📄 সুসংবাদের সময় আল্লাহর প্রশংসা করা
অধ্যায়- ১৮
বিভিন্ন জিকির সংক্রান্ত আলোচনা
ইনশাআল্লাহ আমি এই গ্রন্থে জিকির ও দুআ সংক্রান্ত বিবিধ অধ্যায় উল্লেখ করব, যা দ্বারা অধিক উপকার হবে ইনশাআল্লাহ। এক্ষেত্রে বিশেষ কোনো বিন্যাস বাধ্যতামূলক করব না। আল্লাহ তাআলাই একমাত্র তাওফিকদাতা।
সুসংবাদের সময় যথাসাধ্য আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করা মুস্তাহাব
জেনে রাখুন, কারো বাহ্যিক কোনো নেয়ামত অর্জন হলে অথবা বাহ্যিক কোনো বিপদাপদ দূর হলে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আল্লাহ তাআলাকে সাজদা করা এবং আল্লাহ তাআলার যথাযথ প্রশংসা করা ও গুণগান করা মুস্তাহাব। এ বিষয়ক হাদিস অগণিত ও সুপ্রসিদ্ধ।
(৭৫৪) হজরত উমর বিন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদত বিষয়ে আমর বিন মায়মুন থেকে শুরা সংক্রান্ত দীর্ঘ হাদিসে আছে-
أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَرْسَلَ ابْنَهُ عَبْدَ اللهِ إِلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا يَسْتَأْذِنُهَا أَنْ يُدْفِنَ مَعَ صَاحِبَيْهِ، فَلَمَّا أَقْبَلَ عَبْدُ اللَّهِ قَالَ عُمَرَ: مَا لَدَيْكَ ؟
قَالَ: الَّذِي تُحِبُّ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ ؛ أَذِنَتْ، قَالَ : الْحَمْدُ لِلَّهِ، مَا كَانَ مِنْ شَيْءٍ أَهَمُّ إِلَيَّ مِنْ ذَلِكَ.
অর্থ: উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু নিজ ছেলে আবদুল্লাহকে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কাছে প্রেরণ করলেন, যেন তিনি বন্ধুদ্বয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে সমাধিত হওয়ার ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেন। অতঃপর আবদুল্লাহ ফিরে এলে উমর রাদি. জিজ্ঞাসা করলেন, কী সংবাদ? তিনি বললেন, আপনি যা কামনা করেছেন হে আমিরুল মুমিনিন। তিনি অনুমতি দিয়েছেন। উমর রাদি. বললেন, আলহামদুলিল্লাহ, এরচে বড় কোনো প্রাপ্তি ছিল না আমার。
টিকাঃ
১০৭৯. সহিহ বুখারি: ১৩৯২।
অধ্যায়- ১৮
বিভিন্ন জিকির সংক্রান্ত আলোচনা
ইনশাআল্লাহ আমি এই গ্রন্থে জিকির ও দুআ সংক্রান্ত বিবিধ অধ্যায় উল্লেখ করব, যা দ্বারা অধিক উপকার হবে ইনশাআল্লাহ। এক্ষেত্রে বিশেষ কোনো বিন্যাস বাধ্যতামূলক করব না। আল্লাহ তাআলাই একমাত্র তাওফিকদাতা।
সুসংবাদের সময় যথাসাধ্য আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করা মুস্তাহাব
জেনে রাখুন, কারো বাহ্যিক কোনো নেয়ামত অর্জন হলে অথবা বাহ্যিক কোনো বিপদাপদ দূর হলে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আল্লাহ তাআলাকে সাজদা করা এবং আল্লাহ তাআলার যথাযথ প্রশংসা করা ও গুণগান করা মুস্তাহাব। এ বিষয়ক হাদিস অগণিত ও সুপ্রসিদ্ধ।
(৭৫৪) হজরত উমর বিন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদত বিষয়ে আমর বিন মায়মুন থেকে শুরা সংক্রান্ত দীর্ঘ হাদিসে আছে-
أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَرْسَلَ ابْنَهُ عَبْدَ اللهِ إِلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا يَسْتَأْذِنُهَا أَنْ يُدْفِنَ مَعَ صَاحِبَيْهِ، فَلَمَّا أَقْبَلَ عَبْدُ اللَّهِ قَالَ عُمَرَ: مَا لَدَيْكَ ؟
قَالَ: الَّذِي تُحِبُّ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ ؛ أَذِنَتْ، قَالَ : الْحَمْدُ لِلَّهِ، مَا كَانَ مِنْ شَيْءٍ أَهَمُّ إِلَيَّ مِنْ ذَلِكَ.
অর্থ: উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু নিজ ছেলে আবদুল্লাহকে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কাছে প্রেরণ করলেন, যেন তিনি বন্ধুদ্বয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে সমাধিত হওয়ার ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেন। অতঃপর আবদুল্লাহ ফিরে এলে উমর রাদি. জিজ্ঞাসা করলেন, কী সংবাদ? তিনি বললেন, আপনি যা কামনা করেছেন হে আমিরুল মুমিনিন। তিনি অনুমতি দিয়েছেন। উমর রাদি. বললেন, আলহামদুলিল্লাহ, এরচে বড় কোনো প্রাপ্তি ছিল না আমার。
টিকাঃ
১০৭৯. সহিহ বুখারি: ১৩৯২।
📄 বিভিন্ন শব্দ শুনলে যা বলবে
মোরগ, গাধা ও কুকুরের ডাক শুনলে যা বলবে
(৭৫৫) হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِذَا سَمِعْتُمْ نَهَاقَ الْحَمِيرِ فَتَعَوَّذُوْا بِاللهِ، مِنَ الشَّيْطَانِ؛ فَإِنَّهَا رَأَتْ شَيْطَانًا. وَإِذَا سَمِعْتُمْ صِيَاحَ الدِّيْكَةِ فَاسْأَلُوا اللَّهَ مِنْ فَضْلِهِ؛ فَإِنَّهَا رَأَتْ مَلَكًا.
অর্থ: যখন তোমরা গাধার ডাক শুনবে, আল্লাহ তাআলার কাছে শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। কেননা সে শয়তান দেখছে। যখন মোরগের ডাক শুনবে তখন আল্লাহ তাআলার কাছে অনুগ্রহ কামনা করবে। কেননা সে ফেরেশতা দেখছে。
(৭৫৬) হজরত জাবের বিন আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
إِذَا سَمِعْتُمْ نُبَاحَ الْكِلَابِ وَنَهِيقَ الْحُمُرِ بِاللَّيْلِ فَتَعَوَّذُوا بِاللَّهِ، ؛ فَإِنَّهُنَّ يَرَيْنَ مَا لَا تَرَوْنَ.
অর্থ: তোমরা রাতের বেলা কুকুরের ঘেউ ঘেউ এবং গাধার ডাক শুনলে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। কারণ, এরা এমন কিছু দেখতে পায়, যা তোমরা দেখ না。
আগুন দেখলে করণীয়
(৭৫৭) হজরত আমর বিন শুআইবের সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِذَا رَأَيْتُمُ الْحَرِيقَ فَكَبِّرُوْا، فَإِنَّ التَّكْبِيرَ يُطْفِئُهُ
অর্থ: তোমরা আগুন দেখলে আল্লাহু আকবার বলবে, কেননা তাকবির একে নিভিয়ে দেয়。
পাশাপাশি বিপদাপদ সংক্রান্ত দুআগুলোও পাঠ করা উচিত, যা আমরা পূর্বে “আপতিত বিষয়াদি, ব্যাধি ও বিপদাপদে পঠিত জিকিরসমূহ" অধ্যায়ে উল্লেখ করেছি।
টিকাঃ
১০৮০. সহিহ বুখারি: ৩৩০৩, সহিহ মুসলিম: ২৭২৯, সুনানে আবু দাউদ: ৫১০২, সুনানে তিরমিজি: ৩৪৫৫, মুসনাদে আহমাদ ২/৩০৬, আমাল: ৯৪৩, আমাল: ৩১১।
১০৮১. সুনানে আবু দাউদ: ৫১০৩, আদাব: ১২২৩, মুসনাদে আহমাদ ৩/৩০৬, মাওয়ারিদ: ১৯৯৬, মু. হাকেম ৪/২৮৪।
১০৮২. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২৯৪।
মোরগ, গাধা ও কুকুরের ডাক শুনলে যা বলবে
(৭৫৫) হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِذَا سَمِعْتُمْ نَهَاقَ الْحَمِيرِ فَتَعَوَّذُوْا بِاللهِ، مِنَ الشَّيْطَانِ؛ فَإِنَّهَا رَأَتْ شَيْطَانًا. وَإِذَا سَمِعْتُمْ صِيَاحَ الدِّيْكَةِ فَاسْأَلُوا اللَّهَ مِنْ فَضْلِهِ؛ فَإِنَّهَا رَأَتْ مَلَكًا.
অর্থ: যখন তোমরা গাধার ডাক শুনবে, আল্লাহ তাআলার কাছে শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। কেননা সে শয়তান দেখছে। যখন মোরগের ডাক শুনবে তখন আল্লাহ তাআলার কাছে অনুগ্রহ কামনা করবে। কেননা সে ফেরেশতা দেখছে。
(৭৫৬) হজরত জাবের বিন আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
إِذَا سَمِعْتُمْ نُبَاحَ الْكِلَابِ وَنَهِيقَ الْحُمُرِ بِاللَّيْلِ فَتَعَوَّذُوا بِاللَّهِ، ؛ فَإِنَّهُنَّ يَرَيْنَ مَا لَا تَرَوْنَ.
অর্থ: তোমরা রাতের বেলা কুকুরের ঘেউ ঘেউ এবং গাধার ডাক শুনলে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। কারণ, এরা এমন কিছু দেখতে পায়, যা তোমরা দেখ না。
আগুন দেখলে করণীয়
(৭৫৭) হজরত আমর বিন শুআইবের সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِذَا رَأَيْتُمُ الْحَرِيقَ فَكَبِّرُوْا، فَإِنَّ التَّكْبِيرَ يُطْفِئُهُ
অর্থ: তোমরা আগুন দেখলে আল্লাহু আকবার বলবে, কেননা তাকবির একে নিভিয়ে দেয়。
পাশাপাশি বিপদাপদ সংক্রান্ত দুআগুলোও পাঠ করা উচিত, যা আমরা পূর্বে “আপতিত বিষয়াদি, ব্যাধি ও বিপদাপদে পঠিত জিকিরসমূহ" অধ্যায়ে উল্লেখ করেছি।
টিকাঃ
১০৮০. সহিহ বুখারি: ৩৩০৩, সহিহ মুসলিম: ২৭২৯, সুনানে আবু দাউদ: ৫১০২, সুনানে তিরমিজি: ৩৪৫৫, মুসনাদে আহমাদ ২/৩০৬, আমাল: ৯৪৩, আমাল: ৩১১।
১০৮১. সুনানে আবু দাউদ: ৫১০৩, আদাব: ১২২৩, মুসনাদে আহমাদ ৩/৩০৬, মাওয়ারিদ: ১৯৯৬, মু. হাকেম ৪/২৮৪।
১০৮২. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২৯৪।
📄 মজলিস থেকে উঠার সময় পড়ার দুআ
মজলিস থেকে উঠার সময় পড়ার দুআ
(৭৫৮) হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ جَلَسَ فِي مَجْلِسٍ، فَكَثُرَ فِيْهِ لُغَطُهُ، فَقَالَ قَبْلَ أَنْ يَقُوْمَ مِنْ مَجْلِسِهِ ذَلِكَ: سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ، إِلَّا غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ فِي مَجْلِسِهِ ذَلِكَ.
অর্থ: যে ব্যক্তি কোনো মজলিসে আসন গ্রহণ করল এবং সেখানে তার থেকে অনেক অনর্থক কথাবার্তা সঙ্ঘটিত হয়ে গেল। অতঃপর সে মজলিস থেকে উঠার আগে নিম্নোক্ত দুআ পাঠ করল, সেই মজলিসে তার থেকে প্রকাশিত ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেয়া হবে। দুআটি হল-
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ.
উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা, আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইক।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার পবিত্রতার গুণগান করি। আপনি ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নেই বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি। আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি। -ইমাম তিরমিজি বলেন, হাদিসটি হাসান সহিহ。
(৭৫৯) হজরত আবু বারজা আসলামি রাদি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بِأَخَرَةٍ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَقُوْمَ مِنَ الْمَجْلِسِ: سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ. فَقَالَ رَجُلٌ: إِنَّكَ لَتَقُوْلُ قَوْلًا مَا كُنْتَ تَقُوْلُهُ فِيمَا مَضَى يَا رَسُولَ اللهِ، . فَقَالَ: كَفَّارَةٌ لِمَا يَكُوْنُ فِي الْمَجْلِسِ.
অর্থ: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো বৈঠক শেষ করে চলে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন, তখন বলতেন-
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ.
উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা, আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইক।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার পবিত্রতার গুণগান করি। আপনি ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নেই বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি। আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি। -এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসুল! এখন আপনি যে বাক্য পড়লেন তা তো ইতোপূর্বে পাঠ করেননি! বললেন, এটা মাজলিসের ভুলত্রুটির কাফফারা। - হাকেম রহ. তার মুসতাদরাকে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে রেওয়ায়েত করে বলেন, এর সনদ সহিহ。
(৭৬০) হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- যে চায় তার আমলনামা পরিপূর্ণ পাল্লার দ্বারা মাপা হোক, সে যেন মজলিসের শেষে অথবা উঠে যাওয়ার সময় বলে:
سُبْحَنَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ وَ سَلِّمُ عَلَى الْمُرْسَلِينَ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ.
উচ্চারণ: সুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইজ্জাতি আম্মা ইয়াসিফুনা ওয়া সালামুন আলাল মুরসালিনা ওয়ালহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
অর্থ: পবিত্র আপনার পরওয়াদিগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে। রাসুলগণের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর নিমিত্ত。
মজলিসে নিজের জন্য এবং সাথীদের জন্য দুআ করা
(৭৬১) হজরত ইবনে উমর রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কমই মজলিস থেকে উঠতেন, যতক্ষণ না সাহাবাদের জন্য এই দুআ না করতেন-
اللَّهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا يَحُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعْصِيَتِكَ، وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِهِ جَنَّتَكَ، وَمِنَ الْيَقِينِ مَا تُهَوِّنُ بِهَ عَلَيْنَا مَصَائِبَ الدُّنْيَا. اللَّهُمَّ مَتَّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُوَّتِنَا مَا أَحْيَيْتَنَا، وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنَّا، وَاجْعَلْ ثَأْرَنَا عَلَى مَنْ ظَلَمَنَا، وَانْصُرْنَا عَلَى مَنْ عَادَانَا، وَلَا تَجْعَلْ مُصِيبَتَنَا فِي دِينِنَا، وَلَا تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَهَمْنَا، وَلَا مَبْلَغَ عِلْمِنَا، وَلَا تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لَا يَرْحَمُنَا.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাক সিম লানা মিন খাশয়াতিকা মা ইয়াহুলু বাইনানা ওয়া বাইনা মাসিয়াতিক, ওয়া মিন তাআতিকা মা তুবাল্লিগুনা বিহি জান্নাতাক, ওয়া মিনাল ইয়াকিনি মা তুহাওয়িনু বিহি আলাইনা মাসায়িবাদ্দুনয়া। আল্লাহুম্মা মাত্তিনা বি-আসমায়িনা ওয়া আবসারিনা ওয়া কুওয়াতিনা মা আহয়াইতana, ওয়াজআলহুল ওয়ারিসা মিন্না, ওয়াজআল সা'রানা আলা মান জালামানা, ওয়ান সুরনা আলা মান আদানা, ওয়ালা তাজআল মুসিবাতানা ফি দীনিনা, ওয়ালা তাজআলিদ্দুনয়া আকবারা হাম্মিনা, ওয়ালা মাবলাগা ইলমিনা, ওয়ালা তুসাল্লিত আলাইনা মান লা ইয়ারহামুনা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার ভয়ের এতটুকু দান করুন, যা আমাদের এবং আপনার অবাধ্যতার মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। আপনার এতটুকু আনুগত্য যা আমাদেরকে জান্নাত পর্যন্ত নিয়ে যায় এবং এতটা দৃঢ় বিশ্বাস যার মাধ্যমে দুনিয়ার বিপদাপদ আমাদের জন্য হালকা হয়ে যায়। হে আল্লাহ! আমাদেরকে আমৃত্যু কান, চোখ এবং শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে উপকৃত করুন। একেই আমাদের উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিন। আমাদের ওপর জুলুমকারীর প্রতিশোধ সুনির্ধারিত করুন এবং আমাদেরকে শত্রুদের বিপক্ষে বিজয় দান করুন। ধর্মপালনে আমাদেরকে বিপদগ্রস্ত করবেন না, দুনিয়াকে আমাদের মহত্তর অভিপ্রায় ও জ্ঞানের শেষ পরিধি বানাবেন না এবং নির্দয় জালিম শাসককে আমাদের ওপর কর্তৃত্ব দিবেন না। -ইমাম তিরমিজি বলেন, হাদিসটি হাসান。
আল্লাহ তাআলার স্মরণ ছাড়া মজলিস ত্যাগ করা অপছন্দনীয়
(৭৬২) হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে সহিহ সনদে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَا مِنْ قَوْمٍ يَقُوْمُوْنَ مِنْ مَجْلِسٍ لَا يَذْكُرُوْنَ اللَّهَ فِيْهِ، إِلَّا قَامُوا عَنْ مِثْلِ جِيْفَةِ حِمَارٍ، وَكَانَ لَهُمْ حَسْرَةً.
অর্থ: যারা আল্লাহ তাআলার স্মরণ ব্যতীত মজলিস ত্যাগ করল, তারা যেন গাধার মতো উদর ভরে উঠল। এই মজলিস তাদের আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে。
(৭৬৩) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
مَنْ قَعَدَ مَقْعَدًا لَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ فِيْهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللَّهِ تِرَةٌ، وَمَنِ اضْطَجَعَ مَضْجَعًا لَا يَذْكُرُ اللهَ فِيْهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللَّهِ، يَرَةُ.
অর্থ: যে ব্যক্তি মজলিসে উপবিষ্ট হল, অথচ তাতে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করল না; এজন্যে সে আল্লাহর কাছে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যে ব্যক্তি শয়নকক্ষে শয়ন করল, কিন্তু আল্লাহকে স্মরণ করল না, আল্লাহর কাছে এটাও তার লোকসানের কারণ হবে。
(৭৬৪) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. হতে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
مَا جَلَسَ قَوْمُ مَجْلِسًا لَمْ يَذْكُرُوا اللهَ فِيْهِ، وَلَمْ يُصَلُّوْا عَلَى نَبِيِّهِمْ إِلَّا كَانَ عَلَيْهِمْ تِرَةً، فَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُمْ، وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُمْ.
অর্থ: যারা কোনো মজলিসে উপবিষ্ট হয়ে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করল না এবং তাদের নবির প্রতি দরুদ প্রেরণ করল না; এই মজলিস তাদের লোকসানের কারণ হবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা চাইলে তাদেরকে শাস্তিও দিতে পারেন কিংবা মাফও করতে পারেন。
চলার পথে আল্লাহর স্মরণ
(৭৬৫) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
مَا مِنْ قَوْمٍ جَلَسُوا مَجْلِسًا لَمْ يَذْكُرُوا اللهَ عَزَّ وَجَلَّ فِيْهِ إِلَّا كَانَتْ عَلَيْهِمْ تِرَةٌ، وَمَا سَلَكَ رَجُلٌ طَرِيقًا لَمْ يَذْكُرِ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ فِيْهِ إِلَّا كَانَتْ عَلَيْهِ تِرَةٌ.
অর্থ: যারা কোনো মজলিসে উপবিষ্ট হয়ে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করল না; সে মজলিস তাদের লোকসানের কারণ হবে। যারা চলার পথে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করল না, সেই চলা তাদের জন্য লোকসানের কারণ হবে。
(৭৬৬) হজরত আবু উমামা বাহিলি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
أَتَى رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جِبْرِيلُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِتَبُوْكِ فَقَالَ : يَا مُحَمَّدُ اشْهَدْ جَنَازَةَ مُعَاوِيَةَ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْمُزَنِيِّ، فَخَرَجَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنَزَلَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي سَبْعِينَ أَلِفًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ، فَوَضَعَ جَنَاحَهُ الْأَيْمَنَ عَلَى الْجِبَالِ فَتَوَاضَعَتْ وَوَضَعَ جَنَاحَهُ الْأَيْسَرِ عَلَى الْأَرْضِينَ فَتَوَاضَعَتْ، حَتَّى نَظَرَ إِلَى مَكَّةِ وَالْمَدِينَةِ، فَصَلَّى عَلَيْهِ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجِبْرِيلُ وَالْمَلَائِكَةُ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ؛ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ : يَا جِبْرِيلُ بِمَ بَلَغَ مُعَاوِيَةُ هَذِهِ الْمَنْزِلَةَ؟ قَالَ : بِقِرَاءَتِهِ: قُلْ هُوَ اللَّهُ أحَدُ قَائِمًا وَرَاكِبًا وَمَاشِيًا.
অর্থ: তাবুকে থাকা অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আগমন হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম এসে বললেন: হে মুহাম্মাদ! আপনি মুআবিয়া বিন মুআবিয়া মুজানির জানাযায় শরিক হোন। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন এবং জিবরিল আলাইহিস সালাম সত্তর হাজার ফেরেশতা নিয়ে আগমন করলেন। এরপর তিনি নিজের ডান বাহু পাহাড়ের উপর চেপে ধরেন, ফলে তা সমতল হয়ে যায়। বাম বাহু জমিনের উপর রাখেন, তাও সমান হয়ে যায়। এমনকি মক্কা-মদিনা দৃষ্টিগোচর হতে লাগল। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, জিবরিল আলাইহিস সালাম এবং অন্যান্য ফেরেশতাগণ তার জানাযার নামাজ পড়েন। নামাজান্তে নবিজি বললেন, হে জিবরিল! কোন আমলের মাধ্যমে মুআবিয়া এই মর্যাদায় উপনীত হলেন? উত্তরে বললেন: দণ্ডায়মান, আরোহন এবং চলার পথে তার সুরা ইখলাস পাঠের মাধ্যমে。
টিকাঃ
১০৮৩. সুনানে তিরমিজি: ৩৪৩৩, মুসতাদরাকে হাকেম ১/৫৩৬, সহিহ ইবনে হিব্বান: ২৩৬৬, মুসনাদে আহমাদ ২/৪৯৪, আমাল: ৩৯৭, না., আমাল: ৪৪৭।
১০৮৪. সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৫৯, সুনানে দারিমি: ২৬৬১, আমাল: ৪২৬।
১০৮৫. মুসতাদরাকে হাকেম ১/৪৯২।
১০৮৬. হিলয়াতুল আউলিয়া ৭/১২৩। সুরা সাফফাত: ১৮০-১৮৩।
১০৮৭. সুনানে তিরমিজি: ৩৪৯৭, আমাল: ৪০১, না., আমাল: ৪৪৬, ই., মু. হাকেম ১/৫২৮।
১০৮৮. সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৫৫।
১০৮৯. সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৫৬।
১০৯০. সুনানে তিরমিজি: ৩৩৮০।
১০৯১. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ১৭৯।
১০৯২. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ১৮০, দালায়িলুন নুবুওয়্যাহ ৫/২৪৫। এই বর্ণনা সহিহ নয়। হজরত নাজাশির গায়েবানা জানাযা ছাড়া অন্য কারো গায়েবানা জানাযা পড়ার কথা সহিহ নয়। (ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম ১/৪১২)
মজলিস থেকে উঠার সময় পড়ার দুআ
(৭৫৮) হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ جَلَسَ فِي مَجْلِسٍ، فَكَثُرَ فِيْهِ لُغَطُهُ، فَقَالَ قَبْلَ أَنْ يَقُوْمَ مِنْ مَجْلِسِهِ ذَلِكَ: سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ، إِلَّا غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ فِي مَجْلِسِهِ ذَلِكَ.
অর্থ: যে ব্যক্তি কোনো মজলিসে আসন গ্রহণ করল এবং সেখানে তার থেকে অনেক অনর্থক কথাবার্তা সঙ্ঘটিত হয়ে গেল। অতঃপর সে মজলিস থেকে উঠার আগে নিম্নোক্ত দুআ পাঠ করল, সেই মজলিসে তার থেকে প্রকাশিত ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেয়া হবে। দুআটি হল-
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ.
উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা, আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইক।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার পবিত্রতার গুণগান করি। আপনি ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নেই বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি। আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি। -ইমাম তিরমিজি বলেন, হাদিসটি হাসান সহিহ。
(৭৫৯) হজরত আবু বারজা আসলামি রাদি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بِأَخَرَةٍ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَقُوْمَ مِنَ الْمَجْلِسِ: سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ. فَقَالَ رَجُلٌ: إِنَّكَ لَتَقُوْلُ قَوْلًا مَا كُنْتَ تَقُوْلُهُ فِيمَا مَضَى يَا رَسُولَ اللهِ، . فَقَالَ: كَفَّارَةٌ لِمَا يَكُوْنُ فِي الْمَجْلِسِ.
অর্থ: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো বৈঠক শেষ করে চলে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন, তখন বলতেন-
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ.
উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা, আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইক।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার পবিত্রতার গুণগান করি। আপনি ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নেই বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি। আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি। -এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসুল! এখন আপনি যে বাক্য পড়লেন তা তো ইতোপূর্বে পাঠ করেননি! বললেন, এটা মাজলিসের ভুলত্রুটির কাফফারা। - হাকেম রহ. তার মুসতাদরাকে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে রেওয়ায়েত করে বলেন, এর সনদ সহিহ。
(৭৬০) হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- যে চায় তার আমলনামা পরিপূর্ণ পাল্লার দ্বারা মাপা হোক, সে যেন মজলিসের শেষে অথবা উঠে যাওয়ার সময় বলে:
سُبْحَنَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ وَ سَلِّمُ عَلَى الْمُرْسَلِينَ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ.
উচ্চারণ: সুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইজ্জাতি আম্মা ইয়াসিফুনা ওয়া সালামুন আলাল মুরসালিনা ওয়ালহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
অর্থ: পবিত্র আপনার পরওয়াদিগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে। রাসুলগণের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর নিমিত্ত。
মজলিসে নিজের জন্য এবং সাথীদের জন্য দুআ করা
(৭৬১) হজরত ইবনে উমর রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কমই মজলিস থেকে উঠতেন, যতক্ষণ না সাহাবাদের জন্য এই দুআ না করতেন-
اللَّهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا يَحُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعْصِيَتِكَ، وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِهِ جَنَّتَكَ، وَمِنَ الْيَقِينِ مَا تُهَوِّنُ بِهَ عَلَيْنَا مَصَائِبَ الدُّنْيَا. اللَّهُمَّ مَتَّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُوَّتِنَا مَا أَحْيَيْتَنَا، وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنَّا، وَاجْعَلْ ثَأْرَنَا عَلَى مَنْ ظَلَمَنَا، وَانْصُرْنَا عَلَى مَنْ عَادَانَا، وَلَا تَجْعَلْ مُصِيبَتَنَا فِي دِينِنَا، وَلَا تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَهَمْنَا، وَلَا مَبْلَغَ عِلْمِنَا، وَلَا تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لَا يَرْحَمُنَا.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাক সিম লানা মিন খাশয়াতিকা মা ইয়াহুলু বাইনানা ওয়া বাইনা মাসিয়াতিক, ওয়া মিন তাআতিকা মা তুবাল্লিগুনা বিহি জান্নাতাক, ওয়া মিনাল ইয়াকিনি মা তুহাওয়িনু বিহি আলাইনা মাসায়িবাদ্দুনয়া। আল্লাহুম্মা মাত্তিনা বি-আসমায়িনা ওয়া আবসারিনা ওয়া কুওয়াতিনা মা আহয়াইতana, ওয়াজআলহুল ওয়ারিসা মিন্না, ওয়াজআল সা'রানা আলা মান জালামানা, ওয়ান সুরনা আলা মান আদানা, ওয়ালা তাজআল মুসিবাতানা ফি দীনিনা, ওয়ালা তাজআলিদ্দুনয়া আকবারা হাম্মিনা, ওয়ালা মাবলাগা ইলমিনা, ওয়ালা তুসাল্লিত আলাইনা মান লা ইয়ারহামুনা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার ভয়ের এতটুকু দান করুন, যা আমাদের এবং আপনার অবাধ্যতার মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। আপনার এতটুকু আনুগত্য যা আমাদেরকে জান্নাত পর্যন্ত নিয়ে যায় এবং এতটা দৃঢ় বিশ্বাস যার মাধ্যমে দুনিয়ার বিপদাপদ আমাদের জন্য হালকা হয়ে যায়। হে আল্লাহ! আমাদেরকে আমৃত্যু কান, চোখ এবং শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে উপকৃত করুন। একেই আমাদের উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিন। আমাদের ওপর জুলুমকারীর প্রতিশোধ সুনির্ধারিত করুন এবং আমাদেরকে শত্রুদের বিপক্ষে বিজয় দান করুন। ধর্মপালনে আমাদেরকে বিপদগ্রস্ত করবেন না, দুনিয়াকে আমাদের মহত্তর অভিপ্রায় ও জ্ঞানের শেষ পরিধি বানাবেন না এবং নির্দয় জালিম শাসককে আমাদের ওপর কর্তৃত্ব দিবেন না। -ইমাম তিরমিজি বলেন, হাদিসটি হাসান。
আল্লাহ তাআলার স্মরণ ছাড়া মজলিস ত্যাগ করা অপছন্দনীয়
(৭৬২) হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে সহিহ সনদে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَا مِنْ قَوْمٍ يَقُوْمُوْنَ مِنْ مَجْلِسٍ لَا يَذْكُرُوْنَ اللَّهَ فِيْهِ، إِلَّا قَامُوا عَنْ مِثْلِ جِيْفَةِ حِمَارٍ، وَكَانَ لَهُمْ حَسْرَةً.
অর্থ: যারা আল্লাহ তাআলার স্মরণ ব্যতীত মজলিস ত্যাগ করল, তারা যেন গাধার মতো উদর ভরে উঠল। এই মজলিস তাদের আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে。
(৭৬৩) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
مَنْ قَعَدَ مَقْعَدًا لَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ فِيْهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللَّهِ تِرَةٌ، وَمَنِ اضْطَجَعَ مَضْجَعًا لَا يَذْكُرُ اللهَ فِيْهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللَّهِ، يَرَةُ.
অর্থ: যে ব্যক্তি মজলিসে উপবিষ্ট হল, অথচ তাতে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করল না; এজন্যে সে আল্লাহর কাছে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যে ব্যক্তি শয়নকক্ষে শয়ন করল, কিন্তু আল্লাহকে স্মরণ করল না, আল্লাহর কাছে এটাও তার লোকসানের কারণ হবে。
(৭৬৪) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. হতে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
مَا جَلَسَ قَوْمُ مَجْلِسًا لَمْ يَذْكُرُوا اللهَ فِيْهِ، وَلَمْ يُصَلُّوْا عَلَى نَبِيِّهِمْ إِلَّا كَانَ عَلَيْهِمْ تِرَةً، فَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُمْ، وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُمْ.
অর্থ: যারা কোনো মজলিসে উপবিষ্ট হয়ে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করল না এবং তাদের নবির প্রতি দরুদ প্রেরণ করল না; এই মজলিস তাদের লোকসানের কারণ হবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা চাইলে তাদেরকে শাস্তিও দিতে পারেন কিংবা মাফও করতে পারেন。
চলার পথে আল্লাহর স্মরণ
(৭৬৫) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
مَا مِنْ قَوْمٍ جَلَسُوا مَجْلِسًا لَمْ يَذْكُرُوا اللهَ عَزَّ وَجَلَّ فِيْهِ إِلَّا كَانَتْ عَلَيْهِمْ تِرَةٌ، وَمَا سَلَكَ رَجُلٌ طَرِيقًا لَمْ يَذْكُرِ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ فِيْهِ إِلَّا كَانَتْ عَلَيْهِ تِرَةٌ.
অর্থ: যারা কোনো মজলিসে উপবিষ্ট হয়ে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করল না; সে মজলিস তাদের লোকসানের কারণ হবে। যারা চলার পথে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করল না, সেই চলা তাদের জন্য লোকসানের কারণ হবে。
(৭৬৬) হজরত আবু উমামা বাহিলি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
أَتَى رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جِبْرِيلُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِتَبُوْكِ فَقَالَ : يَا مُحَمَّدُ اشْهَدْ جَنَازَةَ مُعَاوِيَةَ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْمُزَنِيِّ، فَخَرَجَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنَزَلَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي سَبْعِينَ أَلِفًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ، فَوَضَعَ جَنَاحَهُ الْأَيْمَنَ عَلَى الْجِبَالِ فَتَوَاضَعَتْ وَوَضَعَ جَنَاحَهُ الْأَيْسَرِ عَلَى الْأَرْضِينَ فَتَوَاضَعَتْ، حَتَّى نَظَرَ إِلَى مَكَّةِ وَالْمَدِينَةِ، فَصَلَّى عَلَيْهِ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجِبْرِيلُ وَالْمَلَائِكَةُ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ؛ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ : يَا جِبْرِيلُ بِمَ بَلَغَ مُعَاوِيَةُ هَذِهِ الْمَنْزِلَةَ؟ قَالَ : بِقِرَاءَتِهِ: قُلْ هُوَ اللَّهُ أحَدُ قَائِمًا وَرَاكِبًا وَمَاشِيًا.
অর্থ: তাবুকে থাকা অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আগমন হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম এসে বললেন: হে মুহাম্মাদ! আপনি মুআবিয়া বিন মুআবিয়া মুজানির জানাযায় শরিক হোন। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন এবং জিবরিল আলাইহিস সালাম সত্তর হাজার ফেরেশতা নিয়ে আগমন করলেন। এরপর তিনি নিজের ডান বাহু পাহাড়ের উপর চেপে ধরেন, ফলে তা সমতল হয়ে যায়। বাম বাহু জমিনের উপর রাখেন, তাও সমান হয়ে যায়। এমনকি মক্কা-মদিনা দৃষ্টিগোচর হতে লাগল। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, জিবরিল আলাইহিস সালাম এবং অন্যান্য ফেরেশতাগণ তার জানাযার নামাজ পড়েন। নামাজান্তে নবিজি বললেন, হে জিবরিল! কোন আমলের মাধ্যমে মুআবিয়া এই মর্যাদায় উপনীত হলেন? উত্তরে বললেন: দণ্ডায়মান, আরোহন এবং চলার পথে তার সুরা ইখলাস পাঠের মাধ্যমে。
টিকাঃ
১০৮৩. সুনানে তিরমিজি: ৩৪৩৩, মুসতাদরাকে হাকেম ১/৫৩৬, সহিহ ইবনে হিব্বান: ২৩৬৬, মুসনাদে আহমাদ ২/৪৯৪, আমাল: ৩৯৭, না., আমাল: ৪৪৭।
১০৮৪. সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৫৯, সুনানে দারিমি: ২৬৬১, আমাল: ৪২৬।
১০৮৫. মুসতাদরাকে হাকেম ১/৪৯২।
১০৮৬. হিলয়াতুল আউলিয়া ৭/১২৩। সুরা সাফফাত: ১৮০-১৮৩।
১০৮৭. সুনানে তিরমিজি: ৩৪৯৭, আমাল: ৪০১, না., আমাল: ৪৪৬, ই., মু. হাকেম ১/৫২৮।
১০৮৮. সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৫৫।
১০৮৯. সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৫৬।
১০৯০. সুনানে তিরমিজি: ৩৩৮০।
১০৯১. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ১৭৯।
১০৯২. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ১৮০, দালায়িলুন নুবুওয়্যাহ ৫/২৪৫। এই বর্ণনা সহিহ নয়। হজরত নাজাশির গায়েবানা জানাযা ছাড়া অন্য কারো গায়েবানা জানাযা পড়ার কথা সহিহ নয়। (ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম ১/৪১২)
📄 ক্রোধের সময় পড়ার দুআ
ক্রোধান্বিত হলে পাঠ করার দুআ
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
الَّذِينَ يُنْفِقُوْنَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ.
অর্থ: যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমাপ্রদর্শন করে। বস্তুতঃ আল্লাহ তাআলা সৎকর্মশীলদিগকেই ভালোবাসেন।-অন্য আয়াতে বলেন-
وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَنِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ.
অর্থ: যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহর শরণাপন্ন হও। তিনিই শ্রবণকারী মহাজ্ঞানী。
(৭৬৭) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
لَيَسَ الشَّدِيدُ بِالصُّرَعَةِ إِنَّمَا الشَّدِيدُ الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ.
অর্থ: সে প্রকৃত বীর নয় যে কুস্তিতে জয়ী হয়; বরং প্রকৃত বীর সে যে ক্রোধের মূহুর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে。
(৭৬৮) হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
مَا تَعُدُّوْنَ الصُّرَعَةَ فِيْكُمْ؟ قُلْنَا: الَّذِي لَا يَصْرَعُهُ الرِّجَالُ. قَالَ: لَيْسَ بِذَلِكَ، وَلَكِنَّهُ الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ
অর্থ: তোমরা তোমাদের মাঝে কাকে বীরকেশরী মনে কর? আমরা বললাম, যাকে মানুষ কুস্তিতে পরাস্ত করতে পারে না। নবিজি বললেন, প্রকৃত বীরকেশরী সে নয়; বরং প্রকৃত বীর সে যে রাগের মূহুর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে。
(৭৬৯) হজরত মুআজ বিন আনাস যুহানি রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ كَظَمَ غَيْظًا وَهُوَ قَادِرُ عَلَى أَنْ يُنْفِذَهُ؛ دَعَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى رُءُوسِ الْخَلَائِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يُخَيَّرَهُ اللَّهُ مِنَ الْحُوْرِ الْعِيْنِ مَا يَشَاءُ.
অর্থ: যে ব্যক্তি প্রয়োগের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও রাগ সংবরণ করে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে সৃষ্টিকূলের সম্মুখে ডাকবেন এবং পছন্দমত হুর বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিবেন। - ইমাম তিরমিজি বলেন, হাদিসটি হাসান।
(৭৭০) হজরত সুলাইমান বিন সুরাদ রাদি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-
كُنْتُ جَالِسًا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَجُلَانِ يَسْتَبَّانِ، فَأَحَدُهُمَا احْمَرَّ وَجْهُهُ وَانْتَفَخَتْ أَوْدَاجُهُ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنِّي لَأَعْلَمُ كَلِمَةً لَوْ قَالَهَا ذَهَبَ عَنْهُ مَا يَجِدُ ، لَوْ قَالَ : أَعُوْذُ بِاللهِ، مِنَ الشَّيْطَانِ، ذَهَبَ عَنْهُ مَا يَجِدُ ." فَقَالُوا لَهُ : إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : تَعَوَّذْ بِاللَّهِ، مِنَ الشَّيْطَانِ. فَقَالَ : وَهَلْ بِي جُنُونُ ؟
অর্থ: আমি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। এমতাবস্থায় দুজন লোক গালাগালি করছিল। তাদের একজনের চেহারা রক্তিম এবং শাহরগ ফুলে ফুলে ওঠে ছিল। তখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি এমন একটি বাক্য জানি, যদি এ লোকটি তা পড়ে ফেললে, রাগ উধাও হয়ে যাবে। সে যদি পড়ে-
أَعُوْذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ.
উচ্চারণ: আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।
অর্থ: আমি শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করি। -তাহলে রাগ চলে যাবে। সাহাবায়ে কেরাম তাকে বললেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে “আউজুবিল্লাহ” পড়তে বলছেন। সে বলল, আমি কি পাগল?
(৭৭১) সুনানে আবু দাউদ ও সুনানে তিরমিজিতে আবদুর রহমান বিন আবু লায়লার সূত্রে হজরত মুআজ রাদি থেকে এমনই বর্ণিত আছে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন...। -ইমাম তিরমিজি রহ. বলেন, এটি মুরসাল। অর্থাৎ আবদুর রহমান হজরত মুআজকে পাননি।
(৭৭২) হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
دَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا غَضْبَى، فَأَخَذَ بِطَرَفِ الْمِفْصَلِ مِنْ أَنْفِي فَعَرَكَهُ ثُمَّ قَالَ: "يَا عُوَيْشُ قُوْلِي: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي وَأَذْهِبْ غَيْظَ قَلْبِي، وَأَجِرْنِي مِنَ الشَّيْطَانِ.
অর্থ: একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে আগমন করলেন, এমতাবস্থায় আমি রাগান্বিত ছিলাম। তিনি আমার নাকের জোড়ায় ধরে ঘর্ষণ করলেন। পরে বললেন, হে উওয়াইশ! তুমি বল-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي، وَأَذْهِبْ غَيْظَ قَلْبِي، وَأَجِرْنِي مِنَ الشَّيْطَانِ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগ ফিরলি জানবি, ওয়া আজহিব গায়জা কালবি, ওয়া আযিরনি মিনাশ শায়তান।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার পাপ ক্ষমা করুন, আমার অন্তরের ক্রোধ অপসারিত করুন এবং শয়তান থেকে আমাকে রক্ষা করুন。
(৭৭৩) হজরত আতিয়্যাহ বিন উরওয়াহ সাদি রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنَّ الْغَضَبَ مِنَ الشَّيْطَانِ، وَإِنَّ الشَّيْطَانَ خُلِقَ مِنَ النَّارِ، وَإِنَّمَا تُطْفَأُ النَّارُ بِالْمَاءِ، فَإِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَتَوَضَّأْ.
অর্থ: ক্রোধ শয়তানের তরফ থেকে। শয়তান আগুন থেকে সৃজিত। আর পানি দ্বারা আগুন নিভে যায়। অতএব, তোমাদের কেউ রাগান্বিত হলে সে যেন অজু করে নেয়。
টিকাঃ
১০৯৩. সুরা আলে ইমরান: ১৩৪।
১০৯৪. সুরা আরাফ: ২০০। অর্থাৎ ক্রুদ্ধ হলে أَعُوْذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ পাঠ করবে। -উ.
১০৯৫. সহিহ বুখারি: ৬১১৪, সহিহ মুসলিম: ২৬০৯, মুয়াত্তা ২/৯০২, আমাল: ৩৯৪, মু. আহমাদ ২/২৩৬।
১০৯৬. সহিহ মুসলিম: ২৬০৮, সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৭৯।
১০৯৭. সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৭৭, সুনানে তিরমিজি: ২০২১, সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৮৬, মু. আহমদ ৩/৪৩৮।
১০৯৮. সহিহ বুখারি: ৩২৮২, সহিহ মুসলিম: ২৬১০, সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৮১, সুনানে তিরমিজি: ৩৪৪৮।
১০৯৯. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ৬২২।
১১০০. সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৮৪, মুসনাদে আহমাদ ৪/২২৬।
ক্রোধান্বিত হলে পাঠ করার দুআ
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
الَّذِينَ يُنْفِقُوْنَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ.
অর্থ: যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমাপ্রদর্শন করে। বস্তুতঃ আল্লাহ তাআলা সৎকর্মশীলদিগকেই ভালোবাসেন।-অন্য আয়াতে বলেন-
وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَنِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ.
অর্থ: যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহর শরণাপন্ন হও। তিনিই শ্রবণকারী মহাজ্ঞানী。
(৭৬৭) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
لَيَسَ الشَّدِيدُ بِالصُّرَعَةِ إِنَّمَا الشَّدِيدُ الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ.
অর্থ: সে প্রকৃত বীর নয় যে কুস্তিতে জয়ী হয়; বরং প্রকৃত বীর সে যে ক্রোধের মূহুর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে。
(৭৬৮) হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
مَا تَعُدُّوْنَ الصُّرَعَةَ فِيْكُمْ؟ قُلْنَا: الَّذِي لَا يَصْرَعُهُ الرِّجَالُ. قَالَ: لَيْسَ بِذَلِكَ، وَلَكِنَّهُ الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ
অর্থ: তোমরা তোমাদের মাঝে কাকে বীরকেশরী মনে কর? আমরা বললাম, যাকে মানুষ কুস্তিতে পরাস্ত করতে পারে না। নবিজি বললেন, প্রকৃত বীরকেশরী সে নয়; বরং প্রকৃত বীর সে যে রাগের মূহুর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে。
(৭৬৯) হজরত মুআজ বিন আনাস যুহানি রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ كَظَمَ غَيْظًا وَهُوَ قَادِرُ عَلَى أَنْ يُنْفِذَهُ؛ دَعَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى رُءُوسِ الْخَلَائِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يُخَيَّرَهُ اللَّهُ مِنَ الْحُوْرِ الْعِيْنِ مَا يَشَاءُ.
অর্থ: যে ব্যক্তি প্রয়োগের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও রাগ সংবরণ করে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে সৃষ্টিকূলের সম্মুখে ডাকবেন এবং পছন্দমত হুর বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিবেন। - ইমাম তিরমিজি বলেন, হাদিসটি হাসান।
(৭৭০) হজরত সুলাইমান বিন সুরাদ রাদি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-
كُنْتُ جَالِسًا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَجُلَانِ يَسْتَبَّانِ، فَأَحَدُهُمَا احْمَرَّ وَجْهُهُ وَانْتَفَخَتْ أَوْدَاجُهُ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنِّي لَأَعْلَمُ كَلِمَةً لَوْ قَالَهَا ذَهَبَ عَنْهُ مَا يَجِدُ ، لَوْ قَالَ : أَعُوْذُ بِاللهِ، مِنَ الشَّيْطَانِ، ذَهَبَ عَنْهُ مَا يَجِدُ ." فَقَالُوا لَهُ : إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : تَعَوَّذْ بِاللَّهِ، مِنَ الشَّيْطَانِ. فَقَالَ : وَهَلْ بِي جُنُونُ ؟
অর্থ: আমি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। এমতাবস্থায় দুজন লোক গালাগালি করছিল। তাদের একজনের চেহারা রক্তিম এবং শাহরগ ফুলে ফুলে ওঠে ছিল। তখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি এমন একটি বাক্য জানি, যদি এ লোকটি তা পড়ে ফেললে, রাগ উধাও হয়ে যাবে। সে যদি পড়ে-
أَعُوْذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ.
উচ্চারণ: আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।
অর্থ: আমি শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করি। -তাহলে রাগ চলে যাবে। সাহাবায়ে কেরাম তাকে বললেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে “আউজুবিল্লাহ” পড়তে বলছেন। সে বলল, আমি কি পাগল?
(৭৭১) সুনানে আবু দাউদ ও সুনানে তিরমিজিতে আবদুর রহমান বিন আবু লায়লার সূত্রে হজরত মুআজ রাদি থেকে এমনই বর্ণিত আছে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন...। -ইমাম তিরমিজি রহ. বলেন, এটি মুরসাল। অর্থাৎ আবদুর রহমান হজরত মুআজকে পাননি।
(৭৭২) হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
دَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا غَضْبَى، فَأَخَذَ بِطَرَفِ الْمِفْصَلِ مِنْ أَنْفِي فَعَرَكَهُ ثُمَّ قَالَ: "يَا عُوَيْشُ قُوْلِي: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي وَأَذْهِبْ غَيْظَ قَلْبِي، وَأَجِرْنِي مِنَ الشَّيْطَانِ.
অর্থ: একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে আগমন করলেন, এমতাবস্থায় আমি রাগান্বিত ছিলাম। তিনি আমার নাকের জোড়ায় ধরে ঘর্ষণ করলেন। পরে বললেন, হে উওয়াইশ! তুমি বল-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي، وَأَذْهِبْ غَيْظَ قَلْبِي، وَأَجِرْنِي مِنَ الشَّيْطَانِ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগ ফিরলি জানবি, ওয়া আজহিব গায়জা কালবি, ওয়া আযিরনি মিনাশ শায়তান।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার পাপ ক্ষমা করুন, আমার অন্তরের ক্রোধ অপসারিত করুন এবং শয়তান থেকে আমাকে রক্ষা করুন。
(৭৭৩) হজরত আতিয়্যাহ বিন উরওয়াহ সাদি রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنَّ الْغَضَبَ مِنَ الشَّيْطَانِ، وَإِنَّ الشَّيْطَانَ خُلِقَ مِنَ النَّارِ، وَإِنَّمَا تُطْفَأُ النَّارُ بِالْمَاءِ، فَإِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَتَوَضَّأْ.
অর্থ: ক্রোধ শয়তানের তরফ থেকে। শয়তান আগুন থেকে সৃজিত। আর পানি দ্বারা আগুন নিভে যায়। অতএব, তোমাদের কেউ রাগান্বিত হলে সে যেন অজু করে নেয়。
টিকাঃ
১০৯৩. সুরা আলে ইমরান: ১৩৪।
১০৯৪. সুরা আরাফ: ২০০। অর্থাৎ ক্রুদ্ধ হলে أَعُوْذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ পাঠ করবে। -উ.
১০৯৫. সহিহ বুখারি: ৬১১৪, সহিহ মুসলিম: ২৬০৯, মুয়াত্তা ২/৯০২, আমাল: ৩৯৪, মু. আহমাদ ২/২৩৬।
১০৯৬. সহিহ মুসলিম: ২৬০৮, সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৭৯।
১০৯৭. সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৭৭, সুনানে তিরমিজি: ২০২১, সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৮৬, মু. আহমদ ৩/৪৩৮।
১০৯৮. সহিহ বুখারি: ৩২৮২, সহিহ মুসলিম: ২৬১০, সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৮১, সুনানে তিরমিজি: ৩৪৪৮।
১০৯৯. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ৬২২।
১১০০. সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৮৪, মুসনাদে আহমাদ ৪/২২৬।