📄 অর্ধচন্দ্র ও পুরো চাঁদ দেখলে যে দুআ পড়বে
অধ্যায়- ১০
রোজার অধ্যায়
অর্ধচন্দ্র ও পুরো চাঁদ দেখলে যে দুআ পড়বে
(৪৭৩) হজরত তালহা বিন উবাইদুল্লাহ রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাঁদ দেখে এদুআ পড়তেন-
اللَّهُمَّ أَهْلِلْهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالْإِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ، رَبِّي وَرَبُّكَ اللهُ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল ইমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য এই চাঁদকে সৌভাগ্য ও ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন। আল্লাহ হলেন আমার ও তোমার রব। -ইমাম তিরমিজি রহ. বলেন, হাদিসটি হাসান। ৬৬১
(৪৭৪) হজরত ইবনে উমর রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নতুন চাঁদ দেখে এদুআ পড়তেন-
اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيْمَانِ، وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللهُ.
উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা, রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ, আপনি নতুন চাঁদকে আমাদের জন্য নিরাপদ, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় করুন। এবং আপনার পছন্দ ও মর্জি মোতাবেক কাজ করার তৌফিকের সাথে। হে চাঁদ, আল্লাহ আমাদের ও তোমার রব। ৬৬২
(৪৭৫) হজরত কাতাদাহ রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নতুন চাঁদ দেখতেন, তখন এ দুআটি তিনবার পড়তেন-
هِلَالُ خَيْرٍ وَرُشْدٍ، هِلَالُ خَيْرٍ وَرُشْدٍ ، هِلَالُ خَيْرٍ وَرُشْدٍ، آمَنْتُ بِالَّذِي خَلَقَكَ .
উচ্চারণ: হিলালু খাইরিন ওয়া রুশদিন, হিলালু খাইরিন ওয়া রুশদিন, হিলালু খাইরিন ওয়া রুশদিন, আমানতু বিল্লাজি খালাকাক।
অর্থ: কল্যাণ ও আলোর চাঁদ, কল্যাণ ও আলোর চাঁদ, কল্যাণ ও আলোর চাঁদ। আমি তোমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ওপর ঈমান আনলাম। -এরপর বলতেন-
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي ذَهَبَ بِشَهْرٍ كَذَا، وَجَاءَ بِشَهْرٍ كَذَا
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি জাহাবা বিশাহরি কাজা ওয়া যাআ বিশাহরি কাজা।
অর্থ: প্রশংসা ঐ সত্তার যিনি অমুক (ঐ মাসের নাম নিবে) মাসটি বিদায় করেছেন এবং অমুক মাসটির (ঐ মাসের নাম নিবে) আগমন ঘটিয়েছেন। ৬৬৩-অন্য বর্ণনায় আছে, কাতাদা রাহ. বলেন-
أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَأَى الْهِلَالَ صَرَفَ وَجْهَهُ عَنْهُ.
অর্থ: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নতুন চাঁদ দেখতেন, তখন তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতেন। ৬৬৪
পূর্ণ চাঁদ দেখে যে দুআ পড়বে-
(৪৭৬) হজরত আয়েশা রাদি. থেকে বর্ণিত-
أَخَذَ رَسُولُ اللهِ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدَيَّ، فَإِذَا الْقَمَرُ حِيْنَ طَلَعَ، فَقَالَ: تَعَوَّذِي بِاللَّهِ، مِنْ شَرِّ هَذَا الْغَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ.
অর্থ: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত ধরলেন, তখন চাঁদ উদয় হয়েছিল। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি আল্লাহর কাছে পানাহ চাও, এই অন্ধকার রাতের যখন তা সবকিছুকে আচ্ছন্ন করে ফেলে, এর অকল্যাণ থেকে। ৬৬৫
(৪৭৭) হজরত আনাস রাদি. এর সূত্রে দুর্বল সনদে বর্ণিত আছে, রজব মাস আসলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নোক্ত দুআ পড়তেন-
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبَ وَشَعْبَانَ وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।
অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি রজব, শাবান মাসে আমাদেরকে বরকত দিন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন। ৬৬৬
টিকাঃ
৬৬১. সুনানে তিরমিজি: ৩৪৪৭, মুসনাদে দারিমি: ১৬৯৫, মুসনাদে আহমাদ ১/১৪২, আমাল: ৬৪১, ইবনুস সুন্নি, মুসতাদরাকে হাকেম ৪/২৮৫।
৬৬২. মুসনাদে দারিমি: ১৬৯৪, ইবনে হিব্বান: ২৩৭৪, আমাল: ৬৪০, ইবনুস সুন্নি।
৬৬৩. সুনানে আবু দাউদ: ৫০৯২, আলফুতুহাত ৪/২৩২।
৬৬৪. সুনানে আবু দাউদ: ৫০৯৩।
৬৬৫. মুসনাদে আহমাদ ৬/৬১, সুনানে তিরমিজি: ৩৩৬৩, আমাল: ৩০৫, নাসাঈ, আমাল: ৬৪৮, ইবনুস সুন্নি, মুসতাদরাকে হাকেম ২/৫৪০, আলফুতুহাত ৪/৩৩৪।
৬৬৬. হিলইয়া: ৬/২৬৯, ইবনুস সুন্নি: ৬৫৯। হাদিসটি খুবই দুর্বল।
📄 রোজায় যেসব দুআ পড়া মুস্তাহাব
মুখে ও মনে একই সঙ্গে দুআ করা মুস্তাহাব। যেমন অন্যান্য ইবাদতের ক্ষেত্রে মুস্তাহাব। যদি শুধু মনে নিয়ত করে তাহলেও চলবে। তবে যদি শুধু মুখে নিয়ত করে অন্তরে না থাকে তাহলে নিয়ত হবে না। কেউ গালিগালাজ করলে তাকে বলে দিবে, আমি রোজাদার।
(৪৭৮) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
الصِّيَامُ جُنَّةٌ، فَإِذَا صَامَ أَحَدُكُمْ فَلَا يَرْفُتْ وَلَا يَجْهَلُ، وَإِنِ امْرُؤٌ قَاتَلَهُ أَوْ شَاتَمَهُ فَلْيَقُلْ : إِنِّي صَائِمُ، إِنِّي صَائِمُ، مَرَّتَيْنِ.
অর্থ: রোজা হল ঢাল স্বরূপ। রোজাদার যেন কাউকে গালি না দেয়, অশালীন কোন কাজ না করে। কেউ যদি তাকে গালি দেয় বা ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে আমি রোজাদার। এটা যেন দুইবার বলে। ৬৬৭
ইমাম নববি রহ. বলেন, কোন কোন উলামায়ে কেরাম বলেন যে, বাক্যটি মুখে বলবে এবং গালি দাতাকে শুনিয়ে বলবে। যেন সে এসব থেকে বিরত হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ বলেছেন, আস্তে আস্তে বলবে। তবে শুনিয়ে বলাটাই বিশুদ্ধ।
(৪৭৯) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
ثَلَاثَةٌ لَا تُرَدُّ دَعْوَتُهُمُ الْإِمَامُ الْعَادِلُ، وَالصَّائِمُ حِيْنَ يُفْطِرُ، وَدَعْوَةُ الْمَظْلُوْمِ.
অর্থ: তিন ব্যক্তির দুআ বৃথা যায় না। রোজাদারের দুআ ইফতার করা পর্যন্ত, নেককার বাদশাহর দুআ এবং মজলুম ব্যক্তির দুআ। -তিরমিজি রহ. বলেন, হাদিসটি হাসান। ৬৬৮
টিকাঃ
৬৬৭. সহিহ বুখারি: ১৮৯৪, সহিহ মুসলিম: ১১৫১, সুনানে আবু দাউদ: ২৩৬৩, সুনানে তিরমিজি: ৭৬৪, সুনানে নাসাঈ ৪/১৬২, মুসনাদে আহমাদ ২/২৫৭।
৬৬৮. সুনানে তিরমিজি: ৩৫৯২, মুসনাদে আহমাদ ২/৩০৫, সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৭৫২, ইবনে হিব্বান: ২৪০৭।
📄 ইফতারের সময় যে দুআ পড়বে
(৪৮০) হজরত ইবনে উমর রাদি. থেকে বর্ণিত, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইফতার করতেন, তখন এদুআ পড়তেন-
ذَهَبَ الظَّمَأُ، وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
উচ্চারণ: জাহাবাজ্জামাউ ওয়াব তাল্লাতিল উরুকু ওয়া সাবাতাল আযরু ইনশাআল্লাহু তাআলা।
অর্থ: তৃষ্ণা নিবারণ হয়েছে, রগ-পেশীগুলো ভিজেছে এবং সওয়াব সাব্যস্ত হয়েছে ইনশাআল্লাহ। ৬৬৯
(৪৮১) মুআজ বিন জুহরা থেকে বর্ণিত, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইফতার করতেন, তখন এ দুআ পড়তেন-
اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ، وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিতা আফতারতু। অর্থ: হে আল্লাহ, আপনার নামে রোজা রেখেছি। আপনার প্রদত্ত রিজিক দিয়ে ইফতার করেছি। ৬৭০
(৪৮২) মুআজ বিন জুহরা রহ. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতারের সময় নিম্নোক্ত দুআ পড়তেন-
الحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَعَانَنِي فَصُمْتُ، وَرَزَقَنِي فَأَفْطَرْتُ.
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লা হিল্লাজি আআনানি ফা-সুমতু ওয়া রাজাকানি ফা-আফতারতু। অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি আমাকে রোজা রাখার তাওফিক দিয়েছেন, তাই আমি রোজা রেখেছি। যিনি আমাকে রিজিক দিয়েছেন, ফলে আমি তাঁর রিজিক দিয়ে ইফতার করেছি। ৬৭১
(৪৮৩) হজরত ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতার করে নিম্নোক্ত দুআ পড়তেন-
اللَّهُمَّ لَكَ صُمْنَا، وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْنَا، فَتَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা সুমনা ওয়া আলা রিজকিতা আফতারনা, ফাতাকাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাস সাময়িউল আলিম। অর্থ: হে আল্লাহ, আমরা আপনার জন্য রোজা রেখেছি। আপনার প্রদত্ত রিজিক দিয়ে ইফতার করেছি। আপনি তা কবুল করেন, নিশ্চয় আপনি সবকিছু শ্রবণ করেন এবং সবকিছু জানেন। ৬৭২
(৪৮৪) হজরত আমর বিন আস রাদি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি-
إِنَّ لِلصَّائِمِ عِنْدَ فِطْرِهِ لَدَعْوَةً مَا تُرَدُّ.
অর্থ: ইফতারের সময় রোজাদারের দুআ কবুল করা হয়। -ইবনে আবু মুলাইকা রহ. বলেন, আমি আবদুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে ইফতারের সময় এ দুআ পড়তে শুনেছি-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বি রাহমাতিকাল্লাতি ওয়াসিআত কুল্লা শাইয়িন আন তাগফিরালি।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে সেই রহমতের ওসিলায় কামনা করি যা সকল বস্তুকে বেষ্টনকারী যে, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। ৬৭৩
টিকাঃ
৬৬৯. সুনানে আবু দাউদ: ২৩৫৭, আমাল: ২৯৯, নাসাঈ, আমাল: ৪৭৮, ইবনুস সুন্নি, মুসতাদরাকে হাকেম ১/৪২২, আলফুতুহাত ৪/৩৩৯।
৬৭০. সুনানে আবু দাউদ: ২৩৫৮। হাদিসটি আমলযোগ্য দুর্বল।
৬৭১. ইবনুস সুন্নি: ৪৭৯। হাদিসটি দুর্বল।
৬৭২. ইবনুস সুন্নি: ৪৮০, আলফুতুحات ৪/৩৪১।
৬৭৩. ইবনুস সুন্নি: ৪৮১, সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৭৫৩।
📄 কারও মেহমান হয়ে ইফতারি করলে যে দুআ পড়বে
(৪৮৫) হজরত আনাস রাদি. থেকে সহিহ সনদে বর্ণিত আছে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদ বিন উবাদা রাদি. এর কাছে গেলেন। তখন সাদ রাদি. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে রুটি ও কিশমিশ পেশ করলেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা খেলেন। খাওয়ার পর বললেন-
أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ، وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ.
উচ্চারণ: আফতারা ইনদাকুমুস সাইমুনা, ওয়া আকালা তাআমাকুমুল আবরারু, ওয়া সাল্লাত আলাইকুমুল মালাইকা।
অর্থ: তোমাদের কাছে রোজাদারগণ ইফতার করুক। নেককার লোকজন তোমাদের খাবার গ্রহণ করুক। আর ফেরেশতারা তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুক। ৬৭৪
(৪৮৬) হজরত আনাস রাদি. এর সূত্রে বর্ণিত-
كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَفْطَرَ عِنْدَ قَوْمٍ دَعَا لَهُمْ فَقَالَ: أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ، وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ.
অর্থ: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারো কাছে ইফতার করলে উপরিউক্ত দুআ পড়তেন-
أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ، وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ.
উচ্চারণ: আফতারা ইনদাকুমুস সাইমুনা, ওয়া আকালা তাআমাকুমুল আবরারু, ওয়া সাল্লাত আলাইকুমুল মালাইকা।
অর্থ: তোমাদের কাছে রোজাদারগণ ইফতার করুক। নেককার লোকজন তোমাদের খাবার গ্রহণ করুক। আর ফেরেশতারা তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুক। ৬৭৫
টিকাঃ
৬৭৪. সুনানে আবু দাউদ: ৩৮৫৪, মুসনাদে আহমাদ ৩/১৩৮, মুসনাদে দারিমি: ১৭৭৯, সুনানে বাইহাকি ৭/২৮৭, আমাল: ২৯২, নাসাঈ, আমাল: ৪৮২, ইবনুস সুন্নি।
৬৭৫. ইবনুস সুন্নি: ৪৮৩, আলফুতুহাত ৪/৩৪৩।