📄 হাদিস গ্রন্থের উদ্ধৃতি প্রদান করা হয়েছে
আমি এই কিতাবে যেসব হাদিস উল্লেখ করব সেসব হাদিসের গ্রন্থের উদ্ধৃতি দেবো। যেসব হাদিস বুখারি, মুসলিমের উভয়টি বা যে কোন একটিতে আছে আমি সেগুলোকে কিতাবদ্বয়ের সাথে শুধু সম্পৃক্ত করব, হুকুম বয়ান করব না। কারণ, কিতাবদ্বয়ের সাথে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমেই উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে যাবে। কারণ, সহিহ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত সকল হাদিসই সহিহ। অন্যান্য কিতাবের হাদিসের ক্ষেত্রে সেগুলোকে আমি সুনান, মুসনাদ ইত্যাদি কিতাবের সম্পৃক্ত করব; সাথে সাথে বেশিরভাগ স্থানে হাদিসটির সহিহ, হাসান ও যাঈফ হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করে দেবো, যদি সেটি যাঈফ হয়ে থাকে। তবে কখনো কখনো সহিহ, হাসান ও যাঈফ কোনটিই উল্লেখ করব না।
আমি সুনানে আবু দাউদের অনেক হাদিস নকল করব। ইমাম আবু দাউদ রহ. বলেন- 'আমি এই কিতাবে যা উল্লেখ করেছি, তা সহিহ অথবা এর কাছাকাছি। আর কোন হাদিস বেশি দুর্বল হলে সে বিষয়টি আমি স্পষ্ট করে দিয়েছি। আর যেসব হাদিসের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি, সেগুলো আমলযোগ্য। এবং কিছু হাদিস কিছু হাদিসের তুলনায় বেশি সহিহ।
আবু দাউদ রহ.-এর এই কথায় বিরাট ফায়দা আছে। তা হল, ইমাম আবু দাউদ রহ. তার সুনানে যেসব হাদিস বর্ণনা করেছেন এবং যেসব হাদিসের দুর্বলতার ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি, সেসব হাদিস তার মতে সহিহ অথবা হাসান। উভয় প্রকার হাদিস দ্বারা আহকামের ক্ষেত্রেই দলিল দেয়া যায়। অতএব, ফাযায়েলের ক্ষেত্রে তো অবশ্যই দলিল দেয়া যাবে।
অতএব, যখন এই কিতাবে আবু দাউদ রহ. থেকে বর্ণিত কোন হাদিস দেখা যাবে, আর সে হাদিসের দুর্বলতার ব্যাপারে কোন কথা নেই, তাহলে বুঝতে হবে এই হাদিস তার মতে যাঈফ বা দুর্বল নয়। আল্লাহ পাক ভালো জানেন।
এরপর জিকিরের ফযিলত প্রসঙ্গে হাদিস দিয়ে কিতাব শুরু করাকে আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে। এতে আমি এমন কিছু বিষয় উপস্থাপন করব, যা সামনের আলোচনার ভূমিকা হবে। এরপর কিতাবের মূল অধ্যায়গুলো উল্লেখ করব। আর ইস্তিগফারের অধ্যায় দিয়ে কিতাবটি শেষ করব। যেন আমাদের মৃত্যু ইস্তিগফারের মাধ্যমে হয়। আল্লাহই একমাত্র তাওফিকদাতা, তাঁর ওপরই ভরসা করি, তাঁর কাছেই সবকিছু অর্পণ করছি।