📘 আল আযকার > 📄 অজুর পানি ঢালার সময় কোন দুআ পড়বে

📄 অজুর পানি ঢালার সময় কোন দুআ পড়বে


অজুর পানি ঢালার সময় বিসমিল্লাহ পড়া মুস্তাহাব।

📘 আল আযকার > 📄 অজুর শুরুতে পড়ার দুআ

📄 অজুর শুরুতে পড়ার দুআ


অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলা মুস্তাহাব। আর যদি بِسْمِ الله বলে তাও চলবে। শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়তে ভুলে গেলে মাঝখানে পড়ে নিবে। আর যদি অজুর শেষে মনে হয়, তাহলে আর বলবে না। অজু শুদ্ধ হয়ে যাবে। চাই তা ইচ্ছাকৃত হোক বা ভুলক্রমে হোক। এটা আমাদের ও সংখ্যাগরিষ্ঠ উলামায়ে কেরামের মাজহাব।
বিসমিল্লাহর ব্যাপারে অনেক দুর্বল হাদিসও আছে। ইমাম আহমদ বিন হাম্বাল রহ. থেকে বর্ণিত আছে যে, অজুর মধ্যে বিসমিল্লাহ সংক্রান্ত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত কোন হাদিস সম্পর্কে আমার জানা নেই। কিছু হাদিস এখানে উল্লেখ করা হল-
(৬১) আবু হুরায়রা রাদি. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন-
لَا وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللَّهُ عَلَيْهِ.
অর্থ: যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ বলেনি, তার অজু হয়নি (অর্থাৎ তার অজু পূর্ণাঙ্গ হয়নি)। ৯৯
অজুর শুরুতে যে দুআ পড়বে
শাইখ আবুল ফাতাহ নাসর মাকদিসি যাহেদ রহ. বলেন, অজুকারীর জন্য বিসমিল্লাহ বলার পর নিম্নোক্ত কালিমা পড়া মুস্তাহাব-
أَشْهَدُ أَنْ لا إله إلا الله وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ.
উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহম্মাদান আবদুহ ওয়া রাসুলুহু।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কোন সত্য মাবুদ নেই, তাঁর কোন অংশীদার নেই। আর এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিশেষ বান্দা ও শেষ রাসুল। ১০০
এটি কেউ পড়লে সমস্যা নেই। তবে এটি সুন্নাত হওয়ার বিষয়ে কোন প্রমাণ নেই। কোন উলামায়ে কেরাম এটি পড়া সুন্নাত বলেননি। আল্লাহ তাআলা ভালো জানেন।

টিকাঃ
৯৯. সুনানে আবু দাউদ: ১০১, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৯৯।
১০০. উবায়দুল্লাহ

📘 আল আযকার > 📄 অজুর শেষে যে দুআ পড়বে

📄 অজুর শেষে যে দুআ পড়বে


অজুর শেষে এ দুআ পড়বে-
أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ إلا الله وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ. اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَوَّابِينَ، واجْعَلْنِي مِنَ المُتَطَهِّرِينَ، سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ.
উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহম্মাদান আবদুহ ওয়া রাসুলুহু। আল্লাহুম্মাজ আলনি মিনাত- তাওয়াবিনা ওয়াজ আলনি মিনাল মুতাতহহিরিন। সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইকা।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কোন সত্য মাবুদ নেই, তাঁর কোন অংশীদার নেই। আর এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিশেষ বান্দা ও শেষ রাসুল। হে আল্লাহ, আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং আমাকে পরিচ্ছন্নতাপ্রিয় করে দিন। আমরা আপনার পবিত্রতার গুণগান করি। আপনি ব্যতীত আর কোন মাবুদ নেই বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি। আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি। ১০১
(৬২) উমর বিন খাত্তাব রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
مَنْ تَوَضَّأَ فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لا إلهَ إلا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ؛ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ، يَدْخُلُ مِنْ أَيُّهَا شَاءَ.
অর্থ: যে ব্যক্তি অজুর পর এ দুআটি পড়বে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে। যেই দরজা দিয়ে ইচ্ছা, সে প্রবেশ করতে পারবে। দুআটি হল-
أَشْهَدُ أَنْ لا إلهَ إلا الله وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ.
উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহ ওয়া রাসুলুহু।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কোন সত্য মাবুদ নেই, তাঁর কোন অংশীদার নেই। আর এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিশেষ বান্দা ও শেষ রাসুল।১০২
তবে তিরমিজি শরিফে অতিরিক্ত আছে-
اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ، وَاجْعَلْنِي مِنَ المُتَطَهِّرِينَ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাজ আলনি মিনাত-তাওয়াবিনা ওয়াজ আলনি মিনাল মুতাতহহিরিন।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং আমাকে পরিচ্ছন্নতাপ্রিয় করে দিন।
অন্য বর্ণনায় আছে-
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ.
উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার পবিত্রতার গুণগান করি, আপনার প্রশংসার সাথে। ১০৩
(৬২) উমর বিন খাত্তাব রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
مَنْ تَوَضَّأَ.. ثُمَّ قَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ؛ قَبْلَ أَنْ يَتَكَلَّمَ؛ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَ الْوُضُوءَيْن.
অর্থ: যে ব্যক্তি অজুর পর কোন কথা বলার আগে পড়বে-
أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ.
উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহ ওয়া রাসুলুহু।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কোন সত্য মাবুদ নেই, তাঁর কোন অংশীদার নেই। আর এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিশেষ বান্দা ও শেষ রাসুল। তাহলে তার এই অজু এবং আগের অজুর মধ্যকার (সাগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। ১০৪
(৬৪) মুসনাদে আহমাদ, সুনানে ইবনে মাজাহ ও ইবনুস সুন্নির কিতাবে হজরত আনাস রাদি. থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ، ثُمَّ قَالَ ثَلاثَ مَرَّاتٍ: أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلَهَ إِلَّا اللَّهَ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ؛ فُتِحَتْ لَهُ ثَمَانِيَةُ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ، مِنْ أَيُّهَا شَاءَ دَخَلَ.
অর্থ: যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করার পর তিনবার পড়বে-
أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ إلا الله وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ.
উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহ ওয়া রাসুলুহু।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কোন সত্য মাবুদ নেই, তাঁর কোন অংশীদার নেই। আর এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিশেষ বান্দা ও শেষ রাসুল। ১০৫
তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে। যেই দরজা দিয়ে ইচ্ছা, সে প্রবেশ করতে পারবে। ১০৬
(৬৫) ইবনুস সুন্নির কিতাবে দুর্বল সনদে হজরত উসমান রাদি. থেকে বর্ণিত হয়েছে, যাতে কালিমায়ে শাহাদাত তিনবারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
শাইখ আবুল ফাতাহ নাসর মাকদিসি রহ. বলেন, উক্ত দুআসমূহের সাথে যুক্ত করবে-
اللَّهُمَّ صَلَّ وَسَلَّمْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ।
অর্থ: হে আল্লাহ, মুহাম্মাদ ও তার পরিবারের প্রতি রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন। ১০৭
-শাফেয়ি উলামায়ে কেরাম বলেন, এই দুআসমূহ অজু থেকে ফারেগ হওয়ার পর কিবলামুখী হয়ে পড়বে।

টিকাঃ
১০১. উবায়দুল্লাহ
১০২. সহিহ মুসলিম: ২৩৪।
১০৩. ইবনুস সুন্নি: ৩০, সহিহ মুসলিম: ২৩৪, সুনানে আবু দাউদ: ১৬৯, সুনানে তিরমিজি: ৫৫, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৭০, আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ৮৪।
১০৪. সনানে দারাকুতনি: ১/৯৩।
১০৫. উবায়দুল্লাহ
১০৬. মুসনাদে আহমাদ: ৩/২৬৫; সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪৬৯; আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ৩৩।
১০৭. উ.

📘 আল আযকার > 📄 অঙ্গসমূহ ধোয়ার সময়ের দুআ

📄 অঙ্গসমূহ ধোয়ার সময়ের দুআ


অজুর অঙ্গসমূহ ধোয়ার সময়ের কোন দুআ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আসেনি। তবে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, সালাফে সালেহিন থেকে কিছু দুআ এসেছে, যেগুলো পড়া মুস্তাহাব। উক্ত দুআসমূহে কমবেশি আছে।১০৮ তবে তাদের দুআসমূহের সারাংশ হল-
(১) বিসমিল্লাহ বলার পরে পড়বে-
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ الْمَاءَ طَهُورًا.
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাযি জাআলাল মাআ তাহুরা।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর, যিনি পানিকে পবিত্র করেছেন।
(২) কুলি করার সময় পড়বে -
اللَّهُمَّ اسْقِنِي مِنْ حَوْضِ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ كَأْسًا لَا أَظْمَأُ بَعْدَ هَا أَبَدًا.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাসকিনি মিন হাউযি নাবিয়্যিকা মুহাম্মাদ, কাসান লা আযমাউ বা'দাহা আবাদান।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমাকে আপনার নবির হাউজ থেকে পেয়ালা পান করাবেন, যাতে এর পরে কখনো তৃষ্ণার্থ না হই।
(৩) নাকে পানি দেয়ার সময় পড়বে-
اللَّهُمَّ لَا تَحْرِمْنِي رَائِحَةَ نَعِيمِكَ وَجَنَّاتِكَ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা তাহরিমনি রা-ইহাতা নাঈমিকা ওয়া জান্নাতিকা।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমাকে আপনার নেয়ামতরাজি ও জান্নাতের সুগন্ধি থেকে বঞ্চিত করবেন না।
(৪) মুখ ধোয়ার সময় পড়বে -
اللَّهُمَّ بَيِّضُ وَجْهِي يَوْمَ تَبْيَضُ وُجُوهُ وَتَسْوَدُّ وُجُوهُ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বাইয়িদ ওয়াজহি ইয়াউমা তাবয়াদ্দু উজুহন, ওয়া তাসওয়াদ্দু উজুহুন।
অর্থ: হে আল্লাহ, সেদিন আমার মুখ উজ্জ্বল করুন, যেদিন কোন কোন মুখ উজ্জ্বল হবে, আর কোন কোন মুখ হবে কালো।
(৫) দুই হাত ধোয়ার সময় পড়বে-
اللَّهُمَّ أَعْطِنِي كِتَابِي بِيَمِينِي، اللَّهُمَّ لَا تُعْطِنِي كِتَابِي بِشِمَالِي.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আ'তি কিতাবি বিয়ামিনি লা তু'তি কিতাবি বিশিমালি।
অর্থ: হে আল্লাহ, কেয়ামতের দিন আমার আমলনামা ডান হাতে দান করুন। হে আল্লাহ, বাম হাতে আমলনামা দিয়েন না।
(৬) মাথা মাসাহের সময় পড়বে-
اللَّهُمَّ حَرَّمْ شَعْرِي وَبَشَرِي عَلَى النَّارِ، وَأَظِلَّنِي تَحْتَ ظِلَّ عَرْشِكَ يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلُّكَ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা হাররিম শা'রি ওয়া বাশারি আলান নারি, ওয়া আযিললিনি তাহতা যিল্লা আরশিকা ইয়াউমা লা যিল্লা ইল্লা যিলুকা।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমার চুল-চামড়া জাহান্নামের ওপর হারাম করে দিন। আর আমাকে আপনার আরশের নিচে ছায়া দিন, যেদিন আপনার ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না।
(৭) কান মাসাহ করার সময় পড়বে-
اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ الَّذِينَ يَسْتَمِعُوْنَ القَوْلَ فَيَتَّبِعُوْنَ أَحْسَنَهُ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাজ আলনি মিনাল্লাযিনা ইয়াসতামিউনাল কাওলা ফাইয়াত্তাবিঊনা আহসানাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমাকে সেসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত করুন, যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে, অতঃপর উত্তমটার অনুসরণ করে।
(৮) দুই পা ধোয়ার সময় পড়বে-
اللَّهُمَّ ثَبِّتْ قَدَمِي عَلَى الصَّرَاطِ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাব্বিত কাদামি আলাস সিরাত।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমাকে সিরাতে মুসতাকিমের ওপর অবিচল রাখুন।
(৬৬) ইমাম নাসাঈ ও ইবনুস সুন্নি তাদের কিতাবে আবু মুসা আশআরি রাদি.-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন-
أَتَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَضُوْءٍ، فَتَوَضَّأَ، فَسَمِعْتُهُ يَدْعُوْ وَيَقُوْلُ: "اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي، وَوَسِّعْ لِي فِي دَارِي، وَبَارِكْ لِي فِي رِزْقِ، فَقُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللهِ, سَمِعْتُكَ تَدْعُوْ بِكَذَا وَكَذَا، قَالَ: "وَهَلْ تَرَكْنَ مِنْ شَيْءٍ؟
অর্থ: আমি অজুর পানি নিয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এলাম। অতঃপর তিনি অজু করলেন, তখন আমি তাঁকে এই দুআ পড়তে শুনলাম-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي، وَوَسِّعْ لِي فِي دَارِي، وَبَارِكْ لِي فِي رِزْقِي.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফির লি যামবি, ওয়া ওয়াসসি' লি ফি দারি ওয়া বারিক লি ফি রিযকি।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমার পাপ মার্জন করে দাও, আমার ঘরে প্রশস্ততা দাও এবং আমার রিযিকে বরকত দাও।
আমি বললাম, হে আল্লাহর নবি, আমি আপনাকে এমনটি বলতে শুনলাম? তিনি উত্তর দিলেন, আর কি কিছু রয়ে গেল? ১০৯

টিকাঃ
১০৮. আমাদের ফিকহে দুআগুলো একটু ভিন্নভাবে রয়েছে। দেখুন, নুরুল ইজা কিতাবে। উবায়দুল্লাহ
১০৯. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ৮০, নাসাঈ, আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২৮, ইবনুস সুন্নি।

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন