📄 পায়খানা-পেশাবকারী ব্যক্তিকে সালাম দেয়া নিষেধ
পূর্বোল্লেখিত হাদিসসমূহের বিবেচনায় পায়খানা-পেশাবকারী ব্যক্তিকে সালাম দেয়া মাকরুহ। যদি কেউ সালাম দেয়, তাহলে তার জবাব দেয়া হবে না।
📄 বাথরূম থেকে বের হওয়ার দুআ
বাথরুম থেকে বের হয়ে বলবে:
غُفْرَانَكَ، الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنِّي الْأَذُى، وَعَافَانِي.
উচ্চারণ: গুফরনাক, আলহামদু লিল্লাহিল্লাযি আযহাবা আন্নিল আযা ওয়া আফানি।
অর্থ: হে আল্লাহ, আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহ তাআলার জন্য, যিনি আমার থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করেছেন এবং আমাকে নিরাপদ করেছেন। ৯৬
সুনানে আবু দাউদ ও সুনানে তিরমিজিতে সহিহ সনদে বর্ণিত আছে-
أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا خَرَجَ مِنَ الْغَائِطِ قَالَ: غُفْرَانَكَ.
অর্থ: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন টয়লেট থেকে বের হতেন তখন এ দুআটি পড়তেন-
غُفْرَانَكَ (গুফরানাক): আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ৯৭
(৬০) হজরত ইবনে উমর রাদি. থেকে বর্ণিত-
كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَرَجَ مِنَ الْخَلَاءِ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذَاقَنِي لَذَّتَهُ، وَأَبْقَى فِي قُوَّتَهُ، وَأَذْهَبَ عَنِّي أَذَاهُ.
অর্থ: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন টয়লেট থেকে বের হতেন তখন বলতেন-
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذَاقَنِي لَذَّتَهُ، وَأَبْقَى فِي قُوَّتَهُ، وَأَذْهَبَ عَنِّي أَذَاهُ.
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লা হিল্লাযি আযাকানি লাযযাতাহু, ওয়া আবকা ফিয়্যা কুওয়াতাহু, ওয়া আযহাবা আন্নিল আযাহু। ৯৮
অর্থ: সমুদয় প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এই খাদ্যের স্বাদ আস্বাদন করিয়েছেন, এর শক্তি আমার ভিতরে রেখে দিয়েছেন এবং আমার থেকে এর কষ্টদায়ক বস্তু দূর করে দিয়েছেন।
টিকাঃ
৯৬. সুনানে আবু দাউদ: ৩০, সুনানে তিরমিজি: ০৭।
৯৭. সুনানে আবু দাউদ: ৩০, সুনানে তিরমিজি: ০৭, সুনানে নাসাঈ: ৯৮২৫, সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩০১।
৯৮. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২৫, ইবনুস সুন্নি, কিতাবুদ দুআঃ ৩৭০, তবারানি।
📄 অজুর পানি ঢালার সময় কোন দুআ পড়বে
অজুর পানি ঢালার সময় বিসমিল্লাহ পড়া মুস্তাহাব।
📄 অজুর শুরুতে পড়ার দুআ
অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলা মুস্তাহাব। আর যদি بِسْمِ الله বলে তাও চলবে। শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়তে ভুলে গেলে মাঝখানে পড়ে নিবে। আর যদি অজুর শেষে মনে হয়, তাহলে আর বলবে না। অজু শুদ্ধ হয়ে যাবে। চাই তা ইচ্ছাকৃত হোক বা ভুলক্রমে হোক। এটা আমাদের ও সংখ্যাগরিষ্ঠ উলামায়ে কেরামের মাজহাব।
বিসমিল্লাহর ব্যাপারে অনেক দুর্বল হাদিসও আছে। ইমাম আহমদ বিন হাম্বাল রহ. থেকে বর্ণিত আছে যে, অজুর মধ্যে বিসমিল্লাহ সংক্রান্ত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত কোন হাদিস সম্পর্কে আমার জানা নেই। কিছু হাদিস এখানে উল্লেখ করা হল-
(৬১) আবু হুরায়রা রাদি. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন-
لَا وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللَّهُ عَلَيْهِ.
অর্থ: যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ বলেনি, তার অজু হয়নি (অর্থাৎ তার অজু পূর্ণাঙ্গ হয়নি)। ৯৯
অজুর শুরুতে যে দুআ পড়বে
শাইখ আবুল ফাতাহ নাসর মাকদিসি যাহেদ রহ. বলেন, অজুকারীর জন্য বিসমিল্লাহ বলার পর নিম্নোক্ত কালিমা পড়া মুস্তাহাব-
أَشْهَدُ أَنْ لا إله إلا الله وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ.
উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহম্মাদান আবদুহ ওয়া রাসুলুহু।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কোন সত্য মাবুদ নেই, তাঁর কোন অংশীদার নেই। আর এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিশেষ বান্দা ও শেষ রাসুল। ১০০
এটি কেউ পড়লে সমস্যা নেই। তবে এটি সুন্নাত হওয়ার বিষয়ে কোন প্রমাণ নেই। কোন উলামায়ে কেরাম এটি পড়া সুন্নাত বলেননি। আল্লাহ তাআলা ভালো জানেন।
টিকাঃ
৯৯. সুনানে আবু দাউদ: ১০১, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৯৯।
১০০. উবায়দুল্লাহ