📄 যে সমস্ত স্থানে আলহামদুলিল্লাহ বলা মুস্তাহাব
প্রত্যেক ভালো কাজের শুরুতে আলহামদুলিল্লাহ বলা মুস্তাহাব, যেমনটা পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। খানাপিনার পরে, হাঁচির পরে এবং বিবাহের প্রস্তাবের সময়। এমনিভাবে বিবাহ আকদের সময়। শৌচাগার থেকে বের হওয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ বলা মুস্তাহাব।
সামনে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা আসছে। আর শৌচাগার থেকে বের হওয়ার পরের দুআ পেছনের আলোচনায় চলে গেছে। কিতাবের শুরুতে শিক্ষকের ক্লাসের শুরুতে, ছাত্রদের পড়ার শুরুতে আলহামদুলিল্লাহ পড়া মুস্তাহাব। ছাত্র হাদিস পড়ুক, ফিকাহ পড়ুক বা অন্য কিছু পড়ুক। প্রশংসার সর্বোত্তম বাক্য হচ্ছে- আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
📄 জুমুআ ও অন্যান্য খুতবায় আল্লাহর প্রশংসা করা
জুমুআসহ সকল খুতবায় আল্লাহর প্রশংসা একটি রোকন। এছাড়া খুতবা শুদ্ধ হয় না। কমপক্ষে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলতে হবে। এতটুকু পরিমাণ বলা ওয়াজিব। উত্তম হল, আরো বেশি প্রশংসা করা। যার বিস্তারিত আলোচনা ফিকহের কিতাবাদিতে আছে। তবে এগুলো আরবি ভাষায় হতে হবে।
📄 দুআর শুরু ও শেষে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা
'আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন' বলে দুআ শেষ করা মুস্তাহাব। অনুরূপভাবে তা বলে দুআ শুরু করাও মুস্তাহাব। আল্লাহ তাআলা বলেন- وَاخِرُ دَعْوبُهُمْ أَنِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ.
অর্থ: তাদের দুআ শেষ হবে 'আলহামদুলিল্লাহি রাব্বির আলামিন' এর মাধ্যমে। ৪১৯ -আর আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তাঁর মহত্ত্ববাণীর মাধ্যমে দুআ আরম্ভ করা সম্বলিত দলিল সহিহ হাদিস থেকে "কিতাবুস সালাত আলা রাসুলিল্লাহ” শিরোনামে অচিরেই আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
টিকাঃ
৪১৯. সুরা ইউনুস: ১০।
📄 নেয়ামত লাভ ও অপছন্দনীয় বিষয় থেকে বেঁচে গেলে আলহামদুলিল্লাহ বলা
নেয়ামত লাভ ও অপছন্দনীয় বিষয় থেকে বেঁচে গেলে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলা মুস্তাহাব; তা নিজের হোক বা সাথীর অথবা অন্য মুসলমানের।
(২৮৯) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত আছে-
أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ بِقَدَحَيْنِ مِنْ خَمْرٍ وَلَبَنٍ، فَنَظَرَ إِلَيْهِمَا، فَأَخَذَ اللَّبَنَ فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هَدَاكَ لِلْفِطْرَةِ، لَوْ أَخَذْتَ الْخَمْرَ غَوَتْ أُمَّتُكَ.
অর্থ: মেরাজের রাতে নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে দুটি পাত্র আনা হল, একটি ছিল মদের, অপরটি দুধের। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় পাত্রের দিকে তাকিয়ে দুধের পাত্রটি গ্রহণ করলেন। তখন জিবরিল আ. বললেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি আপনাকে ফিতরতের (প্রকৃত স্বভাবজাত বিষয়ের) পথ-প্রদর্শন করেছেন। যদি আপনি মদের পেয়ালা গ্রহণ করতেন তাহলে আপনার উম্মত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত। ৪২০
টিকাঃ
৪২০. সহিহ বুখারি: ৩৩৯৪, সহিহ মুসলিম: ১৬৮।