📄 ঘরে প্রবেশের দুআ
ঘরে প্রবেশের সময় বিসমিল্লাহ বলা, বেশি বেশি জিকির করা, ঘরে কোন মানুষ থাকুক বা না থাকুক সর্বাবস্থায় সালাম দেয়া মুস্তাহাব। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
فَإِذَا دَخَلْتُمْ بُيُوتًا فَسَلِّمُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِنْ عِنْدِ اللَّهِ، مُبَارَكَةً طَيِّبَةً.
অর্থ: যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ করতে চাও তখন তোমরা আপন লোকদের দুআ স্বরূপ সালাম করো, আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা কল্যাণময় ও বরকত।৮০
(৪৭) হজরত আনাস রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন-
يَا بُنَيَّ إِذَا دَخَلْتَ عَلَى أَهْلِكَ فَسَلَّمْ يَكُوْنُ بَرَكَةً عَلَيْكَ وَعَلَى أَهْلِ بَيْتِكَ.
অর্থ: হে বৎস, যখন তুমি তোমার পরিবার পরিজনের কাছে প্রবেশ করবে, তখন তাদের সালাম দেবে। এটা তোমার ও তোমার পরিবার পরিজনের জন্য বরকত হবে।৮১ ইমাম তিরমিজি রহ. হাদিসটিকে হাসান সহিহ বলেছেন।
(৪৮) হজরত আবু মালেক আশআরি রাদি. (তাঁর নাম হারিস, কারো মতে- উবাইদ, কেউ বলেন, কাব, কেউ বলেছেন- আমর) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
إِذَا وَلَجَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ، فَلْيَقُلْ : اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلَجِ، وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ، بِسْمِ اللهِ، وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللهِ، خَرَجْنَا، وَعَلَى اللهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا، ثُمَّ لِيُسَلِّمْ عَلَى أَهْلِهِ.
অর্থ: যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘরে প্রবেশ করবে তখন সে যেন এ দুআ পড়ে-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلَجِ، وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ، بِسْمِ اللهِ، وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللهِ، خَرَجْنَا، وَعَلَى اللهِ، رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খায়রাল মাউলাজি ওয়া খায়রাল মাখরাজি, ওয়া আলাল্লাহি রাব্বানা তাওয়াক্কালনা।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট প্রবেশস্থলের কল্যাণ এবং বের হওয়ার স্থানের মঙ্গল কামনা করছি। আমরা আল্লাহ তাআলার নামে প্রবেশ করলাম, আল্লাহ তাআলার নামে বের হলাম এবং আমরা আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার ওপর ভরসা করলাম। অতঃপর পরিবারের লোকদের সালাম দিবে। ৮২-ইমাম আবু দাউদ রহ. এ হাদিসটির সনদকে দুর্বল বলেননি। সুতরাং এটি সহিহ বলে বিবেচিত।
(৪৯) হজরত আবু উমামা বাহেলি রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
ثَلَاثَةُ كُلُّهُمْ ضَامِنٌ عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ: رَجُلٌ خَرَجَ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَهُوَ ضَامِنٌ عَلَى اللهِ، حَتَّى يَتَوَفَّاهُ فَيُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ، أَوْ يَرُدَّهُ بِمَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ وَغَنِيمَةٍ، وَرَجُلٌ رَاحَ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَهُوَ ضَامِنٌ عَلَى اللهِ، حَتَّى يَتَوَفَّاهُ فَيُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ، أَوْ يَرُدَّهُ بِمَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ وَغَنِيمَةٍ، وَرَجُلٌ دَخَلَ بَيْتَهُ بِسَلَامٍ فَهُوَ ضَامِنٌ عَلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ.
অর্থ: তিন ব্যক্তির প্রত্যেকেই আল্লাহর নিরাপত্তার মধ্যে থাকে-
১. ঐ ব্যক্তি যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে বের হয়। শহিদ হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করা অথবা কাঙ্ক্ষিত সওয়াব ও গনিমত নিয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত তিনি আল্লাহর নিরাপত্তার মধ্যে থাকেন।
২. ঐ ব্যক্তি যিনি মসজিদে গমন করেন। মৃত্যুবরণ করে জান্নাতে প্রবেশ করা অথবা কাঙ্ক্ষিত সওয়াব ও উপহার নিয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত তিনি আল্লাহর নিরাপত্তার মধ্যে থাকেন।
৩. ঐ ব্যক্তি যিনি সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন, তিনিও আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকেন।
ইমাম আবু দাউদ রহ. সহ অন্যান্যরা এ হাদিসটি হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। এখানে 'নিরাপত্তার মধ্যে থাকা'র অর্থ হল, আল্লাহ তাআলা তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে নেন।৮০
(৫০) হজরত জাবের বিন আবদুল্লাহ রাদি. থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি-
إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ، فَذَكَرَ اللهَ عِنْدَ دُخُولِهِ وَعِنْدَ طَعَامِهِ، قَالَ الشَّيْطَانُ: لَا مَبِيتَ لَكُمْ، وَلَا عَشَاءَ، وَإِذَا دَخَلَ، فَلَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ عِنْدَ دُخُولِهِ، قَالَ الشَّيْطَانُ: أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيْتَ، وَإِذَا لَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ عِنْدَ طَعَامِهِ، قَالَ: أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيْتَ وَالْعَشَاءَ.
অর্থ: যখন কোন ব্যক্তি ঘরে প্রবেশের সময় জিকির করে (তথা সালাম দেয়) এবং খাবারের সময় জিকির করে (তথা বিসমিল্লাহ বলে,) তখন শয়তান বলে, তোমাদের ঘরে রাত্রিযাপন ও রাতের খাবারে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। আর যখন ঘরে প্রবেশের সময় জিকির করে না, তখন শয়তান বলে তোমাদের এখানে রাত্রিযাপনের সুযোগ হয়ে গেল। আর খাবারের সময় জিকির না করলে শয়তান বলে, তোমাদের এখানে রাত্রিযাপন ও খাবারে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হল। ৮৪
(৫১) হজরত আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস রাদি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَجَعَ مِنَ النَّهَارِ إِلَى بَيْتِهِ يَقُوْلُ: اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَفَانِي وَآوَانِي، اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي وَسَقَانِي، اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي مَنَّ عَلَيَّ فَأَفْضَلَ، أَسْأَلُكَ أَنْ تُجِيرَنِي مِنَ النَّارِ.
অর্থ: যখন দিনের বেলায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে ফিরতেন তখন এ দুআ পড়তেন-
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَفَانِي وَآوَانِي، اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي وَسَقَانِي، اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي مَنَّ عَلَيَّ فَأَفْضَلَ، أَسْأَلُكَ أَنْ تُجِيرَنِي مِنَ النَّارِ.
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাযি কাফানি ওয়া আওয়ানি আলহামদু লিল্লাহিল্লাযি আত'আমানি ওয়া সাকানি আলহামদু লিল্লাহিল্লাযি মান্না আলাইয়া ফাআফযালা আসআলুকা আন তুজিরানি মিনান-নার। ৮৫
অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহ পাকের, যিনি আমার জন্য যতেষ্ট এবং আমাকে বাসস্থান দিয়েছেন। সকল প্রশংসা আল্লাহ পাকের, যিনি আমাকে খাদ্য খেতে দিয়েছেন এবং পান করতে দিয়েছেন। সকল প্রশংসা আল্লাহ পাকের, যিনি আমার ওপর অনেক অনুগ্রহ করেছেন। আমি আপনার কাছ মিনতি করছি যেন, আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।
মুয়াত্তা মালেক কিতাবে বর্ণিত আছে যে, কোনো বিরাণ ঘরে ঢুকলেও এভাবে বলা মুস্তাহাব-
السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ.
উচ্চারণ: আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালিহিন।
অর্থ: আমাদের ওপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। ৮৬
টিকাঃ
৮০. সুরা নূর: ৬১।
৮১ জামে তিরমিজি: ২৬৯৯।
৮২. সুনানে আবু দাউদ: ৫০৯৬।
৮৩. সুনানে আবু দাউদ: ২৪৯৪, আল আদাবুল মুফরাদ: ১০৯৪, সহিহ ইবনে হিব্বান: ৪১৬, মুসতাদরাকে হাকেম ২/৭৩।
৮৪. সহিহ মুসলিম: ২৪৯৪, সহিহ আবু দাউদ: ৩৭৬৫, আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ১৫৭, ইবনুস সুন্নি, আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ১৭৮, নাসাঈ।
৮৫. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ১৫৮, ইবনুস সুন্নি।
৮৬. মুয়াত্তা মালেক: ২/৯৬২। দুআর অনুবাদ: উবায়দুল্লাহ
📄 রাতে ঘুম থেকে জেগে ঘর থেকে বের হওয়ার দুআ
রাতের বেলায় ঘুম থেকে জেগে ঘর থেকে বের হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمُوتِ وَالْأَرْضِ থেকে নিয়ে সুরা আলে ইমরানের শেষ পর্যন্ত (১৯০-২০০ আয়াত) তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। ৮৭
(৫২) সহিহ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে এমনটি করতেন। তবে বুখারি শরিফে আকাশের দিকে তাকানোর বিষয়টি আছে, কিন্তু মুসলিম শরিফে নেই। ৮৮
(৫৩) হজরত ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত আছে যে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের জন্য জাগতেন তখন এ দুআটি পড়তেন:
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيْهِنَّ، وَلَكَ الْحَمْدُ لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيْهِنَّ، وَلَكَ الحَمْدُ أَنْتَ نُوْرُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ، وَلَكَ الحَمْدُ أَنْتَ مَلِكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ، وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ، وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ المُقَدِّمُ، وَأَنْتَ المُؤَخِّرُ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আনতা কইয়িমুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফি হিন্না, ওয়া লাকাল হামদু লাকাল মুলকুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফি হিন্না, ওয়া লাকাল হামদু আনতা নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফি হিন্না, ওয়া লাকাল হামদু আনতা মালিকুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, ওয়া লাকাল হামদু আনতাল হাক্কু ওয়া ওয়া'দুকাল হাক্কু, ওয়া লিকাউকা হাক্কুন, ওয়া কাওলুকা হাক্কুন, ওয়াল জান্নাতু হাক্কুন, ওয়ান নারু হাক্কুন, ওয়ান নাবিয়্যুনা হাক্কুন, ওয়া মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্কুন, ওয়াস সা'আতু হাক্কুন, আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু, ওয়াবিকা আমানতু, ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু, ওয়া ইলাইকা আনাবতু, ওয়াবিকা খাসামতু, ওয়া ইলাইকা হাকামতু, ফাগফির লি মা কাদ্দামতু ওয়া মা আখখারতু, ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা আ'লানতু, আনতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুয়াখখিরু, লা ইলাহা ইল্লা আনতা।
অর্থ: হে আল্লাহ আমার রব, সমস্ত প্রশংসা আপনার জন্য, আপনিই আসমান-যমিন এবং মধ্যবর্তী সবকিছুর তত্ত্বাবধায়ক। সকল প্রশংসা আপনারই। আসমান-যমিন এবং মধ্যবর্তী সবকিছুর রাজত্ব আপনারই। আপনিই আসমান-যমিন এবং মধ্যবর্তী সবকিছু উজ্জ্বলকারী। সকল প্রশংসা আপনারই। আপনিই সত্য, আপনার অঙ্গীকার সত্য, আপনার সাক্ষাৎ সত্য। আপনার কথা সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য। নবিগণ সত্য, মুহাম্মাদ সত্য এবং কেয়ামত সত্য। হে আল্লাহ, আমি আপনার সমীপে আত্মসমর্পণ করলাম, আপনার প্রতি ঈমান আনয়ন করলাম, আপনার ওপরই ভরসা করলাম, আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করলাম এবং আপনাকেই বিচারক সাব্যস্ত করলাম। হে আল্লাহ, আমার পূর্বের-পরের, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য এবং আপনার জ্ঞাত পাপসমূহ ক্ষমা করে দিন। আপনিই শুরু আপনিই শেষ এবং আপনি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই।
কোন কোন বর্ণনাকারী এর সাথে... (লা হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) বৃদ্ধি করেছেন। ৮৯
টিকাঃ
৮৭. সুরা আলে ইমরান: ১৯০-২০০ আয়াতগুলো হল-
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ الَّيْلِ وَالنَّهَارِ لَأُيَتٍ لِأُولِي الْأَلْبَابِ ﴿١٩٠﴾ الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيمًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاتِ وَالْأَرْضِ رُبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذَا بَاطِلًا سُبْحَنَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿١٩١﴾ رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّلِمِينَ مِنْ أَنْصَارِ ﴿١٩٢﴾ رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيْمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَأَمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيَأْتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ ﴿١٩٣﴾ رَبَّنَا وَاتِنَا مَا وَعَدْتَنَا عَلَى رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيمَةِ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ ﴿١٩٤﴾ فَاسْتَجَابَ لَهُمْ رَبُّهُمْ أَنِّي لَا أُضِيعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِنْكُمْ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى بَعْضُكُمْ مِّنْ بَعْضٍ فَالَّذِينَ هَاجَرُوا وَأُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَأُوذُوا فِي سَبِيلِي وَقَتَلُوا وَقُتِلُوا لَا كَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيَأْتِهِمْ وَلَأُدْخِلَنَّهُمْ جَنَّتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهُرُ ثَوَابًا مِّنْ عِنْدِ اللَّهِ وَاللَّهُ عِنْدَهُ حُسْنُ الثَّوَابِ ﴿١٩٥﴾ لَا يَغُرَّنَّكَ تَقَلُّبُ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي الْبِلَادِ ﴿١٩٦﴾ مَتَاعٌ قَلِيلٌ ثُمَّ مَأْوُلُهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمِهَادُ ﴿١٩٧﴾ لكِنِ الَّذِينَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ لَهُمْ جَنَّتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهُرُ خُلِدِينَ فِيهَا نُزُلًا مِّنْ عِنْدِ اللَّهِ وَمَا عِنْدِ اللَّهِ خَيْرٌ لِلْأَبْرَارِ ﴿١٩٨﴾ وَ إِنَّ مِنْ أَهْلِ الْكِتٰبِ لَمَنْ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِمْ خَشِعِينَ لِلَّهِ لَا يَشْتَرُونَ بِأَيْتِ اللَّهِ ثَمَنًا قَلِيلًا أُولَئِكَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ ﴿١٩٩﴾ يَأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اصْبِرُوا وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ﴿٢٠٠﴾
তরজমা: নিশ্চয় আসমান এবং জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত-দিনের পরিবর্তনে বোধসম্পন্ন লোকদের জন্য (তওহিদের) নিদর্শন রয়েছে। (বুদ্ধিজীবী তারা) যারা আল্লাহকে (সর্বাবস্থায়) স্মরণ করে: দাঁড়িয়ে, বসে এবং শায়িত অবস্থায়। যারা আসমান-জমিন সৃষ্টির বিষয়ে গবেষণা করে। (যখন তারা জগৎসমূহের উদ্দেশ্য বুঝে ফেলে, তখন বলে:) হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আপনি এই জগৎসমূহ অনর্থক সৃষ্টি করেননি- বরং পরকালের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন। আপনার সত্তা পবিত্র! অতএব, আমাদিগকে আপনি দোজখের শাস্তি থেকে বাঁচান (এবং জান্নাতে প্রবেশ করান)। হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি যাকে দোজখে নিক্ষেপ করলেন, নিশ্চয় তাকে অপদস্ত করলেন (এবং যাকে জান্নাতে দাখিল করালেন, নিশ্চয় তাকে সম্মানিত করলেন)। আর জালেমদের (মুশরিকদের) জন্য কোন সাহায্যকারী নেই (মুমিনদের সাহায্যকারী হলেন ফেরেশতাগণ এবং সুপারিশকারীগণ। আর সবচেয়ে বড় সুপারিশ হবে, আল্লাহ তাআলার) (দ্বিতীয় দুআ:) হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিশ্চিতরূপে শুনেছি একজন আহবানকারীকে (রসুল অথবা কুরআন) ঈমানের প্রতি আহবান করতে যে, তোমাদের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আনয়ন কর: তাই আমরা ঈমান এনেছি! হে আমাদের পালনকর্তা! অতএব, আমাদের পাপসমূহ মাফ করুন এবং আমাদের দোষ-ত্রুটি মিটিয়ে দিন। আর নেক লোকদের সাথে আমাদের মৃত্যু দিন! (তৃতীয় দুআ:) হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি যা ওয়াদা করেছেন নিজের রসুলগণের মাধ্যমে: তা আমাদেরকে দাও! আর কেয়ামতের দিন আমাদিগকে অপমানিত করবেন না! নিশ্চয় আপনি ওয়াদা খেলাপি করেন না! অতঃপর তাদের পালনকর্তা তাদের কল্যাণার্থে তাদের দুআ (এই বলে) কবুল করে নিলেন যে, আমি কোন পরিশ্রমকারীর পরিশ্রম বিনষ্ট করি না, সে পুরুষ হোক কিংবা নারী। তোমাদের একজন: অপরজন থেকে!
তারপর যারা হিজরত করেছে, যাদেরকে নিজেদের দেশ থেকে বের করে হয়েছে, যাদের প্রতি আমার পথে (দীনের কারণে) উৎপীড়ন করা হয়েছে এবং যারা লড়াই করেছে এবং নিহতও হয়েছে: অবশ্যই আমি তাদের পাপসমূহ ক্ষমা করব। আর তাদেরকে অবশ্যই প্রবিষ্ট করব এমন জান্নাতে, যাতে প্রবাহিত হয় নহরসমূহ। এটা বিনিময়স্বরূপ আল্লাহর তরফে। আর আল্লাহর নিকট রয়েছে (আরো) উত্তম বিনিময়!
নগরীতে কাফেরদের চাল-চলন যেন আপনাকে ধোঁকা না দেয়। এটা হল সামান্য দিনের ভোগসামগ্রী। এরপর তাদের ঠিকানা হবে দোজখ। আর তা হল অতি নিকৃষ্ট বিছানা! হ্যাঁ, যারা ভয় করে নিজেদের পালনকর্তাকে (অর্থাৎ নিষিদ্ধ বস্তু থেকে বেঁচে থাকে এবং আদেশ মান্য করে)। তাদের জন্য রয়েছে এমন জান্নাত, যাতে প্রবাহিত হয় তটিনীসমূহ, তারা তাতে সর্বক্ষণ থাকবে। এটা আল্লাহর তরফে আতিথেয়তা। আর যা আল্লাহর নিকট রয়েছে, তা সৎকর্মশীলদের জন্য উত্তম!
আর আহলে কিতাবের মধ্যে কেউ কেউ এমনও রয়েছেন, যারা নিশ্চতরূপে আল্লাহর ওপর ঈমান আনেন এবং ঐ কিতাবের প্রতি, যা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে। আর সে কিতাবের প্রতি, যা তাদের ওপর অবতীর্ণ করা হয়েছিল। যারা আল্লাহর সামনে বিনয়াবন থাকেন এবং আল্লাহর আয়াতসমূহকে (ভবিষ্যদ্বাণী এবং আহকাম) স্বল্পমূল্যের বিনিময়ে সওদা করেন না: তাদেরই জন্য রয়েছে তাদের পারিশ্রমিক পালনকর্তার নিকট। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা যথা শীঘ্র হিসাব চুকিয়ে দিবেন!
হে ঈমানদানগণ! (কোন বিপদের সম্মুখীন হলে) ধৈর্যধারণ কর (অর্থাৎ সাহসীকতা প্রদর্শন কর) এবং (দুশমনের) মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর। আর মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাক এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা সফল হতে পার! -আয়াতগুলোর তাফসিরসহ অনুবাদ: অধমের অনূদিত তাফসিরে হেদায়াতুল কুরআন থেকে। চমৎকার এই তাফসিরটি মোট ৯ খণ্ডে মাদানী কুতুবখানা থেকে প্রকাশিত।
৮৮. সহিহ বুখারি: ৪৫৬৯; সহিহ মুসলিম: ৭৬৩।
৮৯. সহিহ বুখারি: ১১২০; সহিহ মুসলিম: ৭৬৯।
📄 টয়লেটে প্রবেশের দুআ
(৫৪) হজরত আনাস রাদি. থেকে বর্ণিত যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বাথরুমে প্রবেশের ইচ্ছা করতেন তখন এ দুআটি পড়তেন-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবাইস।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট অনিষ্টকর নারী ও পুরুষ শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করি। ৯০
(৫৫) সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম ব্যতীত অন্যান্য কিতাবে আছে-
بِسْمِ اللهِ ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ.
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবাইস। ৯১
অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করলাম। হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট অনিষ্টকর নারী ও পুরুষ শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করি।
(৫৬) হজরত আলি রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
سَتْرُ مَا بَيْنَ أَعْيُنِ الْجِنِّ وَعَوْرَاتِ بَنِي آدَمَ : إِذَا دَخَلَ أَحَدُهُمُ الْخَلَاءَ، أَنْ يَقُولَ: بسْمِ الله .
অর্থ: মানুষের সতর ও জিনদের চোখের মধ্যকার পর্দা হল টয়লেটে প্রবেশের সময় 'বিসমিল্লাহ' বলা। ৯২
ইমাম তিরমিজি রহ. হাদিসটি বর্ণনা করে বলেন, এর সনদ বেশি শক্তিশালী নয়। তবে আগেই বর্ণনা করা হয়েছে যে, ফযিলত প্রসঙ্গ হলে দুর্বল হাদিসের ওপর আমল করা যাবে। আর খালি মাঠে বা দেয়াল ঘেরা ঘরে হোক এই দুআটি পড়া যাবে। তবে মুস্তাহাব হল প্রথমে বিসমিল্লাহ পড়া এরপর উল্লিখিত দুআটি পড়া।
(৫৭) হজরত ইবনে উমর রাদি. থেকে বর্ণিত-
أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا دَخَلَ الْخَلَاءَ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الرِّجْسِ النَّجِسِ الخَبِيثِ الْمُخْبِثِ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ.
অর্থ: নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বাথরুমে যেতেন তখন এই দুআ পড়তেন-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الرَّجْسِ النَّجِسِ الْخَبِيْثِ الْمُخْبِثِ: الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনার রিজসিন নাজিসিল খাবিসিল মুখবিসিশ শাইতানির রাজিম। ৯৩
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট পঙ্কিল, অপবিত্র, দুষ্ট এবং অন্যকে দুষ্টকারী অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করি।
টিকাঃ
৯০. সহিহ বুখারি: ১৪২; সহিহ মুসলিম: ৩৭৫।
৯১. সুনানে তিরমিজি: ০৫, সুনানে আবু দাউদ: ০৪, কিতাবুদ দুআঃ ২৮৬৪; তবারানি, আলমুসান্নাফ ১/১১, ইবনে আবি শাইবাহ।
৯২. সুনানে তিরমিজি: ৬০৬।
৯৩. আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ২৫, ইবনুস সুন্নি, কিতাবুদ দুআঃ ৩৬৭, তবারানি।
📄 বাথরূমে জিকির বা কথা বলা নিষেধ
টয়লেট করা অবস্থায় জিকির করা ও কথা বলা মাকরুহ। চাই দেয়াল ঘেরা বাথরুম হোক বা খোলা হোক। সকল দুআ ও জিকির এবং সবধরনের কথা নিষিদ্ধ। তবে একান্ত প্রয়োজনীয় কথার বিষয়টি ভিন্ন। এমনকি, হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলা, হাঁচির জবাব, সালামের উত্তর, মুআজ্জিনের আযানের জবাব দেয়া যাবে না। সালামকারী উত্তর কামনা করতে পারবে না। এগুলো সব মাকরূহে তানযিহি। হারাম নয়। কেউ যদি হাঁচি দেয় এবং মনে মনে জিহ্বা না নাড়িয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে, তাহলে কোন সমস্যা নেই। অনুরূপভাবে সহবাস অবস্থায় জিকির-আজকারের হুকুম এটিই।
(৫৮) আবদুল্লাহ বিন উমর রাদি. থেকে বর্ণিত-
أَنَّ رَجُلًا مَرَّ وَرَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبُوْلُ، فَسَلَّمَ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ.
অর্থ: এক ব্যক্তি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি পেশাব করছিলেন, লোকটি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাম দিলেন; তবে তিনি সালামের উত্তর দেননি। ৯৪
(৫৯) মুহাজির বিন কুনফুয রাদি. থেকে বর্ণিত-
أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَبُوْلُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ حَتَّى تَوَضَّأَ ، ثُمَّ اعْتَذَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ: إِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَذْكُرَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِلَّا عَلَى طُهْرٍ أَوْ قَالَ: عَلَى طَهَارَةِ.
অর্থ: তিনি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এলেন, তখন তিনি পেশাব করছিলেন। তিনি সালাম দিলেন; কিন্তু নবিজি কোন উত্তর দিলেন না। এমনকি, অজু করলেন। অতঃপর ওজর পেশ করে তিনি বললেন, আমি পবিত্র অবস্থা ছাড়া আল্লাহর জিকির করতে অপছন্দ করছিলাম। ৯৫
টিকাঃ
৯৪. সহিহ মুসলিম: ৩৭০।
৯৫. সুনানে আবু দাউদ: ১৭, সুনানে নাসাঈ: ১/৩৭, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৫০।