📘 আল আযকার > 📄 আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করা

📄 আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করা


অধ্যায়- ৪
আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করা আল্লাহ তাআলা বলেন-
قُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَسَلَامٌ عَلَى عِبَادِهِ الَّذِينَ اصْطَفَى.
অর্থ: হে নবি! আপনি বলুন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলারই এবং সালাম তাঁর সেই বান্দাদের প্রতি যাদেরকে তিনি মনোনীত করেছেন। ৪১২ -আল্লাহ তাআলা আরো বলেন-
وَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ سَيُرِيْكُمْ آيَاتِهِ فَتَعْرِفُوْنَهَا.
অর্থ: হে নবি! আপনি বলুন, সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার। তিনি অচিরেই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী প্রত্যক্ষ করাবেন। তখন তোমরা তা চিনতেও পারবে। ৪১৩ - তিনি আরো বলেন-
وَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يَتَّخِذُ وَلَدًا.
অর্থ: হে নবি! আপনি বলুন, সকল প্রশংসার ঐ সত্তার জন্য যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি। ৪১৪ - তিনি আরো বলেন-
لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ.
অর্থ: যদি তোমরা শোকরিয়া আদায় করো, তাহলে আমি তোমাদের নেয়ামত বাড়িয়ে দেবো। ৪১৫ -তিনি আরো বলেন-
فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ وَاشْكُرُوا لِي وَلَا تَكْفُرُوْنِ.
অর্থ: সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমাদের স্মরণ করব। আমার শোকরিয়া আদায় করো, আমার অকৃজ্ঞতা করো না। ৪১৬
হামদ-শোকর, প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা বিষয়ে অনেক সুস্পষ্ট আয়াত রয়েছে। এর ফজিলতও অনেক, যা প্রসিদ্ধ।
(২৮৮) হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
كُلُّ أَمْرٍ ذِي بَالٍ لَا يُبْدَأُ فِيْهِ بِالْحَمْدِ لِلَّهِ فَهُوَ أَقْطَعُ.
অর্থ: যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ আল্লাহ তাআলার প্রশংসার মাধ্যমে শুরু করা হয় না, তা বরকত শূন্য থাকে। -অপর বর্ণনায় রয়েছে,
كُلُّ أَمْرٍ ذِي بَالٍ لَا يُبْدَأُ فِيْهِ بِبِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَهُوَ أَقْطَعُ.
অর্থ: যে কাজ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম দ্বারা আরম্ভ করা হয় না, তা বরকতশূন্য। এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। ৪১৭
উলামায়ে কেরাম বলেন- প্রত্যেক মুসান্নিফ, দরস গ্রহণকারী, দরস প্রদানকারী, বক্তা, খতিব এবং সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজ আলহামদুলিল্লাহ দ্বারা শুরু করা মুস্তাহাব। ইমাম শাফেয়ি বলেন, আমি পছন্দ করি, প্রত্যেকে খুতবা ও আবেদনের শুরুতে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করবে, তাঁর গুণকীর্তন করবে আর রাসুলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওপর দরুদ পড়বে। ৪১৮

টিকাঃ
৪১২. সুরা নামল: ৫৯।
৪১৩. সুরা নামল: ৯৩।
৪১৪. ইসরা: ১১১।
৪১৫. ইবরাহিম: ০৭।
৪১৬. সুরা বাকারা: ১৫২।
৪১৭. সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৪০, সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৮৯৪, মুসনাদে আহমাদ ২/৩৫৯, মাওয়ারিদ: ১৯৯৩, আমাল: ৪৯৪, নাসাঈ।
৪১৮. কিতাবুল উম্ম ৬/১০৬।

📘 আল আযকার > 📄 যে সমস্ত স্থানে আলহামদুলিল্লাহ বলা মুস্তাহাব

📄 যে সমস্ত স্থানে আলহামদুলিল্লাহ বলা মুস্তাহাব


প্রত্যেক ভালো কাজের শুরুতে আলহামদুলিল্লাহ বলা মুস্তাহাব, যেমনটা পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। খানাপিনার পরে, হাঁচির পরে এবং বিবাহের প্রস্তাবের সময়। এমনিভাবে বিবাহ আকদের সময়। শৌচাগার থেকে বের হওয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ বলা মুস্তাহাব।
সামনে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা আসছে। আর শৌচাগার থেকে বের হওয়ার পরের দুআ পেছনের আলোচনায় চলে গেছে। কিতাবের শুরুতে শিক্ষকের ক্লাসের শুরুতে, ছাত্রদের পড়ার শুরুতে আলহামদুলিল্লাহ পড়া মুস্তাহাব। ছাত্র হাদিস পড়ুক, ফিকাহ পড়ুক বা অন্য কিছু পড়ুক। প্রশংসার সর্বোত্তম বাক্য হচ্ছে- আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।

📘 আল আযকার > 📄 জুমুআ ও অন্যান্য খুতবায় আল্লাহর প্রশংসা করা

📄 জুমুআ ও অন্যান্য খুতবায় আল্লাহর প্রশংসা করা


জুমুআসহ সকল খুতবায় আল্লাহর প্রশংসা একটি রোকন। এছাড়া খুতবা শুদ্ধ হয় না। কমপক্ষে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলতে হবে। এতটুকু পরিমাণ বলা ওয়াজিব। উত্তম হল, আরো বেশি প্রশংসা করা। যার বিস্তারিত আলোচনা ফিকহের কিতাবাদিতে আছে। তবে এগুলো আরবি ভাষায় হতে হবে।

📘 আল আযকার > 📄 দুআর শুরু ও শেষে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা

📄 দুআর শুরু ও শেষে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা


'আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন' বলে দুআ শেষ করা মুস্তাহাব। অনুরূপভাবে তা বলে দুআ শুরু করাও মুস্তাহাব। আল্লাহ তাআলা বলেন- وَاخِرُ دَعْوبُهُمْ أَنِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ.
অর্থ: তাদের দুআ শেষ হবে 'আলহামদুলিল্লাহি রাব্বির আলামিন' এর মাধ্যমে। ৪১৯ -আর আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তাঁর মহত্ত্ববাণীর মাধ্যমে দুআ আরম্ভ করা সম্বলিত দলিল সহিহ হাদিস থেকে "কিতাবুস সালাত আলা রাসুলিল্লাহ” শিরোনামে অচিরেই আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

টিকাঃ
৪১৯. সুরা ইউনুস: ১০।

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন