📘 আল আযকার > 📄 রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ পাঠ করা

📄 রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ পাঠ করা


অধ্যায়- ৫
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ পাঠ করা
আল্লাহ তাআলার বলেন- إِنَّ اللَّهَ وَمَلَئِكَتَهُ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيِّ ، يَأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلَّمُوا تَسْلِيمًا.
অর্থ: নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা নবির প্রতি দয়া করেন এবং ফেরেশতাগণ তার জন্য ইস্তিগফার করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবির প্রতি দরুদ পাঠাও এবং অধিক পরিমাণে সালাম পাঠাও। ৪২৩ – দুরুদের ফজিলত ও নির্দেশমূলক হাদিস অসংখ্য ও অগণিত রয়েছে। তবে আমরা এখানে ইঙ্গিত স্বরূপ কিছু উল্লেখ করব। বরকত লাভের জন্য।
(২৯১) হজরত আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস রাদি. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন-
مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلَاةٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا.
অর্থ: যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার ওপর দশটি রহমত নাজিল করবেন। ৪২৪
(২৯২) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. হতে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- مَنْ صَلَّى عَلَيَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا.
অর্থ: যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার ওপর দশটা রহমত বর্ষণ করবেন। (এই বর্ণনায় صَلَاةَ )সালাতান) এর স্থানে وَاحِدَةً )ওয়াহিদাতান) শব্দ রয়েছে।
(২৯৩) হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ রাদি. থেকে বর্ণিত আছে, নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
أَوْلَى النَّاسِ بِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُهُمْ عَلَيَّ صَلَاةً.
অর্থ: কেয়ামতের দিন মানুষের মধ্য থেকে সেই ব্যক্তিই আমার অধিক নিকটবর্তী হবে, যে অধিক পরিমাণে আমার প্রতি দরুদ পাঠ করেছে। -ইমাম তিরমিজি রহ. বলেন, হাদিসের মান হাসান। ৪২৫
ইমাম তিরমিজি রহ. বলেন, এ অনুচ্ছেদে আবদুর রহমান বিন আউফ, আমর বিন রাবিআহ, আম্মার, আবু তালহা, আনাস এবং উবাই বিন কাব রাদি. থেকেও হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
(২৯৪) হজরত আউস বিন আউস রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنَ الصَّلَاةِ فِيْهِ ؛ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ مَعْرُوْضَةٌ عَلَيَّ، فَقَالُوا : يَا رَسُوْلَ اللهِ، وَكَيْفَ تُعْرَضُ صَلَاتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرَمْتَ؟ يَقُوْلُوْنَ: بَلِيْتَ؟ فَقَالَ: إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَى الْأَرْضِ أَجْسَادَ الْأَنْبِيَاءِ.
অর্থ: সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুমুআর দিন। তোমরা এ দিনে আমার প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। তোমাদের দরুদ আমার নিকট পেশ করা হয়।
সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কিভাবে আমাদের দরুদ আপনার নিকট পেশ করা হয় অথচ আপনি তো মারা যাবেন, মাটির সাথে মিশে যাবেন। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তাআলা নবিদের শরীর জমিনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। ৪২৬
(২৯৫) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে সহিহ সনদে বর্ণিত আছে, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
وَلَا تَجْعَلُوا قَبْرِي عِيْدًا ، وَصَلُّوا عَلَيَّ؛ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُمْ.
অর্থ: তোমরা আমার কবরকে উৎসবের স্থানে (মাজারে) পরিণত করো না। তোমরা আমার ওপর দরুদ পাঠ কর। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তোমাদের দরুদ আমার কাছে পৌছানো হবে। ৪২৭
(২৯৬) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে সহিহ সূত্রে বর্ণিত আছে, নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَا مِنْ أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَيَّ إِلَّا رَدَّ اللهُ عَلَيَّ رُوحِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ.
অর্থ: তোমাদের কেউ যখন আমার কাছে সালাম পেরণ করে, তখন আল্লাহ তাআলা আমার রুহকে আমার নিকট ফিরিয়ে দেন, যাতে আমি তার সালামের জবাব দিতে পারি। ৪২৮
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম আলোচিত হলে দরুদ পড়া
(২৯৭) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
رَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلَّ عَلَيَّ.
অর্থ: ঐ ব্যক্তির নাক ধুলায় ধুসরিত হোক (অর্থাৎ লাঞ্ছিত হোক), যার কাছে আমার নাম উচ্চারণ করা হয়েছে অথচ সে আমার ওপর দরুদ পড়েনি। -ইমাম তিরমিজি রহ. বলেন, হাদিসের মান হাসান। ৪২৯
(২৯৮) হজরত আনাস বিন মালেক রাদি. থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত, নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلْيُصَلِّ عَلَيَّ، فَإِنَّهُ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ مَرَّةً، صَلَّى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِ عشراً.
অর্থ: যার নিকট আমার নাম উল্লেখ করা হল অথচ সে আমার ওপর দরুদ পড়ল না (সে হতভাগা)। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়বে, আল্লাহ তাআলা তার ওপর দশটি রহমত বর্ষণ করবেন। ৪৩০
(২৯৯) হজরত জাবের রাদি. থেকে দুর্বল সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ فَقَدْ شَقِي.
অর্থ: যার নিকট আমার নাম উচ্চারণ করা হয় অথচ সে আমার ওপর দরুদ পড়ে না, সে হতভাগ্য। ৪৩১
(৩০০) হজরত আলি রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
الْبَخِيْلُ مَنْ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ، فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ.
অর্থ: প্রকৃত কৃপণ তো সে, যার নিকট আমার নাম উচ্চারণ করা হল, অথচ সে আমার ওপর দরুদ পড়ল না। -ইমাম তিরমিজি রহ. বলেন, হাদিসটি হাসান সহিহ। ৪৩২
নাসাঈ শরিফে আছে, হুসাইন বিন আলি রাদি. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদিস বর্ণনা করেছেন। ৪৩৩ - ইমাম তিরমিজি রহ. উক্ত হাদিসের আলোকে বলেন, কোন কোন আহলে ইলেম থেকে বর্ণিত আছে, মজলিসে একবার দরুদ পাঠ করলে যতক্ষণ সে উক্ত মজলিসে থাকবে তাই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।

টিকাঃ
৪২৩. সুরা আহজাব: ৫৬।
৪২৪. সহিহ মুসলিম: ৩৮৫।
৪২৫. সুনানে তিরমিজি: ৪৮৪।
৪২৬. সুনানে আবু দাউদ: ১০৪৭, সুনানে নাসাঈ: ১৬৭৮, সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৮৫, মাওয়ারিদ: ৫৫০, মুসতাদরাক ১/২৮৭।
৪২৭. সুনানে আবু দাউদ: ২০৫২, মুসনাদে আহমাদ ২/৩৬৭।
৪২৮. সুনানে আবু দাউদ: ২০৪১।
৪২৯. সুনানে তিরমিজি: ৩৫৪৫।
৪৩০. আমাল: ৩৮০, ইবনুস সুন্নি।
৪৩১. আমাল: ৩৮১, ইবনুস সুন্নি।
৪৩২. সুনানে তিরমিজি: ৩৫৪৬, আমাল: ৫৬, নাসাঈ, মাওয়ারিদ: ৫৫, মুসতাদরাকে হাকেম ১/৫৪৯।
৪৩৩. সুনানে নাসাঈ: ৮০৪৬।

📘 আল আযকার > 📄 রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদ পড়ার পদ্ধতি

📄 রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদ পড়ার পদ্ধতি


'নামাজের জিকির' অধ্যায়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদ পাঠ ও সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং দরুদের পরিপূর্ণ ও সর্বনিম্ন পরিমাণের আলোচনা করা হয়েছে। কিছু শাফেয়ি উলামায়ে কেরাম ও ইবনে আবু যায়েদ মালেকি রহ. যে কথা বলেন যে, উক্ত দরুদের শেষে এ অংশটি যোগ করা: (وَارْحَمْ مُحَمَّداً وَآلَ مُحَمَّدٍ) : ওয়ার হাম মুহাম্মাদান ওয়া আলা মুহাম্মাদ: মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার পরিবারের প্রতি অনুগ্রহ করুন। -তার এরূপ বক্তব্য ঠিক নয়। এটি বিদআত; এর কোন ভিত্তি নেই। এমনকি ইবনে আরাবি রহ. সুনানে তিরমিজি ব্যাখ্যাগ্রন্থে উক্ত বক্তব্যকে কঠিনভাবে খণ্ডন করেছেন এবং ইবনে আবু যায়েদের বক্তব্যকে ভুল সাব্যস্ত করেছেন। তাকে মুর্খ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, 'রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে দরুদ পাঠের পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং তাতে বৃদ্ধি করা মানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বক্তব্যকে অসম্পূর্ণ বলা ও তা শুধরানোর নামান্তর।

📘 আল আযকার > 📄 দরুদ ও সালাম উভয়টা পড়া মুস্তাহাব

📄 দরুদ ও সালাম উভয়টা পড়া মুস্তাহাব


নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ পড়ার সময় দরুদ ও সালাম উভয়টি পড়া; শুধু একটি, ওপর ক্ষান্ত না করা। সুতরাং শুধু পড়বে না - (صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ) সাল্লাল্লাহু আলাইহি: আল্লাহ তাআলা তার ওপর দয়া করুন অথবা শুধু পড়বে না- (عَلَيْهِ السَّلَامُ) আলাইহিস সালাম: তার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক)।
হাদিম পাঠকারীরা উচ্চস্বরে দরুদ ও সালাম পড়বে
হাদিস পাঠকারী ও দীনি ইলম অর্জনকারী ব্যক্তিরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম আসলে উচু আওয়াজে দরুদ পড়বে। তবে বেশি উচু আওয়াজে পড়বে না। এভাবে দরুদ পড়তে বলেন, খতিব বাগদাদি রহ. ও অন্যান্য মুহাদ্দিসিনে কেরাম। শাফেয়ি উলামায়ে কেরাম বলেন, তালবিয়ার মাঝে উচু আওয়াজে দরুদ পড়া মুস্তাহাব। ৪৩৪

টিকাঃ
৪৩৪. দেখুন: সুনানে আবু দাউদ: ১৮১৪, সুনানে তিরমিজি: ৮২৯, সুনানে নাসাঈ ৫/১৬২।

📘 আল আযকার > 📄 আল্লাহর প্রশংসা ও দরুদ পড়ার মাধ্যমে দুআ শুরু করা

📄 আল্লাহর প্রশংসা ও দরুদ পড়ার মাধ্যমে দুআ শুরু করা


(৩০১) হজরত ফাদালা বিন উবাইদ রাদি. থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে শুনলেন যে নামাজের মধ্যে দুআ করছে। কিন্তু সে আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব ও মহত্ত্ব কিছুই বলেনি এবং নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদও পড়েনি। তখন তিনি বললেন-
عَجِلَ هَذَا ، ثُمَّ دَعَاهُ، فَقَالَ لَهُ أَوْ لِغَيْرِهِ: إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ؛ فَلْيَبْدَأُ بِتَحْمِيدِ اللهِ، وَالثَّنَاءِ عَلَيْهِ، ثُمَّ لْيُصَلِّ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ لْيَدْعُ بَعْدُ بِمَا شَاءَ.
অর্থ: সে তার দুআয় তাড়াহুড়া করছে। অতঃপর নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অথবা অন্য কাউকে ডেকে বললেন- যখন তোমাদের কেউ দুআ পড়ে, সে যেন তার রবের বড়ত্ব ও মহত্ত্ব এবং তাঁর গুণকীর্তনের মাধ্যমে শুরু করে। অতঃপর নবির প্রতি দরুদ পাঠ করে। তারপর যা ইচ্ছা দুআ করবে। -ইমাম তিরমিজি রহ. বলেন, হাদিসের মান হাসান। ৪৩৫
(৩০২) হজরত উমর বিন খাত্তাব রাদি. থেকে বর্ণিত-
إِنَّ الدُّعَاءَ مَوْقُوْفٌ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، لَا يَصْعَدُ مِنْهُ شَيْءٌ، حَتَّى تُصَلِّيَ عَلَى نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ: নিশ্চয় দুআ আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানে ঝুলন্ত থাকে, কোন কিছুই আকাশের ওপরে যায় না যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি তোমার নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ না পড়বে। ৪৩৬
ইমাম নববি রহ. বলেন, আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও গুণকীর্তন দ্বারা দুআ শুরু করা মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে উলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করেছেন। অনুরূপভাবে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদ পড়া, অনুরূপভাবে হামদ ও সালাত দ্বারা দুআ শেষ করা। এই অধ্যায়ে অনেক প্রসিদ্ধ সাহাবি ও তাবেয়িদের উক্তি বর্ণিত হয়েছে।

টিকাঃ
৪৩৫. সুনানে তিরমিজি: ৩৪৭৭, সুনানে আবু দাউদ: ১৪১৮।
৪৩৬. সুনানে তিরমিজি: ৪৮৬। হাদিসটি মওকুফ ও দুর্বল।

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন