📘 আকাবিরদের জ্ঞান সাধনার গল্প > 📄 ইবনুন নফিস রহ. ফজর পর্যন্ত সারা রাত ইবনে ওয়াসেল রহ.-এর সাথে ইলমি আলোচনা করেছেন

📄 ইবনুন নফিস রহ. ফজর পর্যন্ত সারা রাত ইবনে ওয়াসেল রহ.-এর সাথে ইলমি আলোচনা করেছেন


তার ছাত্র কায়রোর ডাক্তার সাদিদ দিময়াতি রহ. বলেন, একবার কোনো এক রাতে ইবনুন নফিস ও কাজি জামালুদ্দিন ইবনে ওয়াসেল একত্রিত হলেন। আমি তাদের কাছে ঘুমিয়ে ছিলাম। এশার নামাজের পর তারা আলোচনা শুরু করেন। এক বিদ্যা থেকে আরেক বিদ্যার দিকে স্থানান্তরিত হচ্ছিলেন। শায়খ আলাউদ্দিন ইবনুন নফিস শান্ত মনে দক্ষতার সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কাজি জামালুদ্দিন মাঝেমধ্যেই উত্তেজিত হয়ে যেতেন এবং তার গলার স্বর উঁচু হয়ে যেত। তার চক্ষুদ্বয় রক্তিম হয়ে যেত। তার গলার রগসমূহ স্ফীত হয়ে যেত। ভোরের আলো ফুঠে উঠা পর্যন্ত তারা এভাবেই আলোচনা চালিয়ে গেলেন।

আলোচনা শেষ হবার পর কাজি জামালুদ্দিন বললেন, হে শায়খ আলাউদ্দিন! আমাদের কাছে রয়েছে অনেক বিষয়, অনেক সূক্ষ্ম তত্ত্ব ও অনেক মূলনীতি। কিন্তু আপনি! আপনার কাছে রয়েছে বহু বিজ্ঞানের অসংখ্য ভান্ডার।

📘 আকাবিরদের জ্ঞান সাধনার গল্প > 📄 শায়খ ইবনে তাইমিয়া রহ. অসুস্থতা ও সফরের সময়ও অধ্যয়ন ও ইলম চর্চা করতেন

📄 শায়খ ইবনে তাইমিয়া রহ. অসুস্থতা ও সফরের সময়ও অধ্যয়ন ও ইলম চর্চা করতেন


লেখক বলেন, তাঁর এই পুস্তকাঢ্যতার কারণ হলো, তিনি সফর ও হজর, সুস্থতা ও অসুস্থতা সর্বাবস্থায় অধ্যয়ন ও ইলম চর্চা অব্যাহত রাখতেন। তার শিষ্য ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ. স্বরচিত 'রওজাতুল মুহিব্বিন' নামক কিতাবে বলেন, আমাদের শায়খ ইবনে তাইমিয়া রহ. আমাকে বলেছেন, আমি একবার রোগাক্রান্ত হলাম। ডাক্তার আমাকে বলল, আপনার অধ্যয়ন ও ইলম চর্চা অসুস্থতা বৃদ্ধি করবে। আমি তাকে বললাম, আমি এটা সহ্য করতে পারব না। আপনার জ্ঞানের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, মন যখন আনন্দোৎফুল্ল থাকে মানুষের প্রকৃতি তখন শক্তিশালী হয় এবং রোগবালাইকে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি কি এমন নয়? ডাক্তার বলল, জি হ্যাঁ। তখন আমি তাকে বললাম, আমার মন ইলম চর্চায় আনন্দিত হয়, তাতে আমার প্রকৃতি শক্তিশালী হয়। ফলে আমি তাতে আরাম বোধ করি। কাজেই এটা অসুস্থতা বৃদ্ধি করবে কেন? ডাক্তার বলল, এটা আমাদের চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত নয়।

📘 আকাবিরদের জ্ঞান সাধনার গল্প > 📄 বয়োজ্যেষ্ঠ হাফেজে হাদিস ইবনুশ শিহনাহ হাজার রহ. একশ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুর একটু আগেও ছাত্ররা তাঁর কাছে পড়েছে

📄 বয়োজ্যেষ্ঠ হাফেজে হাদিস ইবনুশ শিহনাহ হাজার রহ. একশ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুর একটু আগেও ছাত্ররা তাঁর কাছে পড়েছে


হাফেজ ইবনে হাজার রহ. 'আদদুরারুল কামিনাহ' গ্রন্থে বলেছেন, হাফেজ শিহাবুদ্দিন আবুল আব্বাস আহমদ ইবনে আবু তালেব-যিনি ইবনুশ শিহনাহ হাজ্জার দামেশকি সালিহি হানাফি নামে বিখ্যাত; ৬২২ হি. সনে জন্মগ্রহণ করেন-তিনি একশরও বেশি বয়স প্রাপ্ত হন। ফলে নাতিকে দাদার সাথে মিলিয়ে দেন। (অর্থাৎ, দাদা ও নাতি উভয়ই তার কাছে পড়ার সুযোগ পায়) তিনি দামেশক ও প্রভৃতি শহরে সত্তরেরও অধিকবার সহিহ বুখারি পাঠদান করেন।

হাফেজে হাদিসগণ তাকে নির্বাচন করে। পৃথিবীর বিভিন্ন শহর থেকে এসে তারা তার কাছে ভিড় করে। তিনি একশ বছর বয়সেও রমজানের রোজা রেখেছেন। এবং শাওয়ালের ছয় রোজা রেখেছেন। তার মৃত্যুর একদিন আগে মুহিব্বুদ্দিন ইবনে মুহিব্ব রহ. তার কাছে সহিহ বুখারি শরিফ পড়তে শুরু করেন। তার মৃত্যুর দিন দ্বিতীয় বৈঠকে চাশতের সময় পর্যন্ত পড়েছেন। ওই দিনেই জোহরের একটু আগে তিনি ৭৩০ হি. সনে মৃত্যুবরণ করেন।

📘 আকাবিরদের জ্ঞান সাধনার গল্প > 📄 সুলতানুল উলামার পৌত্রী মৃত্যুর দিনও হাদিস পড়িয়েছেন

📄 সুলতানুল উলামার পৌত্রী মৃত্যুর দিনও হাদিস পড়িয়েছেন


হাফেজ ইবনে হাজার রহ. 'আদদুরারুল কামিনাহ' গ্রন্থে বয়োজ্যেষ্ঠা আলেমা মুহাদ্দিসা জয়নব বিনতে ইয়াহইয়া সুলামিয়্যাহ, (জন্ম: ৬৪৮ হি., মৃত্যু: ৭৩৫ হি.)-এর আলোচনায় নিম্নোক্ত বক্তব্য তুলে ধরেছেন:
সুলতানুল উলামা ইজজুদ্দিন ইবনে আব্দুস সালাম সুলামির ছেলে ইয়াহইয়া তনয়া জয়নব ৬৪৮ হি. সনে জন্মগ্রহণ করেন। সিলাফির পৌত্র আব্দুর রহমান ইবনে মক্কি এস্কান্দারানি (মৃত্যু: ৬৬১ হি.) তাকে ৬৫০ হি. সনে বর্ণনার ইজাজত প্রদান করেন। তিনি পাঁচ বছর বয়সে কারাফায় উসমান ইবনে খতিবের নিকট উপস্থিত হন। তার সাথে আরও উপস্থিত হন উমর ইবনে আউয়াহ, ইবরাহিম ইবনে খলিল প্রমুখ আলেমগণ। তিনি তাবরানির 'মুজামে সগির' কিতাবটি অবিচ্ছিন্ন সূত্রে এককভাবে বর্ণনা করেন।
জাহাবি রহ. বলেছেন, তিনি একজন কল্যাণকামিণী, আবেদা ও রেওয়ায়েতে আগ্রহী নারী ছিলেন। এমনকি তাঁর মৃত্যুর দিনেও তার কাছে কয়েকটি জুজ পঠিত হয়।

লিঙ্ক শেয়ার করুন
close

লিঙ্ক কপি করুন