজ্ঞাসা করল, হে আবু হাসান! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজ কিভাবে রাত্রিযাপন করেছেন? বললেন, আল্লাহর রহমতে সুস্থতার সাথে。
বাজারে প্রবেশের দুআ
(৭৮১) হজরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ دَخَلَ السُّوْقَ فَقَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ حَيُّ لَا يَمُوْتُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ حَسَنَةٍ، وَمَحَا عَنْهُ أَلْفَ أَلْفِ سَيِّئَةٍ، وَرَفَعَ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ دَرَجَةٍ.
অর্থ: যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশ করে এই দুআ পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য এক লক্ষ নেকি লিখবেন, এক লক্ষ গুনাহ মাফ করে দিবেন এবং তার এক লক্ষ দরজা বুলন্দ করে দিবেন। দুআটি হল- لا إلهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيْتُ، وَهُوَ حَيُّ لَا يَمُوْتُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ইয়ুহয়ি ওয়া ইয়ুমিতু, ওয়া হুয়া হাইয়ুন লা ইয়ামুতু, বিয়াদিহিল খাইর, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
অর্থ: আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আর কোনো সত্য মাবুদ নেই, তার কোনো অংশীদার নেই। সকল কর্তৃত্ব তারই, সমস্ত প্রশংসা তার জন্যই। তিনিই জীবন-মৃত্যু দিয়ে থাকেন, তিনি চিরজীবি। সকল মঙ্গল তারই হাতে। সকল বস্তুর ওপর সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। -হাকেম আবু আবদুল্লাহ তার 'মুসতাদরাক আলাস সাহিহাইন' কিতাবে এই হাদিস একাধিক সনদে নকল করেছেন, সেখানে একটি সূত্রে অতিরিক্ত রয়েছে- জান্নাতে তার জন্য একটি ঘরও নির্মাণ করবেন।-আরেক সনদে হাদিসের বর্ণনাকারী বলেন, আমি খোরাসান গমন করে কুতাইবা বিন মুসলিমের কাছে গিয়ে বললাম, আমি তোমার কাছে একটি হাদিয়া নিয়ে এসেছি। তারপর এই হাদিসটি বর্ণনা করলাম। এরপর থেকে কুতাইবা বিন মুসলিম নিজ বাহনে করে বাজারে যেতেন এবং এই দুআ পাঠ করে প্রত্যাগমন করতেন。
ইমাম হাকেম রহ. হজরত বুরাইদা থেকে ভিন্ন সনদে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাজারে গেলে এই দুআ পড়তেন-
بِسْمِ اللهِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ السُّوْقِ وَخَيْرَ مَا فِيْهَا، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا. اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أُصِيْبَ فِيْهَا يَمِينًا فَاجِرَةً، أَوْصَفَقَةً خَاسِرَة.
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহ, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরা হাজিহিসুকি ওয়া খাইরা মা ফিহা, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা ফিহা। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উসিবা ফিহা ইয়ামিনান ফাজিরাতান, আও সাফাকাতান খাসিরাহ।
অর্থ: আল্লাহর নামে প্রবেশ করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এই বাজারের এবং এতে থাকা সবকিছুর মঙ্গল কামনা করি এবং এই বাজারের অমঙ্গল এবং এতে বিদ্যমান সকল বস্তুর অমঙ্গল থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমি এই বাজারে পাপের কসম ও লোকসানের সওদা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি।

টিকাঃ
১১০৭. সহিহ বুখারি: ৪৪৪৭।
১১০৮. সুনানে তিরমিজি: ৩৪২৮।
১১০৯. মুসতাদরাক আলাস সাহিহাইন ১/৫৩৮।
১১১০. তালখিস ১/৫৩৮, জাহাবি।
১১১১. মুসতাদরাক আলাস সাহিহাইন ১/৫৩৯।

নিজের অথবা প্রিয়জনের ব্যাপারে হালপুরসি করা হলে আল্লাহর প্রশংসা করা মুস্তাহাব; অবস্থা ভালো হলে উত্তর দেওয়াও মুস্তাহাব。
(৭৮০) হজরত ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত-
أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ خَرَجَ مِنْ عِنْدِ رَسُوْلِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَجَعِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيْهِ، فَقَالَ النَّاسُ: يَا أَبَا حَسَنٍ، كَيْفَ أَصْبَحَ رَسُوْلُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ فَقَالَ: أَصْبَحَ بِحَمْدِ اللَّهِ، بَارِيًّا.
অর্থ: হজরত আলি রাদি. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে বেরিয়ে এলেন, যখন তিনি মৃত্যুরোগে আক্রান্ত ছিলেন। লোকেরা তাকে জিজ্ঞাসা করল, হে আবু হাসান! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজ কিভাবে রাত্রিযাপন করেছেন? বললেন, আল্লাহর রহমতে সুস্থতার সাথে。
বাজারে প্রবেশের দুআ
(৭৮১) হজরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ دَخَلَ السُّوْقَ فَقَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ حَيُّ لَا يَمُوْتُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ حَسَنَةٍ، وَمَحَا عَنْهُ أَلْفَ أَلْفِ سَيِّئَةٍ، وَرَفَعَ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ دَرَجَةٍ.
অর্থ: যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশ করে এই দুআ পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য এক লক্ষ নেকি লিখবেন, এক লক্ষ গুনাহ মাফ করে দিবেন এবং তার এক লক্ষ দরজা বুলন্দ করে দিবেন। দুআটি হল- لا إلهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيْتُ، وَهُوَ حَيُّ لَا يَمُوْتُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ইয়ুহয়ি ওয়া ইয়ুমিতু, ওয়া হুয়া হাইয়ুন লা ইয়ামুতু, বিয়াদিহিল খাইর, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
অর্থ: আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আর কোনো সত্য মাবুদ নেই, তার কোনো অংশীদার নেই। সকল কর্তৃত্ব তারই, সমস্ত প্রশংসা তার জন্যই। তিনিই জীবন-মৃত্যু দিয়ে থাকেন, তিনি চিরজীবি। সকল মঙ্গল তারই হাতে। সকল বস্তুর ওপর সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। -হাকেম আবু আবদুল্লাহ তার 'মুসতাদরাক আলাস সাহিহাইন' কিতাবে এই হাদিস একাধিক সনদে নকল করেছেন, সেখানে একটি সূত্রে অতিরিক্ত রয়েছে- জান্নাতে তার জন্য একটি ঘরও নির্মাণ করবেন।-আরেক সনদে হাদিসের বর্ণনাকারী বলেন, আমি খোরাসান গমন করে কুতাইবা বিন মুসলিমের কাছে গিয়ে বললাম, আমি তোমার কাছে একটি হাদিয়া নিয়ে এসেছি। তারপর এই হাদিসটি বর্ণনা করলাম। এরপর থেকে কুতাইবা বিন মুসলিম নিজ বাহনে করে বাজারে যেতেন এবং এই দুআ পাঠ করে প্রত্যাগমন করতেন。
ইমাম হাকেম রহ. হজরত বুরাইদা থেকে ভিন্ন সনদে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাজারে গেলে এই দুআ পড়তেন-
بِسْمِ اللهِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ السُّوْقِ وَخَيْرَ مَا فِيْهَا، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا. اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أُصِيْبَ فِيْهَا يَمِينًا فَاجِرَةً، أَوْصَفَقَةً خَاسِرَة.
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহ, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরা হাজিহিসুকি ওয়া খাইরা মা ফিহা, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা ফিহা। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উসিবা ফিহা ইয়ামিনান ফাজিরাতান, আও সাফাকাতান খাসিরাহ।
অর্থ: আল্লাহর নামে প্রবেশ করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এই বাজারের এবং এতে থাকা সবকিছুর মঙ্গল কামনা করি এবং এই বাজারের অমঙ্গল এবং এতে বিদ্যমান সকল বস্তুর অমঙ্গল থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমি এই বাজারে পাপের কসম ও লোকসানের সওদা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি।

টিকাঃ
১১০৭. সহিহ বুখারি: ৪৪৪৭।
১১০৮. সুনানে তিরমিজি: ৩৪২৮।
১১০৯. মুসতাদরাক আলাস সাহিহাইন ১/৫৩৮।
১১১০. তালখিস ১/৫৩৮, জাহাবি।
১১১১. মুসতাদরাক আলাস সাহিহাইন ১/৫৩৯।

📘 আল আযকার > 📄 আয়নার দিকে তাকিয়ে যা বলবে

📄 আয়নার দিকে তাকিয়ে যা বলবে


কেউ শরিয়ত-সম্মত কোনো কাজ করলে তাকে সমর্থন করা মুস্তাহাব
বিবাহিত ব্যক্তিকে অথবা যে শরিয়ত সমর্থিত কোনো ভালো কাজ করেছে অথবা ক্রয় করেছে তাকে সঠিক করেছ অথবা ভালো করেছ বা এ জাতীয় অন্য কোনো শব্দ বলা মুস্তাহাব
(৭৮২) হজরত জাবের রাদি. থেকে বর্ণিত, আমাকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
تَزَوَّجْتَ يَا جَابِرُ ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: بِكْرًا أَمْ ثَيْبًا ؟ قُلْتُ : ثَيِّبًا يَا رَسُوْلَ اللهِ، قَالَ: فَهَلَّا جَارِيَةً تُلاعِبُهَا وَتُلَاعِبُكَ؟ أَوْ قَالَ: تُضَاحِكُهَا وَتُضَاحِكُكَ؟ قُلْتُ: إِنَّ عَبْدَ اللهِ، يَعْنِي أَبَاهُ هَلَكَ وَتَرَكَ تِسْعَ بَنَاتٍ، أَوْ سَبْعًا، وَإِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَجِيْتَهُنَّ بِمِثْلِهِنَّ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَجِيْءَ بِامْرَأَةٍ تَقُوْمُ عَلَيْهِنَّ، وَتُصْلِحُهُنَّ، قَالَ: أَصَبْتَ.
অর্থ: হে জাবের, বিয়ে করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। রাসুল বললেন, কুমারি না বিধবা? আমি বললাম, বরং বিধবা হে আল্লাহর রাসুল। বললেন, কুমারি কেনো বিয়ে করলেন না? তাহলে তুমি তার সাথে আমোদ-ফুর্তি করতে আর সেও তোমার সাথে হাসি-মজাক করত। (বর্ণনাকারী বলেন, অথবা রাসুল বলেছেন:) তুমি তার সাথে হাস্য-রস করতে, সেও তোমার সাথে হাস্য-রস করত। জাবের রাদি. বলেন, আমি বললাম, আমার পিতা আবদুল্লাহ নয় অথবা সাতজন মেয়ে রেখে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তাদের কাছে তাদের মতো একজনকে নিয়ে আসাকে অপছন্দ করি। তাই আমি এমন একজন মহিলাকে নিয়ে আসতে পছন্দ করলাম, যিনি তাদের দেখাশুনা করবেন এবং তাদের শুধরে দিবেন ও গড়ে তুলবেন। রাসুল বললেন, ভালো করেছ。
আয়নার দিকে তাকিয়ে যা বলবে
(৭৮৩) হজরত আলি রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়নার দিকে তাকিয়ে বলতেন-
الْحَمْدُ لِلَّهِ اللَّهُمَّ كَمَا حَسَّنْتَ خَلْقِي فَحَسِّنْ خُلُقِي
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহুম্মা কামা হাসানতা খালকি ফা হাসসিন খুলুকি।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার। হে আল্লাহ, যেমনিভাবে আপনি আমাকে সুন্দর আকৃতি দান করেছেন তেমনিভাবে আমার চরিত্রকেও সুন্দর করে দিন。
(৭৮৪) হজরত আনাস রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়নায় নিজের চেহারা দেখলে পড়তেন-
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي سَوّى خَلْقِي فَعَدَلَهُ، وَكَرَّمَ صُورَةً وَجْهِي فَحَسَّنَهَا، وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ.
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি সাওয়া খালকি ফা আদালাহু, ওয়া কাররামা সুরাতা ওয়াজহি ফা হাসানাহা, ওয়া জাআলানি মিনাল মুসলিমিন।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা ঐ সত্ত্বার, যিনি আমার আকৃতিকে সুবিন্যস্ত করেছেন। অতঃপর তাকে পরিমিতো রূপ দিয়েছেন। যিনি আমার চেহারাকে সম্মানিত করেছেন। অতঃপর একে করেছেন সুন্দর। আমাকে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন。

টিকাঃ
১১১২, সহিহ মুসলিম: ৭১৫, বুখারি শরিফ: ৫৩৬৭।
১১১৩. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ১৬৩।
১১১৪. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ১৬৫। হাদিসটি খুবই দুর্বল। তবে আলবানি রহ. বলেছেন, দুআটি সহিহ।

কেউ শরিয়ত-সম্মত কোনো কাজ করলে তাকে সমর্থন করা মুস্তাহাব
বিবাহিত ব্যক্তিকে অথবা যে শরিয়ত সমর্থিত কোনো ভালো কাজ করেছে অথবা ক্রয় করেছে তাকে সঠিক করেছ অথবা ভালো করেছ বা এ জাতীয় অন্য কোনো শব্দ বলা মুস্তাহাব
(৭৮২) হজরত জাবের রাদি. থেকে বর্ণিত, আমাকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
تَزَوَّجْتَ يَا جَابِرُ ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: بِكْرًا أَمْ ثَيْبًا ؟ قُلْتُ : ثَيِّبًا يَا رَسُوْلَ اللهِ، قَالَ: فَهَلَّا جَارِيَةً تُلاعِبُهَا وَتُلَاعِبُكَ؟ أَوْ قَالَ: تُضَاحِكُهَا وَتُضَاحِكُكَ؟ قُلْتُ: إِنَّ عَبْدَ اللهِ، يَعْنِي أَبَاهُ هَلَكَ وَتَرَكَ تِسْعَ بَنَاتٍ، أَوْ سَبْعًا، وَإِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَجِيْتَهُنَّ بِمِثْلِهِنَّ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَجِيْءَ بِامْرَأَةٍ تَقُوْمُ عَلَيْهِنَّ، وَتُصْلِحُهُنَّ، قَالَ: أَصَبْتَ.
অর্থ: হে জাবের, বিয়ে করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। রাসুল বললেন, কুমারি না বিধবা? আমি বললাম, বরং বিধবা হে আল্লাহর রাসুল। বললেন, কুমারি কেনো বিয়ে করলেন না? তাহলে তুমি তার সাথে আমোদ-ফুর্তি করতে আর সেও তোমার সাথে হাসি-মজাক করত। (বর্ণনাকারী বলেন, অথবা রাসুল বলেছেন:) তুমি তার সাথে হাস্য-রস করতে, সেও তোমার সাথে হাস্য-রস করত। জাবের রাদি. বলেন, আমি বললাম, আমার পিতা আবদুল্লাহ নয় অথবা সাতজন মেয়ে রেখে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তাদের কাছে তাদের মতো একজনকে নিয়ে আসাকে অপছন্দ করি। তাই আমি এমন একজন মহিলাকে নিয়ে আসতে পছন্দ করলাম, যিনি তাদের দেখাশুনা করবেন এবং তাদের শুধরে দিবেন ও গড়ে তুলবেন। রাসুল বললেন, ভালো করেছ。
আয়নার দিকে তাকিয়ে যা বলবে
(৭৮৩) হজরত আলি রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়নার দিকে তাকিয়ে বলতেন-
الْحَمْدُ لِلَّهِ اللَّهُمَّ كَمَا حَسَّنْتَ خَلْقِي فَحَسِّنْ خُلُقِي
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহুম্মা কামা হাসানতা খালকি ফা হাসসিন খুলুকি।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার। হে আল্লাহ, যেমনিভাবে আপনি আমাকে সুন্দর আকৃতি দান করেছেন তেমনিভাবে আমার চরিত্রকেও সুন্দর করে দিন。
(৭৮৪) হজরত আনাস রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়নায় নিজের চেহারা দেখলে পড়তেন-
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي سَوّى خَلْقِي فَعَدَلَهُ، وَكَرَّمَ صُورَةً وَجْهِي فَحَسَّنَهَا، وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ.
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি সাওয়া খালকি ফা আদালাহু, ওয়া কাররামা সুরাতা ওয়াজহি ফা হাসানাহা, ওয়া জাআলানি মিনাল মুসলিমিন।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা ঐ সত্ত্বার, যিনি আমার আকৃতিকে সুবিন্যস্ত করেছেন। অতঃপর তাকে পরিমিতো রূপ দিয়েছেন। যিনি আমার চেহারাকে সম্মানিত করেছেন। অতঃপর একে করেছেন সুন্দর। আমাকে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন。

টিকাঃ
১১১২, সহিহ মুসলিম: ৭১৫, বুখারি শরিফ: ৫৩৬৭।
১১১৩. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ১৬৩।
১১১৪. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ১৬৫। হাদিসটি খুবই দুর্বল। তবে আলবানি রহ. বলেছেন, দুআটি সহিহ।

📘 আল আযকার > 📄 কুদৃষ্টির ক্ষতির আশঙ্কা হলে করণীয়

📄 কুদৃষ্টির ক্ষতির আশঙ্কা হলে করণীয়


কুদৃষ্টি ক্ষতির আশঙ্কা হলে করণীয়
নিজের, সন্তানাদি, সম্পদ অথবা অন্য কোথাও আশ্চর্যজনক কিছু দেখলে এবং এতে কুদৃষ্টি অথবা ক্ষতির আশঙ্কা হলে করণীয়।
(৮২৮) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
الْعَيْنُ حَقٌّ.
অর্থ: চোখের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য。
(৮২৯) হজরত উম্মে সালামা রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে একটি মেয়েকে মলিন চেহারায় দেখে বললেন-
اسْتَرْقُوْا لَهَا فَإِنَّ بِهَا النَّظْرَةَ.
অর্থ: তাকে ঝাড়ফুক করাও, কেননা তার ওপর নজর লেগেছে。
(৮৩০) হজরত ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
الْعَيْنُ حَقٌّ، وَلَوْ كَانَ شَيْءٍ سَابَقَ الْقَدَرَ سَبَقَتْهُ الْعَيْنُ، وَإِذَا اسْتُغْسِلْتُمْ فَاغْسِلُوا.
অর্থ: কুদৃষ্টির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া বাস্তব। কোনো বিষয় যদি ভাগ্যলিপিকে অতিক্রম করত, তাহলে কুদৃষ্টিই ভাগ্যলিপিকে অতিক্রম করত। তোমাদেরকে [কুদৃষ্টিকারী] ধৌত করতে বলা হলে ধৌত করে দিবে। ইমাম নববি রহ. বলেন, উলামায়ে কেরাম বলেন, কুদৃষ্টিকারীকে বলা হবে- লুঙ্গির ভিতরাংশ পানি দিয়ে ধুয়ে দাও। অতঃপর তা কৃদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তির উপর ছিটিয়ে দিবে। হজরত আয়েশা রাদি. থেকে প্রমাণিত যে, সে যুগে বদনজকারীকে অজু করতে নির্দেশ দেয়া হত, অতঃপর তা দিয়ে নজর লাগা ব্যক্তি গোসল করত। ইমাম আবুদ রহ. একে সহিহ সনদে নকল করেছেন。
(৮৩১) হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদি. থেকে বর্ণিত-
كَانَ رَسُوْلُ اللهِ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَعَوَّذُ مِنَ الْجَانِّ، وَعَيْنِ الْإِنْسَانِ حَتَّى نَזَلَتِ الْمُعَوَّذَتَانِ، فَلَمَّا نَزَلَتَا أَخَذَ بِهِمَا، وَتَرَكَ مَا سِوَاهُمَا.
অর্থ: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিন ও মানুষের কুদৃষ্টি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। পরে যখন সুরা ফালাক ও নাস নাজিল হয়, তিনি ঐ সুরাদ্বয় পড়া আরম্ভ করলেন এবং বাকিগুলো পরিত্যাগ করলেন。
(৮৩৩) হজরত ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইন রাদি. এর জন্য এভাবে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন-
أُعِيدُ كُمَا بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَأَمَّةٍ.
উচ্চারণ: উয়িজুকুমা বি-কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাতিন, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।
অর্থ: আমি তোমাদের দুজনের জন্য আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমাসমূহের মাধ্যমে প্রত্যেক শয়তান ও বিষাক্ত প্রাণী হতে এবং সকল প্রকার বদনজর হতে মুক্তি চাচ্ছি। -অতঃপর বলতেন, তোমাদের পিতা ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তার পুত্রদ্বয় ইসমাঈল ও ইসহাককে এ বাক্য দ্বারাই আশ্রয় চাইতেন।
(৮৩৩) হজরত সাঈদ বিন হাকিম রাদি. থেকে বর্ণিত, কোনো বস্তুতে বদনজরের আশঙ্কা করলে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন-
اللَّهُمَّ بَارِكْ فِيْهِ وَلَا تَضُرَّهُ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক ফিহি ওয়া লা তাদুররাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ, তুমি এতে বরকত দাও এবং ক্ষতিগ্রস্ত কর না。
(৮৩৪) হজরত আনাস রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যদি কোনো বস্তু কাউকে বিমোহিত করে এবং সে এই দুআ পাঠ করে, তাহলে ঐ বস্তুর কোনো ক্ষতি হবে না। দুআটি হল-
مَا شَاءَ اللهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ .
উচ্চারণ: মাশা আল্লাহু লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ যা চান তাই হয়, আল্লাহ ছাড়া আর কারো কোনো ক্ষমতো নেই。
(৮৩৫) হজরত সাহাল বিন হুনাইফ রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يُعْجِبُهُ فِي نَفْسِهِ، أَوْ مَالِهِ فَلْيُبَرِّكْ عَلَيْهِ، فَإِنَّ الْعَيْنَ حَقٌّ.
অর্থ: যখন তোমাদের কেউ নিজ সত্ত্বা বা সম্পদে মুগ্ধকর কিছু দেখে, সে যেন তখন বরকতের দুআ পড়ে। কেননা নজর লাগার বিষয়টা সত্য。
(৮৩৬) হজরত আমের বিন রবিআ রাদি. থেকে রেওয়ায়েত আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مِنْ نَفْسِهِ وَمَالِهِ وَأَعْجَبَهُ مَا يُعْجِبُهُ فَلْيَدْعُ بِالْبَرَكَةِ.
অর্থ: তোমাদের কেউ যখন নিজ সত্ত্বা বা সম্পদের দিকে খেয়াল করে এবং কোনো বিষয় তাকে মুগ্ধ করে, সে যেন বরকতের দুআ পড়ে。
ইমাম আবু মুহাম্মাদ কাজি হুসাইন শাফেয়ি তার 'তালিক ফিল মাজহাব' নামক কিতাবে উল্লেখ করেন- জনৈক নবি একদিন নিজ সম্প্রদায়ের দিকে খেয়াল করে তাকালেন, তার কাছে তাদের সংখ্যা বেশি মনে হল এবং সেটা তাকে আশ্চর্যান্বিত করল। অতঃপর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের ৭০ হাজার লোক মারা গেল। আল্লাহ তাআলা সেই নবির কাছে ওহি পাঠিয়ে বললেন, আপনি তো তাদের ওপর নজর দিয়ে দিলেন! নজর পড়ার সাথে সাথে যদি তাদের হেফাজতের দুআ করতেন, তাহলে তারা মৃত্যুবরণ করত না। নবি জিজ্ঞাসা করলেন, কী দিয়ে তাদেরকে (নজর থেকে) হেফাজত করব? আল্লাহ পাক ওহি প্রেরণ করলেন যে, আপনি বলবেন-
حَصَّنْتُكُمْ بِالْحَيِّ الْقَيُّوْمِ الَّذِي لَا يَمُوْتُ أَبَدًا، وَدَفَعْتُ عَنْكُمُ السُّوءَ بِلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ.
উচ্চারণ: হাসানতুকুম বিল হাইয়িল কাইয়ুমিল্লাজি লা ইয়ামুতু আবাদা, ওয়া দাফাতু আনকুমুস সুআ বিলা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।
অর্থ: তোমাদেরকে (নজর থেকে) এমন এক সত্ত্বার হেফাজতে দিলাম যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী, যার কখনো মৃত্যু হবে না। তোমাদের থেকে অকল্যাণ দূর করছি লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম-এর ওসিলায়。
কাজি হুসাইন থেকে টীকাকারী বলেন, কাজি রহ. এর অভ্যাস ছিল, তিনি কোনো শাগরিদের আখলাক ও সুন্দর অবস্থা দেখে মুগ্ধ হলে উল্লিখিত বাক্য দ্বারা (নজর থেকে) হেফাজতের দুআ করতেন। আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞানী।

টিকাঃ
১১৮১. বুখারি শরিফ: ৫৭৪০, মুসলিম শরিফ: ২১৮৭, সুনানে আবু দাউদ: ৩৮৭৯, মুসনাদে আহমাদ ২/২২২।
১১৮২. বুখারি শরিফ: ৫৭৩৯, মুসলিম শরিফ: ২১৯৭।
১১৮৩. মুসলিম শরিফ: ২১৮৮, তিরমিজি শরিফ: ২০৬২।
১১৮৪. সুনানে আবু দাউদ: ৩৮৮০।
১১৮৫. সুনানে তিরমিজি: ২০৫৮, সুনানে নাসাঈ: ৫৪৯৪, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৫১১।
১১৮৬. বুখারি শরিফ: ৩৩৭১।
১১৮৭. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৮।
১১৮৮. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৭।
১১৮৯. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৫।
১১৯০. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৬।
১১৯১. মুসনাদে আহমাদ ৪/৩৩২।

কুদৃষ্টি ক্ষতির আশঙ্কা হলে করণীয়
নিজের, সন্তানাদি, সম্পদ অথবা অন্য কোথাও আশ্চর্যজনক কিছু দেখলে এবং এতে কুদৃষ্টি অথবা ক্ষতির আশঙ্কা হলে করণীয়।
(৮২৮) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
الْعَيْنُ حَقٌّ.
অর্থ: চোখের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য。
(৮২৯) হজরত উম্মে সালামা রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে একটি মেয়েকে মলিন চেহারায় দেখে বললেন-
اسْتَرْقُوْا لَهَا فَإِنَّ بِهَا النَّظْرَةَ.
অর্থ: তাকে ঝাড়ফুক করাও, কেননা তার ওপর নজর লেগেছে。
(৮৩০) হজরত ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
الْعَيْنُ حَقٌّ، وَلَوْ كَانَ شَيْءٍ سَابَقَ الْقَدَرَ سَبَقَتْهُ الْعَيْنُ، وَإِذَا اسْتُغْسِلْتُمْ فَاغْسِلُوا.
অর্থ: কুদৃষ্টির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া বাস্তব। কোনো বিষয় যদি ভাগ্যলিপিকে অতিক্রম করত, তাহলে কুদৃষ্টিই ভাগ্যলিপিকে অতিক্রম করত। তোমাদেরকে [কুদৃষ্টিকারী] ধৌত করতে বলা হলে ধৌত করে দিবে। ইমাম নববি রহ. বলেন, উলামায়ে কেরাম বলেন, কুদৃষ্টিকারীকে বলা হবে- লুঙ্গির ভিতরাংশ পানি দিয়ে ধুয়ে দাও। অতঃপর তা কৃদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তির উপর ছিটিয়ে দিবে। হজরত আয়েশা রাদি. থেকে প্রমাণিত যে, সে যুগে বদনজকারীকে অজু করতে নির্দেশ দেয়া হত, অতঃপর তা দিয়ে নজর লাগা ব্যক্তি গোসল করত। ইমাম আবুদ রহ. একে সহিহ সনদে নকল করেছেন。
(৮৩১) হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদি. থেকে বর্ণিত-
كَانَ رَسُوْلُ اللهِ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَعَوَّذُ مِنَ الْجَانِّ، وَعَيْنِ الْإِنْسَانِ حَتَّى نَזَلَتِ الْمُعَوَّذَتَانِ، فَلَمَّا نَزَلَتَا أَخَذَ بِهِمَا، وَتَرَكَ مَا سِوَاهُمَا.
অর্থ: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিন ও মানুষের কুদৃষ্টি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। পরে যখন সুরা ফালাক ও নাস নাজিল হয়, তিনি ঐ সুরাদ্বয় পড়া আরম্ভ করলেন এবং বাকিগুলো পরিত্যাগ করলেন。
(৮৩৩) হজরত ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইন রাদি. এর জন্য এভাবে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন-
أُعِيدُ كُمَا بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَأَمَّةٍ.
উচ্চারণ: উয়িজুকুমা বি-কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাতিন, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।
অর্থ: আমি তোমাদের দুজনের জন্য আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমাসমূহের মাধ্যমে প্রত্যেক শয়তান ও বিষাক্ত প্রাণী হতে এবং সকল প্রকার বদনজর হতে মুক্তি চাচ্ছি। -অতঃপর বলতেন, তোমাদের পিতা ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তার পুত্রদ্বয় ইসমাঈল ও ইসহাককে এ বাক্য দ্বারাই আশ্রয় চাইতেন।
(৮৩৩) হজরত সাঈদ বিন হাকিম রাদি. থেকে বর্ণিত, কোনো বস্তুতে বদনজরের আশঙ্কা করলে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন-
اللَّهُمَّ بَارِكْ فِيْهِ وَلَا تَضُرَّهُ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক ফিহি ওয়া লা তাদুররাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ, তুমি এতে বরকত দাও এবং ক্ষতিগ্রস্ত কর না。
(৮৩৪) হজরত আনাস রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যদি কোনো বস্তু কাউকে বিমোহিত করে এবং সে এই দুআ পাঠ করে, তাহলে ঐ বস্তুর কোনো ক্ষতি হবে না। দুআটি হল-
مَا شَاءَ اللهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ .
উচ্চারণ: মাশা আল্লাহু লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ যা চান তাই হয়, আল্লাহ ছাড়া আর কারো কোনো ক্ষমতো নেই。
(৮৩৫) হজরত সাহাল বিন হুনাইফ রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يُعْجِبُهُ فِي نَفْسِهِ، أَوْ مَالِهِ فَلْيُبَرِّكْ عَلَيْهِ، فَإِنَّ الْعَيْنَ حَقٌّ.
অর্থ: যখন তোমাদের কেউ নিজ সত্ত্বা বা সম্পদে মুগ্ধকর কিছু দেখে, সে যেন তখন বরকতের দুআ পড়ে। কেননা নজর লাগার বিষয়টা সত্য。
(৮৩৬) হজরত আমের বিন রবিআ রাদি. থেকে রেওয়ায়েত আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مِنْ نَفْسِهِ وَمَالِهِ وَأَعْجَبَهُ مَا يُعْجِبُهُ فَلْيَدْعُ بِالْبَرَكَةِ.
অর্থ: তোমাদের কেউ যখন নিজ সত্ত্বা বা সম্পদের দিকে খেয়াল করে এবং কোনো বিষয় তাকে মুগ্ধ করে, সে যেন বরকতের দুআ পড়ে。
ইমাম আবু মুহাম্মাদ কাজি হুসাইন শাফেয়ি তার 'তালিক ফিল মাজহাব' নামক কিতাবে উল্লেখ করেন- জনৈক নবি একদিন নিজ সম্প্রদায়ের দিকে খেয়াল করে তাকালেন, তার কাছে তাদের সংখ্যা বেশি মনে হল এবং সেটা তাকে আশ্চর্যান্বিত করল। অতঃপর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের ৭০ হাজার লোক মারা গেল। আল্লাহ তাআলা সেই নবির কাছে ওহি পাঠিয়ে বললেন, আপনি তো তাদের ওপর নজর দিয়ে দিলেন! নজর পড়ার সাথে সাথে যদি তাদের হেফাজতের দুআ করতেন, তাহলে তারা মৃত্যুবরণ করত না। নবি জিজ্ঞাসা করলেন, কী দিয়ে তাদেরকে (নজর থেকে) হেফাজত করব? আল্লাহ পাক ওহি প্রেরণ করলেন যে, আপনি বলবেন-
حَصَّنْتُكُمْ بِالْحَيِّ الْقَيُّوْمِ الَّذِي لَا يَمُوْتُ أَبَدًا، وَدَفَعْتُ عَنْكُمُ السُّوءَ بِلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ.
উচ্চারণ: হাসানতুকুম বিল হাইয়িল কাইয়ুমিল্লাজি লা ইয়ামুতু আবাদা, ওয়া দাফাতু আনকুমুস সুআ বিলা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।
অর্থ: তোমাদেরকে (নজর থেকে) এমন এক সত্ত্বার হেফাজতে দিলাম যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী, যার কখনো মৃত্যু হবে না। তোমাদের থেকে অকল্যাণ দূর করছি লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম-এর ওসিলায়。
কাজি হুসাইন থেকে টীকাকারী বলেন, কাজি রহ. এর অভ্যাস ছিল, তিনি কোনো শাগরিদের আখলাক ও সুন্দর অবস্থা দেখে মুগ্ধ হলে উল্লিখিত বাক্য দ্বারা (নজর থেকে) হেফাজতের দুআ করতেন। আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞানী।

টিকাঃ
১১৮১. বুখারি শরিফ: ৫৭৪০, মুসলিম শরিফ: ২১৮৭, সুনানে আবু দাউদ: ৩৮৭৯, মুসনাদে আহমাদ ২/২২২।
১১৮২. বুখারি শরিফ: ৫৭৩৯, মুসলিম শরিফ: ২১৯৭।
১১৮৩. মুসলিম শরিফ: ২১৮৮, তিরমিজি শরিফ: ২০৬২।
১১৮৪. সুনানে আবু দাউদ: ৩৮৮০।
১১৮৫. সুনানে তিরমিজি: ২০৫৮, সুনানে নাসাঈ: ৫৪৯৪, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৫১১।
১১৮৬. বুখারি শরিফ: ৩৩৭১।
১১৮৭. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৮।
১১৮৮. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৭।
১১৮৯. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৫।
১১৯০. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২০৬।
১১৯১. মুসনাদে আহমাদ ৪/৩৩২।

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন