মুয়াত্তা ইমাম মালিক > হজ্জ > তাওয়াফের দুই রাক’আত নামায
৮১১
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ
হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (র) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন তিনি দুই সাব্আর মাঝখানে নামায না পড়ে উভয়কে একত্র করতেন না, বরং তিনি প্রত্যেক সাব্আর পর দুই রাক’আত নামায আদায় করতেন মাকামে ইবরাহীমের নিকট, আর কখনও পড়তেন অন্যত্র। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন) মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল কেউ যদি কয়েক সাবআর পর একত্রে সবগুলোর নামায আদায় করে তবে তা জায়েয হবে কি ? তিনি বললেন, জায়েয হবে না। প্রতি সাবআর (সাত তাওয়াফ) সঙ্গে সঙ্গেই দুই রাক’আত নামায পড়া সুন্নত। মালিক (র) বলেন, ভুল করে যদি কেউ আট বা নয় চক্কর (তাওয়াফ) দিয়ে ফেলে তবে যখনই মনে পড়বে তাওয়াফ ছেড়ে দিবে এবং দুই রাক’আত নামায আদায় করে নিবে। অতিরিক্ত তাওয়াফগুলো ধর্তব্যের বলে মনে করবে না এবং দুই সাবআ সমাধা করে পরে একত্রে নামায আদায় করা সঙ্গত নয়। প্রতি সাব্আর (সাত তাওয়াফ) সঙ্গে সঙ্গেই দুই রাক’আত নামায পড়া সুন্নত। মালিক (র) বলেন, তাওয়াফ করে দুই রাক’আত নামায আদার করার পর সাত তাওয়াফ (চক্কর) পুরা হয়নি বলে যদি কারো মনে সন্দেহ হয় তবে তাকে য়াকীন (দৃঢ় বিশ্বাস)-এর উপর ভিত্তি করে তাওয়াফ পুরো করে আবার দুই রাক’আত নামায আদায় করতে হবে। কারণ সাত চক্কর পূর্ণ করার পরই তাওয়াফের নামায পড়তে হয়। মালিক (র) বলেন, তাওয়াফ বা সায়ী করার সময় যদি কারো ওযূ নষ্ট হয়ে যায়, তবে ওযূ করে পুনরায় নতুন করে তাওয়াফ করবে এবং সায়ীর যে কয় চক্কর অবশিষ্ট ছিল তা পুরা করবে।