📘 আল আযকার > 📄 জিকিরের স্থান যেমন হবে

📄 জিকিরের স্থান যেমন হবে


জিকিরের স্থানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ভেজালমুক্ত থাকা চাই। কেননা এতে জিকির ও জিকিরকৃত সত্তা মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। একারণেই মসজিদ ও সম্মানীত স্থানে জিকিরের প্রশংসা করা হয়েছে। আবু মাইসারা রহ. বলেন, পবিত্র স্থান ব্যতীত জিকির করা যাবে না।
জিকির করার সময় মুখও পরিষ্কার হওয়া চাই। কোন দুর্গন্ধ থাকলে মিসওয়াক করে নিতে হবে। আর কোন ধরনের নাপাকি থাকলে পানি দিয়ে ধুয়ে নেয়া চাই। এরপরও যদি না ধুয়ে জিকির করে, তাহলে তা মাকরুহ হবে; কিন্তু এ অবস্থায় জিকির করা হারাম হবে না। মুখে নাপাকি নিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করা মাকরুহ। হারাম হওয়া না হওয়ার ব্যাপারে মতভেদ আছে; তবে বিশুদ্ধ মত হল হারাম হবে না।

📘 আল আযকার > 📄 যেসব অবস্থায় জিকির মাকরুহ

📄 যেসব অবস্থায় জিকির মাকরুহ


শরিয়ত কর্তৃক মাকরুহ সময় ছাড়া অন্য সবসময় জিকির করা খুবই উত্তম কাজ। সামনের আলোচনা ছাড়া এখানে কিছু মুহূর্তের কথা বলা হল। যেমন জিকির করা মাকরুহ:
* পেশাব-পায়খানা করার সময়।
* সহবাস করার সময়।
* খতিব সাহেবের খুতবা শ্রবণকারীর জন্য খুতবা চলার সময়।
* নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায়; বরং এসময় তিলাওয়াতে মশগুল থাকবে।
* তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায়।
তবে রাস্তায় চলমান অবস্থায় এবং গোসলখানায় থাকাকালে জিকির করা মাকরুহ হবে না।

📘 আল আযকার > 📄 জিকিরের হাকিকত

📄 জিকিরের হাকিকত


জিকিরের মূল উদ্দেশ্য হল, মনের উপস্থিতি। তাই এ উদ্দেশ্য অর্জনে সচেষ্ট থাকা চাই। যা জিকির করছে সে বিষয়ে পূর্ণ মনোযোগী হওয়া। অর্থ অনুধাবনের চেষ্টা করা। যিকিরে চিন্তা করা উদ্দিষ্ট যেমন কেরাতে চিন্তা করা উদ্দিষ্ট। কারণ, উভয়টির উদ্দেশ্য এক। এজন্য প্রণীধানযোগ্য মাজহাব হল, لَا إِلهَ إِلَّا اللهُ (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) এর মধ্যকার ১ (লা) কে টেনে পড়া, কারণ, এতে চিন্তা করার বেশি সময় পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে সালাফে সালেহিন ও পরবর্তী ইমামগণের বক্তব্য প্রসিদ্ধ আছে।

📘 আল আযকার > 📄 নির্দিষ্ট সময়ে জিকির ছুটে গেলে করণীয়

📄 নির্দিষ্ট সময়ে জিকির ছুটে গেলে করণীয়


যার রাতদিনের কোন সময়ে অযিফা পাঠের আমল আছে অথবা নামাজের পর, কিংবা অন্যান্য সময় অযিফা পাঠের আমল আছে যদি কোন কারণে তা ছুটে যায়, তাহলে সুযোগ হওয়া মাত্রই তা পাঠ করে নেবে এ ব্যাপারে কোন অলসতা করবে না। কারণ, এব্যাপারে যত্নবান হলে সামনে আর ছুটবে না। আর যদি অলসতা করা হয় তাহলে সামনেও ছুটে যাবে।
সহিহ মুসলিমে হজরত উমর বিন খাত্তাব রাদি. থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ نَامَ عَنْ حِزْبِهِ، أَوْ عَنْ شَيْءٍ مِنْهُ، فَقَرَأَهُ فِيمَا بَيْنَ صَلَاةِ الْفَجْرِ، وَصَلَاةِ الظُّهْرِ، كُتِبَ لَهُ كَأَنَّمَا قَرَأَهُ مِنَ اللَّيْلِ.
অর্থ: যে ব্যক্তি তার রাতের অযিফা (তথা কুরআনের নির্দিষ্ট অংশ) অথবা অন্যান্য অযিফা পড়তে ভুলে যায়, এরপর সে এটা ফজর ও যুহরের মাঝামাঝি সময়ে পড়ে নেয়, তাহলে সে যেন তা রাতেই পড়েছে। ২৬

টিকাঃ
২৬. সহিহ মুসলিম: ৭৪৭, সুনানে আবু দাউদ: ১৩১৩, সুনানে তিরমিজি: ৫৮১, মুয়াত্তা মালেক ১/২০০, সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৩৪৩।

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন